Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

থাইল্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

থাইল্যান্ডে নিয়ন্ত্রণ হারানো একটি বাস রাস্তার পাশের গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খাওয়ার পর ১৪ যাত্রী নিহত হয়েছে। এছাড়া ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ভোরে পশ্চিম থাইল্যান্ডে এই বাস দুর্ঘটনা ঘটে। রাজধানী ব্যাংকক থেকে দক্ষিণে সোংখলা প্রদেশে যাওয়ার সময় প্রচুয়াপ খিরি খান প্রদেশে দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রচুয়াপ খিরি খান প্রদেশটি থাইল্যান্ড উপসাগর এবং মায়ানমারের মধ্যে উপকূলীয় অংশে অবস্থিত।

রাজধানীর সাউদার্ন বাস টার্মিনাল থেকে ৪৬ যাত্রী নিয়ে ডাবল-ডেকার বাসটি সোংখলার নাথাউই জেলায় যাচ্ছিল। প্রাচুইয়াপ খিরি খান প্রদেশে বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

থাই গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, বাসের সামনের অংশ দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। আর গাছটি চেসিসে আটকে আছে।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাস অপারেটর ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি এক বিবৃতিতে বলেছে, আহত সবাইকে একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কোম্পানি এ ঘটনার কারণ তদন্ত করছে।

একজন স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় বাসে তখন ৪৯ জন যাত্রী ছিল। বাসটি রাস্তা থেকে ছিটকে গিয়ে হাট ওয়ানাকর্ন ন্যাশনাল পার্কের কাছে একটি গাছে ধাক্কা দেয়। দেশটির হুয়ে ইয়াং থানার সুপারিনটেনডেন্ট কর্নেল উইরাপাট কেতেসা বলেছেন, ‘আমরা ধারণা করছি চালক হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছিল।’ তিনি আরো বলেন, দুর্ঘটনা থেকে চালক বেঁচে গেছে।

কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তা পুলিশ এখনও তদন্ত করছে। নিহতদের বেশিরভাগই থাই এবং কয়েকজন বার্মিজ বলে জানা গেছে। সাওয়াং রুংরুয়েং রেসকিউ ফাউন্ডেশনের মতে, প্রায় ৩৫ জন আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী থাইপিবিএসের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর বাসটির সামনের অংশ উড়ে যায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, থাইল্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনার হার বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ, যেখানে প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ মারা যায়।

জুলাই মাসে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ফু সিং জেলায় একটি পাহাড়ি সড়ক থেকে বাস উল্টে গেলে চারজন নিহত এবং ৩৪ জন আহত হন।

২০১৪ সালে পূর্বাঞ্চলীয় জেলা প্রচিনবুড়িতে একটি ১৮ চাকার ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জনের প্রাণ যায়। এর মধ্যে বেশিরভাগই ছিল স্কুল শিক্ষার্থী।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

থাইল্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৪

প্রকাশের সময় : ০১:৪০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

থাইল্যান্ডে নিয়ন্ত্রণ হারানো একটি বাস রাস্তার পাশের গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খাওয়ার পর ১৪ যাত্রী নিহত হয়েছে। এছাড়া ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ভোরে পশ্চিম থাইল্যান্ডে এই বাস দুর্ঘটনা ঘটে। রাজধানী ব্যাংকক থেকে দক্ষিণে সোংখলা প্রদেশে যাওয়ার সময় প্রচুয়াপ খিরি খান প্রদেশে দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রচুয়াপ খিরি খান প্রদেশটি থাইল্যান্ড উপসাগর এবং মায়ানমারের মধ্যে উপকূলীয় অংশে অবস্থিত।

রাজধানীর সাউদার্ন বাস টার্মিনাল থেকে ৪৬ যাত্রী নিয়ে ডাবল-ডেকার বাসটি সোংখলার নাথাউই জেলায় যাচ্ছিল। প্রাচুইয়াপ খিরি খান প্রদেশে বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

থাই গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, বাসের সামনের অংশ দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। আর গাছটি চেসিসে আটকে আছে।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাস অপারেটর ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি এক বিবৃতিতে বলেছে, আহত সবাইকে একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কোম্পানি এ ঘটনার কারণ তদন্ত করছে।

একজন স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় বাসে তখন ৪৯ জন যাত্রী ছিল। বাসটি রাস্তা থেকে ছিটকে গিয়ে হাট ওয়ানাকর্ন ন্যাশনাল পার্কের কাছে একটি গাছে ধাক্কা দেয়। দেশটির হুয়ে ইয়াং থানার সুপারিনটেনডেন্ট কর্নেল উইরাপাট কেতেসা বলেছেন, ‘আমরা ধারণা করছি চালক হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছিল।’ তিনি আরো বলেন, দুর্ঘটনা থেকে চালক বেঁচে গেছে।

কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তা পুলিশ এখনও তদন্ত করছে। নিহতদের বেশিরভাগই থাই এবং কয়েকজন বার্মিজ বলে জানা গেছে। সাওয়াং রুংরুয়েং রেসকিউ ফাউন্ডেশনের মতে, প্রায় ৩৫ জন আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী থাইপিবিএসের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর বাসটির সামনের অংশ উড়ে যায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, থাইল্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনার হার বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ, যেখানে প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ মারা যায়।

জুলাই মাসে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ফু সিং জেলায় একটি পাহাড়ি সড়ক থেকে বাস উল্টে গেলে চারজন নিহত এবং ৩৪ জন আহত হন।

২০১৪ সালে পূর্বাঞ্চলীয় জেলা প্রচিনবুড়িতে একটি ১৮ চাকার ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জনের প্রাণ যায়। এর মধ্যে বেশিরভাগই ছিল স্কুল শিক্ষার্থী।