Dhaka মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

প্রায় ১৪ মাস পর চাল রফতানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ভারত। এখন থেকে বাসমতি ছাড়া অন্য সব ধরনের চাল রফতানি করতে পারবেন দেশটির রফতানিকারকরা।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এই খবর জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রপ্তানিকারকরা বাসমতি ব্যতীত অন্য সব ধরনের চাল রপ্তানি করতে পারবেন। চালের রপ্তানি শুল্কও কমিয়ে দশ শতাংশে আনা হয়েছে। আগে রপ্তানি শুল্কের হার ছিল ২০ শতাংশ।

ভারতীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশটির চাল রফতানিকারকরা। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পদক্ষেপকে ‘গেম-চেঞ্জার’ বলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তারা।

রাইস ভিলার সিইও সুরজ আগরওয়াল বলেছেন, বাসমতি ছাড়া অন্যান্য চাল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ভারতের এই সাহসী সিদ্ধান্ত কৃষি খাতের জন্য একটি গেম-চেঞ্জার।

তিনি বলেছিলেন, কৌশলগত এই পদক্ষেপ শুধু রফতানিকারকদের আয়কেই বাড়িয়ে তুলবে না বরং, কৃষকদের ক্ষমতায়ও করবে।

আরেক চাল রফতানিকারক হালদার গ্রুপের কেশব কেআর হালদার সরকারের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। এর আগে তিনি সরকারের কাছে অবিলম্বে এই নিষেধাজ্ঞার প্রত্যাহার চেয়েছিলেন।

মূলত ভারতের পূর্ব, উত্তরপূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে চাল উৎপাদন করা হয়। গত বছর এসব রাজ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চাল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ২০২৩ সালের ২০ জুলাই বিশ্ববাজারে চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।

বিশ্বে ৩০০ কোটির বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম চাল উৎপাদনে শীর্ষে। তবে রফতানিতে ভারত সবচেয়ে এগিয়ে, প্রতিদিনের ৪০ শতাংশ চালের কেনাবেচা আসে ভারত থেকে।

নিষেধাজ্ঞার পর আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম বাড়তে শুরু করে। গত ১১ বছরে চালের দাম ১১.৭ শতাংশ বেড়েছে, যা সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধির রেকর্ড।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আগামী সংসদে কারা যাবে, তার নির্ধারকের ভূমিকায় থাকবে এনসিপি : সারজিস আলম

চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ভারত

প্রকাশের সময় : ০৪:১৩:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

প্রায় ১৪ মাস পর চাল রফতানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ভারত। এখন থেকে বাসমতি ছাড়া অন্য সব ধরনের চাল রফতানি করতে পারবেন দেশটির রফতানিকারকরা।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এই খবর জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রপ্তানিকারকরা বাসমতি ব্যতীত অন্য সব ধরনের চাল রপ্তানি করতে পারবেন। চালের রপ্তানি শুল্কও কমিয়ে দশ শতাংশে আনা হয়েছে। আগে রপ্তানি শুল্কের হার ছিল ২০ শতাংশ।

ভারতীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশটির চাল রফতানিকারকরা। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পদক্ষেপকে ‘গেম-চেঞ্জার’ বলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তারা।

রাইস ভিলার সিইও সুরজ আগরওয়াল বলেছেন, বাসমতি ছাড়া অন্যান্য চাল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ভারতের এই সাহসী সিদ্ধান্ত কৃষি খাতের জন্য একটি গেম-চেঞ্জার।

তিনি বলেছিলেন, কৌশলগত এই পদক্ষেপ শুধু রফতানিকারকদের আয়কেই বাড়িয়ে তুলবে না বরং, কৃষকদের ক্ষমতায়ও করবে।

আরেক চাল রফতানিকারক হালদার গ্রুপের কেশব কেআর হালদার সরকারের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। এর আগে তিনি সরকারের কাছে অবিলম্বে এই নিষেধাজ্ঞার প্রত্যাহার চেয়েছিলেন।

মূলত ভারতের পূর্ব, উত্তরপূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে চাল উৎপাদন করা হয়। গত বছর এসব রাজ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চাল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ২০২৩ সালের ২০ জুলাই বিশ্ববাজারে চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।

বিশ্বে ৩০০ কোটির বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম চাল উৎপাদনে শীর্ষে। তবে রফতানিতে ভারত সবচেয়ে এগিয়ে, প্রতিদিনের ৪০ শতাংশ চালের কেনাবেচা আসে ভারত থেকে।

নিষেধাজ্ঞার পর আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম বাড়তে শুরু করে। গত ১১ বছরে চালের দাম ১১.৭ শতাংশ বেড়েছে, যা সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধির রেকর্ড।