Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাজারে এখনও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যেও দাম চড়া

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৪১:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৯২ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শীতের ভরা মৌসুমে চড়া থাকা সবজির দাম বসন্তে এসে সামান্য কমেছে। তবে বছরের অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় এখনও দাম বেশি। অন্যদিকে, পবিত্র শবে বরাতকে সামনে রেখে বেড়েই চলেছে গরুর মাংসের দাম। বাজারে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যও চড়া দামে গিয়ে আটকে গেছে।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

আজকের বাজারে শিম ৬০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৪০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, পেঁয়াজ কলি ৪০ টাকা, মটরশুঁটি ৮০-১০০ টাকা, সাদা মূলা ৪০ টাকা, দেশি গাজর ৪০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৭০ টাকা, কালো গোল বেগুন ৮০ টাকা, শসা ৮০-১০০ টাকা, ক্ষীরাই ৭০ টাকা, উচ্ছে ১২০ টাকা, করল্লা ১৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ১২০ টাকা, পটল ১৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, কচুর লতি ১০০ টাকা, সজনে ১৮০-২০০ টাকা, কচুরমুখী ১২০, কাঁচা মরিচ ৮০-১০০ টাকা, ধনেপাতা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিটি লাউ ১০০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, ব্রকলি ৫০ করে বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে দেখা যায় পেঁয়াজকলি, লম্বা বেগুন, সাদা গোল বেগুন, ধুন্দল, ক্ষীরাই, সজনে, কাঁচা টমেটো, শালগম এই সবজিগুলোর দাম কমেছে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া বেশকিছু সবজির দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।

বাজার করতে আসা মিজানুর রহমান বলেন, সবজির দাম সামান্য কমেছে। রোজার সময় যাতে সবকিছু কম দামে খেতে পারি সেই আশাই করি। তবে আমি জানি যে আমার এই আশা পূরণ হবে না।

আজকের বাজারে আলু-পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কমেছে দেশি রসুন ও চায়না আদার দাম। আজকে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ১২০-১৩০ টাকা, লাল ও সাদা আলু ৩০ টাকা, নতুন দেশি রসুন ১৪০ টাকা, চায়না রসুন ২০০ টাকা, ভারতীয় আদা ২০০-২২০, চায়না আদা ২০০-২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে গত সপ্তাহের সাথে তুলনা করলে দেখা যায় দেশি রসুনের দাম ১০ টাকা এবং চায়না আদার দাম ২০ টাকা কমেছে।

এছাড়া আজকের বাজারে ইলিশ মাছ ওজন অনুযায়ী ১৭০০-২৩০০ টাকা, রুই মাছ ৩৫০-৬০০ টাকা, কাতল মাছ ৪০০-৬৫০ টাকা, কালিবাউশ ৫০০-১০০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৭৫০-১৫০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৪০০ টাকা, কৈ মাছ ২৫০-১২০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০-৭০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০-১২০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০-৮০০ টাকা, মেনি মাছ ৫০০-৮০০ টাকা, বেলে মাছ ১২০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৬০০-১২০০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ১০০০-১২০০ টাকা, শোল মাছ ৭০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ব্রয়লার মুরগি ১৯৬-২১০ টাকা, কক মুরগি ২৯৫-৩০৫ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চড়া দামে আটকে আছে ব্রয়লার মুরগি ও ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। প্রতি হালি বাদামি ডিম ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বড় বাজারে। আর পাড়া মহল্লার দোকানে প্রতি হালি ডিমের দাম ৫০ টাকা, ডজন ১৫০ টাকা। এছাড়া ব্রয়লার মুরগির কেজি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহের সাথে তুলনা করলে আজকের বাজারে বেড়ে গেছে কয়েক প্রকারের ডালের দাম। আজকে ছোট মসুরের ডাল ১৪০ টাকা, মোটা মসুরের ডাল ১১০ টাকা, মুগ ডাল ১৭৫ টাকা, খেসারি ডাল ১১০ টাকা, বুটের ডাল ১১০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে দেখা যায় ছোট মসুরের ডাল ৫ টাকা, বুটের ডাল ১০ টাকা, ছোলা ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া মুদি দোকানের অন্যান্য পণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। আজকে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৩ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৪৯ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১৪৫ টাকা, খোলা চিনি ১৪০ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৫০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১৩০ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়ক বেহাল, দুর্ভোগে স্থানীয়রা

বাজারে এখনও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যেও দাম চড়া

প্রকাশের সময় : ০৩:৪১:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শীতের ভরা মৌসুমে চড়া থাকা সবজির দাম বসন্তে এসে সামান্য কমেছে। তবে বছরের অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় এখনও দাম বেশি। অন্যদিকে, পবিত্র শবে বরাতকে সামনে রেখে বেড়েই চলেছে গরুর মাংসের দাম। বাজারে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যও চড়া দামে গিয়ে আটকে গেছে।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

আজকের বাজারে শিম ৬০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৪০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, পেঁয়াজ কলি ৪০ টাকা, মটরশুঁটি ৮০-১০০ টাকা, সাদা মূলা ৪০ টাকা, দেশি গাজর ৪০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৭০ টাকা, কালো গোল বেগুন ৮০ টাকা, শসা ৮০-১০০ টাকা, ক্ষীরাই ৭০ টাকা, উচ্ছে ১২০ টাকা, করল্লা ১৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ১২০ টাকা, পটল ১৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, কচুর লতি ১০০ টাকা, সজনে ১৮০-২০০ টাকা, কচুরমুখী ১২০, কাঁচা মরিচ ৮০-১০০ টাকা, ধনেপাতা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিটি লাউ ১০০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, ব্রকলি ৫০ করে বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে দেখা যায় পেঁয়াজকলি, লম্বা বেগুন, সাদা গোল বেগুন, ধুন্দল, ক্ষীরাই, সজনে, কাঁচা টমেটো, শালগম এই সবজিগুলোর দাম কমেছে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া বেশকিছু সবজির দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।

বাজার করতে আসা মিজানুর রহমান বলেন, সবজির দাম সামান্য কমেছে। রোজার সময় যাতে সবকিছু কম দামে খেতে পারি সেই আশাই করি। তবে আমি জানি যে আমার এই আশা পূরণ হবে না।

আজকের বাজারে আলু-পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কমেছে দেশি রসুন ও চায়না আদার দাম। আজকে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ১২০-১৩০ টাকা, লাল ও সাদা আলু ৩০ টাকা, নতুন দেশি রসুন ১৪০ টাকা, চায়না রসুন ২০০ টাকা, ভারতীয় আদা ২০০-২২০, চায়না আদা ২০০-২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে গত সপ্তাহের সাথে তুলনা করলে দেখা যায় দেশি রসুনের দাম ১০ টাকা এবং চায়না আদার দাম ২০ টাকা কমেছে।

এছাড়া আজকের বাজারে ইলিশ মাছ ওজন অনুযায়ী ১৭০০-২৩০০ টাকা, রুই মাছ ৩৫০-৬০০ টাকা, কাতল মাছ ৪০০-৬৫০ টাকা, কালিবাউশ ৫০০-১০০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৭৫০-১৫০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৪০০ টাকা, কৈ মাছ ২৫০-১২০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০-৭০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০-১২০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০-৮০০ টাকা, মেনি মাছ ৫০০-৮০০ টাকা, বেলে মাছ ১২০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৬০০-১২০০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ১০০০-১২০০ টাকা, শোল মাছ ৭০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ব্রয়লার মুরগি ১৯৬-২১০ টাকা, কক মুরগি ২৯৫-৩০৫ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চড়া দামে আটকে আছে ব্রয়লার মুরগি ও ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। প্রতি হালি বাদামি ডিম ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বড় বাজারে। আর পাড়া মহল্লার দোকানে প্রতি হালি ডিমের দাম ৫০ টাকা, ডজন ১৫০ টাকা। এছাড়া ব্রয়লার মুরগির কেজি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহের সাথে তুলনা করলে আজকের বাজারে বেড়ে গেছে কয়েক প্রকারের ডালের দাম। আজকে ছোট মসুরের ডাল ১৪০ টাকা, মোটা মসুরের ডাল ১১০ টাকা, মুগ ডাল ১৭৫ টাকা, খেসারি ডাল ১১০ টাকা, বুটের ডাল ১১০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে দেখা যায় ছোট মসুরের ডাল ৫ টাকা, বুটের ডাল ১০ টাকা, ছোলা ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া মুদি দোকানের অন্যান্য পণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। আজকে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৩ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৪৯ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১৪৫ টাকা, খোলা চিনি ১৪০ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৫০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১৩০ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।