Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পিটিআইয়ের নতুন চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গোহর খান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) নির্দেশে অনুষ্ঠিত আন্তঃদলীয় নির্বাচনে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ব্যারিস্টার গোহর আলী খান। দলটির সাবেক চেয়ারম্যান এবং পাকিস্তানের কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গওহর আলিকে দলের এ পদের জন্য মনোনীত করেছিলেন।

শনিবারের (২ ডিসেম্বর) এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

দলীয় চেয়ারম্যান নির্বাচনে সম্প্রতি ইমরান খানের মনোনয়নে তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন ব্যারিস্টার গোহর।

পিটিআই এর প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়াজুল্লাহ নিয়াজি আজকে এই ফলাফল ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, আন্তঃ দলীয় নির্বাচনে ব্যারিস্টার গহর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

নিয়াজি আরও বলেছেন, পিটিআই-এর কেন্দ্রীয় জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আলি আমিন এবং ইয়াসমিন রশিদ খাইবার পাখতুনখোয়া এবং পাঞ্জাবে দলের প্রাদেশিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েই ইমরানের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে ঘোষণা দেন গোহর।

পেশোয়ারে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, পাকিস্তানে ১৭৫ টি রাজনৈতিক দল রয়েছে। প্রতিটি দলিই ১৯৬০ সাল থেকে ইসিপিকে তাদের আন্তঃদলীয় নির্বাচনের বিশদ বিবরণ সরবরাহ করছে। কিন্তু পিটিআই’র মতো অন্য দলগুলোর তথ্য বা আন্তঃদলীয় নির্বাচনে কখনও নিবিড়ভাবে যাচাই করা হয়নি। মানুষ এটা দেখছে এবং নিপীড়ন বন্ধ করবে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

গোহর আলী আরও বলেন, ইমরান খান তার প্রচেষ্টার কারণে জেলে রয়েছেন। পিটিআই’র উদ্দেশ্য সংগ্রাম করা। যখন নির্বাচন হবে, আমরা সবাইকে পরাজিত করব।

পিটিআই -এর নতুন এ চেয়ারম্যান অভিযোগ করেছেন, দলের নেতৃত্ব অনেক মামলার সম্মুখীন এবং আদালত থেকে কোনোভাবেই রেহাই পাচ্ছে না। গহর বলেন, দলের অনেক নেতা লুকিয়ে আছে বা অনেকেই জেলে বন্দী আছেন।

পিটিআই’র আন্তঃদলীয় নির্বাচনে দলের মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন ওমর আইয়ুব খান। প্রাদেশিকভাবে বেলুচিস্তানের দলীয় সভাপতি নির্বাচিত হন মুনির আহমেদ বেলুচ; সিন্ধুর হয়ে হালিম আদিল শেখ; খাইবার পাখতুনখোয়ায় আলী আমিন গন্ডাপুর এবং পাঞ্জাবের সভাপতি পদে ডা. ইয়াসমিন রশিদ নির্বাচিত হয়েছেন।

এ নির্বাচনে ‘পার্টি চেয়ারম্যানের স্লটের প্রার্থী’ হিসেবে ব্যারিস্টার গোহর আলী খানের মনোনয়ন প্রত্যাখ্যান করেছিলেন পিটিআই’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আকবর এস বাবর। তিনি এটিকে ‘ভোটের পরিবর্তে নির্বাচন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

পিটিআই’র বিরুদ্ধে বিদেশি তহবিল মামলা দায়ের করেছিলেন আকবর এস বাবর। আন্তঃদলীয় নির্বাচন নিয়ে তিনি গণমাধ্যমে নিজের একটি বিবৃতিও পাঠিয়েছিলেন। সেখানে তিনি লিখেছেন- নতুন পিটিআই চেয়ারম্যানের মনোনয়ন পুরো আন্তঃদলীয় নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।

এর আগে, গত মঙ্গলবার দলটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি শের আফজাল খান মারওয়াত বলেছিলেন, দলের চেয়ারম্যান পদের জন্য দলীয় নির্বাচনে ইমরান খান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। তবে সেসময় তার ওই বক্তব্য অস্বীকার করে দলটি।

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন অভিযোগে শতাধিক মামলা হয়েছে। তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তার তিন বছরের কারাদণ্ড হয়। এ মামলায় আপাতত সাজা স্থগিত থাকলেও কূটনৈতিক তারবার্তা ফাঁসের মামলায় তিনি কারাগারে আছেন।

গত সেপ্টেম্বরের শেষদিকে তাকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে নেয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই আছেন পাকিস্তানের ক্রিকেট কিংবদন্তি ও সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

পিটিআইয়ের নতুন চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গোহর খান

প্রকাশের সময় : ০৪:১৪:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) নির্দেশে অনুষ্ঠিত আন্তঃদলীয় নির্বাচনে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ব্যারিস্টার গোহর আলী খান। দলটির সাবেক চেয়ারম্যান এবং পাকিস্তানের কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গওহর আলিকে দলের এ পদের জন্য মনোনীত করেছিলেন।

শনিবারের (২ ডিসেম্বর) এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

দলীয় চেয়ারম্যান নির্বাচনে সম্প্রতি ইমরান খানের মনোনয়নে তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন ব্যারিস্টার গোহর।

পিটিআই এর প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়াজুল্লাহ নিয়াজি আজকে এই ফলাফল ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, আন্তঃ দলীয় নির্বাচনে ব্যারিস্টার গহর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

নিয়াজি আরও বলেছেন, পিটিআই-এর কেন্দ্রীয় জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আলি আমিন এবং ইয়াসমিন রশিদ খাইবার পাখতুনখোয়া এবং পাঞ্জাবে দলের প্রাদেশিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েই ইমরানের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে ঘোষণা দেন গোহর।

পেশোয়ারে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, পাকিস্তানে ১৭৫ টি রাজনৈতিক দল রয়েছে। প্রতিটি দলিই ১৯৬০ সাল থেকে ইসিপিকে তাদের আন্তঃদলীয় নির্বাচনের বিশদ বিবরণ সরবরাহ করছে। কিন্তু পিটিআই’র মতো অন্য দলগুলোর তথ্য বা আন্তঃদলীয় নির্বাচনে কখনও নিবিড়ভাবে যাচাই করা হয়নি। মানুষ এটা দেখছে এবং নিপীড়ন বন্ধ করবে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

গোহর আলী আরও বলেন, ইমরান খান তার প্রচেষ্টার কারণে জেলে রয়েছেন। পিটিআই’র উদ্দেশ্য সংগ্রাম করা। যখন নির্বাচন হবে, আমরা সবাইকে পরাজিত করব।

পিটিআই -এর নতুন এ চেয়ারম্যান অভিযোগ করেছেন, দলের নেতৃত্ব অনেক মামলার সম্মুখীন এবং আদালত থেকে কোনোভাবেই রেহাই পাচ্ছে না। গহর বলেন, দলের অনেক নেতা লুকিয়ে আছে বা অনেকেই জেলে বন্দী আছেন।

পিটিআই’র আন্তঃদলীয় নির্বাচনে দলের মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন ওমর আইয়ুব খান। প্রাদেশিকভাবে বেলুচিস্তানের দলীয় সভাপতি নির্বাচিত হন মুনির আহমেদ বেলুচ; সিন্ধুর হয়ে হালিম আদিল শেখ; খাইবার পাখতুনখোয়ায় আলী আমিন গন্ডাপুর এবং পাঞ্জাবের সভাপতি পদে ডা. ইয়াসমিন রশিদ নির্বাচিত হয়েছেন।

এ নির্বাচনে ‘পার্টি চেয়ারম্যানের স্লটের প্রার্থী’ হিসেবে ব্যারিস্টার গোহর আলী খানের মনোনয়ন প্রত্যাখ্যান করেছিলেন পিটিআই’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আকবর এস বাবর। তিনি এটিকে ‘ভোটের পরিবর্তে নির্বাচন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

পিটিআই’র বিরুদ্ধে বিদেশি তহবিল মামলা দায়ের করেছিলেন আকবর এস বাবর। আন্তঃদলীয় নির্বাচন নিয়ে তিনি গণমাধ্যমে নিজের একটি বিবৃতিও পাঠিয়েছিলেন। সেখানে তিনি লিখেছেন- নতুন পিটিআই চেয়ারম্যানের মনোনয়ন পুরো আন্তঃদলীয় নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।

এর আগে, গত মঙ্গলবার দলটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি শের আফজাল খান মারওয়াত বলেছিলেন, দলের চেয়ারম্যান পদের জন্য দলীয় নির্বাচনে ইমরান খান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। তবে সেসময় তার ওই বক্তব্য অস্বীকার করে দলটি।

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন অভিযোগে শতাধিক মামলা হয়েছে। তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তার তিন বছরের কারাদণ্ড হয়। এ মামলায় আপাতত সাজা স্থগিত থাকলেও কূটনৈতিক তারবার্তা ফাঁসের মামলায় তিনি কারাগারে আছেন।

গত সেপ্টেম্বরের শেষদিকে তাকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে নেয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই আছেন পাকিস্তানের ক্রিকেট কিংবদন্তি ও সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।