Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রেলওয়ের চাকরিতে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশ রেলওয়েতে নিয়োগে পোষ্য কোটার বিধান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।

রোববার (১৪ জুলাই) এ বিষয়ে এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মো. রোকনুজ্জামান। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে রেলওয়ের সচিব, রেলওয়ে সচিব ও আইন সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদেশের বিষয়টি জানান রিটকারী আইনজীবী রোকনুজ্জামান।

এর আগে গত ২৬ মে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন তিনি। রিটে রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ তিনজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা নির্ধারণ করে বিধিমালা প্রণয়ন করে। তারা তাদের নিজেদের স্বার্থে উক্ত বিধিমালায় বিষয়টি উল্লেখ করে। যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ জুলাই কোটা বাতিলসংক্রান্ত পরিপত্র ও সংবিধানের ২৭, ২৯ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।

রিটকারী আইনজীবী জানান, যারা বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরি করছেন তাদের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখা হয়েছে। উক্ত কোটা বন্টনের ফলে সমাজের নিম্ন শ্রেণির তথা দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাচালক, কৃষকের সরকারি চাকরি প্রত্যাশী সন্তানদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হবে। যা তাদের প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে।

কোটা বাতিলের বিষয়ে সঠিক প্রতিকার না পেলে দরখাস্তকারীসহ লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার যুবক চাকরি থেকে বঞ্চিত হবে বলেও রিটে উল্লেখ করা হয়েছে।

আইনজীবী রোকনুজজামান আরও বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সংসদে কোনো কোটাই থাকছে না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটার কথা উল্লেখ করা হয়েছে যা বাংলাদেশ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সে কারণে একজন সচেতন নাগরিক এবং একজন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে আমি সংক্ষুব্ধ।

তিনি বলেন, এভাবে বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এ জন্য আমি আইনি প্রতিকার চাওয়ার জন্য রিট করেছি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

রেলওয়ের চাকরিতে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট

প্রকাশের সময় : ০৭:১০:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশ রেলওয়েতে নিয়োগে পোষ্য কোটার বিধান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।

রোববার (১৪ জুলাই) এ বিষয়ে এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মো. রোকনুজ্জামান। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে রেলওয়ের সচিব, রেলওয়ে সচিব ও আইন সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদেশের বিষয়টি জানান রিটকারী আইনজীবী রোকনুজ্জামান।

এর আগে গত ২৬ মে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন তিনি। রিটে রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ তিনজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা নির্ধারণ করে বিধিমালা প্রণয়ন করে। তারা তাদের নিজেদের স্বার্থে উক্ত বিধিমালায় বিষয়টি উল্লেখ করে। যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ জুলাই কোটা বাতিলসংক্রান্ত পরিপত্র ও সংবিধানের ২৭, ২৯ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।

রিটকারী আইনজীবী জানান, যারা বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরি করছেন তাদের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখা হয়েছে। উক্ত কোটা বন্টনের ফলে সমাজের নিম্ন শ্রেণির তথা দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাচালক, কৃষকের সরকারি চাকরি প্রত্যাশী সন্তানদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হবে। যা তাদের প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে।

কোটা বাতিলের বিষয়ে সঠিক প্রতিকার না পেলে দরখাস্তকারীসহ লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার যুবক চাকরি থেকে বঞ্চিত হবে বলেও রিটে উল্লেখ করা হয়েছে।

আইনজীবী রোকনুজজামান আরও বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সংসদে কোনো কোটাই থাকছে না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটার কথা উল্লেখ করা হয়েছে যা বাংলাদেশ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সে কারণে একজন সচেতন নাগরিক এবং একজন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে আমি সংক্ষুব্ধ।

তিনি বলেন, এভাবে বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এ জন্য আমি আইনি প্রতিকার চাওয়ার জন্য রিট করেছি।