Dhaka শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক মাসে রিজার্ভ বাড়ল ২ বিলিয়ন ডলার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৩৪:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১৯৯ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশে রিজার্ভের অবস্থা শক্তিশালী হচ্ছে। চলতি মাসের শুরুতে যেখানে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১৯ বিলিয়ন ডলার তা এখন দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি বৃদ্ধি পেয়ে ২১ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। মূলত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সহ বিভিন্ন আর্থিক সহযোগী সংস্থার ঋণ ও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগের সপ্তাহে রিজার্ভ ১৫১ কোটি মার্কিন ডলার বৃদ্ধির পর এই সপ্তাহে নতুন করে আরও ৭৬ কোটি ডলার বেড়েছে। এর ফলে পরপর টানা দুই সপ্তাহে রিজার্ভ বাড়ল ২২৭ কোটি মার্কিন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনের এই তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শর্তানুযায়ী বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ ২১ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন। এক মাস আগে গত ২৯ নভেম্বর গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী ছিল ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে এক মাসে রিজার্ভ বেড়েছে ২ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক জানান, আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি এসেছে। এছাড়া এডিবি থেকে ৪০০ মিলিয়ন, সাউথ কোরিয়ার একটা ফান্ড থেকে ৯০ মিলিয়নসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থার দেওয়া অর্থ এই মাসে এসেছে। সঙ্গে রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক রয়েছে। সব মিলিয়ে রিজার্ভ ভালো অবস্থায় ফিরছে।

রেমিট্যান্স, রফতানি আয়, বিদেশি বিনিয়োগ, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ থেকে যে ডলার পাওয়া যায় তা দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তৈরি হয়। আবার আমদানি ব্যয়, ঋণের সুদ বা কিস্তি পরিশোধ, বিদেশী কর্মীদের বেতন-ভাতা, পর্যটক বা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাসহ বিভিন্ন খাতে যে ব্যয় হয়, তার মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা চলে যায়। এভাবে আয় ও ব্যয়ের পর যে ডলার থেকে যায় সেটাই রিজার্ভে যোগ হয়। আর বেশি খরচ হলে রিজার্ভ কমে যায়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ছিল ২৫ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার। ২০১৫-১৬ তে ৩০ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ৩২ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ৩৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন। ২০২০-২১ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ৪৬ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪১ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার এবং সব শেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ৩১ বিলিয়ন ডলার।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সুনামগঞ্জে প্রাইভেটকার-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ২

এক মাসে রিজার্ভ বাড়ল ২ বিলিয়ন ডলার

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৪:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশে রিজার্ভের অবস্থা শক্তিশালী হচ্ছে। চলতি মাসের শুরুতে যেখানে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১৯ বিলিয়ন ডলার তা এখন দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি বৃদ্ধি পেয়ে ২১ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। মূলত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সহ বিভিন্ন আর্থিক সহযোগী সংস্থার ঋণ ও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগের সপ্তাহে রিজার্ভ ১৫১ কোটি মার্কিন ডলার বৃদ্ধির পর এই সপ্তাহে নতুন করে আরও ৭৬ কোটি ডলার বেড়েছে। এর ফলে পরপর টানা দুই সপ্তাহে রিজার্ভ বাড়ল ২২৭ কোটি মার্কিন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনের এই তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শর্তানুযায়ী বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ ২১ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন। এক মাস আগে গত ২৯ নভেম্বর গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী ছিল ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে এক মাসে রিজার্ভ বেড়েছে ২ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক জানান, আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি এসেছে। এছাড়া এডিবি থেকে ৪০০ মিলিয়ন, সাউথ কোরিয়ার একটা ফান্ড থেকে ৯০ মিলিয়নসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থার দেওয়া অর্থ এই মাসে এসেছে। সঙ্গে রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক রয়েছে। সব মিলিয়ে রিজার্ভ ভালো অবস্থায় ফিরছে।

রেমিট্যান্স, রফতানি আয়, বিদেশি বিনিয়োগ, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ থেকে যে ডলার পাওয়া যায় তা দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তৈরি হয়। আবার আমদানি ব্যয়, ঋণের সুদ বা কিস্তি পরিশোধ, বিদেশী কর্মীদের বেতন-ভাতা, পর্যটক বা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাসহ বিভিন্ন খাতে যে ব্যয় হয়, তার মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা চলে যায়। এভাবে আয় ও ব্যয়ের পর যে ডলার থেকে যায় সেটাই রিজার্ভে যোগ হয়। আর বেশি খরচ হলে রিজার্ভ কমে যায়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ছিল ২৫ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার। ২০১৫-১৬ তে ৩০ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ৩২ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ৩৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন। ২০২০-২১ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ৪৬ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪১ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার এবং সব শেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ৩১ বিলিয়ন ডলার।