Dhaka শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। রোববার (১৮ আগস্ট) রাজকীয় স্বাক্ষরের পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি।

সোমবার (১৯ আগস্ট) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত রোববার থাইল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। ৩৭ বছর বয়সী পেতংতার্ন দেশটির পার্লামেন্টের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থনে রয়্যাল লেটার অফ অ্যান্ডোর্সমেন্ট পেয়েছেন। পেতংতার্ন তার পরিবারের তৃতীয় সদস্য হিসেবে এ দায়িত্ব পেলেন।

শুভ্র সাদা সরকারি ইউনিফর্মে দিয়েছেন একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যও। তিনি বলেন, ‘নির্বাহী শাখার প্রধান হিসেবে আমি অন্যান্য আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে খোলা মন নিয়ে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করব। আমি সবার মতামত শুনব, আমরা যেন একসঙ্গে স্থিতিশীলভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

এর আগে পেতংতার্নের ফুফু ইংলাক সিনাওয়াত্রা থাইল্যান্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

গত বুধবার থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্রেথা থাভিসিনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার দু’দিন পর পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। তাদের দুজনেই ফেউ থাই পার্টির নেতা।

গত শুক্রবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে প্রধানমন্ত্রী পদে জয় পান ৩৭ বছরের পেতংতার্ন। তিনি থাইল্যান্ডের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। ভোটাভুটিতে পায়েথুংথার্নের পক্ষে পড়ে ৩১৯টি ভোট এবং বিপক্ষে ১৪৫টি।

প্রধানমন্ত্রীপদে নির্বাচিত হওয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা বলেন, ‘আমি সত্যিই আশা করি, আমি মানুষের মাঝে আত্মবিশ্বাস পুনঃস্থাপন করে দিতে পারবো- সকল থাই জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে আমরা সুযোগ তৈরি করতে পারি।’

এদিকে বিশ্লষকরা বলছেন, সামরিক অভ্যুত্থান সামাল দেওয়া এবং আদালতের হস্তক্ষেপ এড়িয়ে টিকে থাকাটা পেতংতার্নের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জের বিষয় হবে।

পেতংতার্নও স্বীকার করেছেন, তার অভিজ্ঞতার ঘাটতি রয়েছে। তবে সব থাই নাগরিকের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাতে ও তাদের ক্ষমতাবান করার চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি আছেন তিনি।

পেতংতার্ন ২০২২ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। এর আগে তিনি পারিবারিক হোটেল ব্যবসা দেখভাল করতেন। গত বছরের সাধারণ নির্বাচনে তিনি দলীয় কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

গত দুই দশকে সিনাওয়াত্রা পরিবারের তৃতীয় সদস্য হিসেবে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হলেন পেতংতার্ন। এর আগে তার বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা (২০০১-২০০৬) ও ফুফু ইংলাক সিনাওয়াত্রা (২০১১-২০১৪) প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। অবশ্য দু’জনই সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ব্রিজ থাকলেও নেই রাস্তা, ভোগান্তি চরমে

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা

প্রকাশের সময় : ০১:২৪:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। রোববার (১৮ আগস্ট) রাজকীয় স্বাক্ষরের পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি।

সোমবার (১৯ আগস্ট) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত রোববার থাইল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। ৩৭ বছর বয়সী পেতংতার্ন দেশটির পার্লামেন্টের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থনে রয়্যাল লেটার অফ অ্যান্ডোর্সমেন্ট পেয়েছেন। পেতংতার্ন তার পরিবারের তৃতীয় সদস্য হিসেবে এ দায়িত্ব পেলেন।

শুভ্র সাদা সরকারি ইউনিফর্মে দিয়েছেন একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যও। তিনি বলেন, ‘নির্বাহী শাখার প্রধান হিসেবে আমি অন্যান্য আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে খোলা মন নিয়ে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করব। আমি সবার মতামত শুনব, আমরা যেন একসঙ্গে স্থিতিশীলভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

এর আগে পেতংতার্নের ফুফু ইংলাক সিনাওয়াত্রা থাইল্যান্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

গত বুধবার থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্রেথা থাভিসিনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার দু’দিন পর পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। তাদের দুজনেই ফেউ থাই পার্টির নেতা।

গত শুক্রবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে প্রধানমন্ত্রী পদে জয় পান ৩৭ বছরের পেতংতার্ন। তিনি থাইল্যান্ডের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। ভোটাভুটিতে পায়েথুংথার্নের পক্ষে পড়ে ৩১৯টি ভোট এবং বিপক্ষে ১৪৫টি।

প্রধানমন্ত্রীপদে নির্বাচিত হওয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা বলেন, ‘আমি সত্যিই আশা করি, আমি মানুষের মাঝে আত্মবিশ্বাস পুনঃস্থাপন করে দিতে পারবো- সকল থাই জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে আমরা সুযোগ তৈরি করতে পারি।’

এদিকে বিশ্লষকরা বলছেন, সামরিক অভ্যুত্থান সামাল দেওয়া এবং আদালতের হস্তক্ষেপ এড়িয়ে টিকে থাকাটা পেতংতার্নের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জের বিষয় হবে।

পেতংতার্নও স্বীকার করেছেন, তার অভিজ্ঞতার ঘাটতি রয়েছে। তবে সব থাই নাগরিকের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাতে ও তাদের ক্ষমতাবান করার চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি আছেন তিনি।

পেতংতার্ন ২০২২ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। এর আগে তিনি পারিবারিক হোটেল ব্যবসা দেখভাল করতেন। গত বছরের সাধারণ নির্বাচনে তিনি দলীয় কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

গত দুই দশকে সিনাওয়াত্রা পরিবারের তৃতীয় সদস্য হিসেবে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হলেন পেতংতার্ন। এর আগে তার বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা (২০০১-২০০৬) ও ফুফু ইংলাক সিনাওয়াত্রা (২০১১-২০১৪) প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। অবশ্য দু’জনই সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন।