আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্মেলনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ছয় বছরের মধ্যে এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। তিনি ২০১৭ সালে সবশেষ যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন। দেশটি সফরকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
অন্যদিকে, এক বছরের মধ্যে এই প্রথম বাইডেন ও সি মুখোমুখি বৈঠকে বসছেন। এই বৈঠককে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে বিরোধ কমানোর একটি সুযোগ হিসেবে দেখছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
চীনা প্রেসিডেন্টকে বহনকারী উড়োজাহাজটি মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সান ফ্রান্সিসকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে তিনি উড়োজাহাজ থেকে বেরিয়ে সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান। তাকে স্বাগত জানান মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজম এবং অন্যান্য মার্কিন প্রতিনিধিরা।
বিমানবন্দর থেকে হোটেলের দিকে যাওয়ার পথে তাকে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে স্বাগত জানান চীনা প্রবাসী ও শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের চীন ও যুক্তরাষ্ট্রে পতাকা উড়াতেও দেখা যায়।
এর আগে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং বলেছেন, সান ফ্রান্সিসকোতে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য শিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই সম্মেলনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বৈঠক হবে।
এপেক সম্মেলনে যোগ দিতে সান ফ্রান্সিসকোর উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে হোয়াইট হাউসে বাইডেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঠিক করাই তার লক্ষ্য। তিনি বলেন, ‘আমরা চীন থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাই না। আমরা দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন করার চেষ্টা করছি।’
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, আসন্ন বৈঠকে দুই নেতা চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক গঠনে কৌশলগত, বিস্তৃত, মৌলিক গুরুত্ব এবং বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রধান বিষয়গুলোর ওপর জোর দেবেন।
মার্কিন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বৈঠকের লক্ষ্য হবে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখা ও ভুলবোঝাবুঝি দূর করা।
উল্লেখ্য গত ফেব্রুয়ারি থেকে বাইডেন চীনের আকাশে গুপ্তচর বেলুন ধ্বংসের নির্দেশ দিলে দু দেশের মধ্যে সম্পর্কে ফাটল ধরে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এর আগে বলেছিলেন, গাজা, তাইওয়ান, ইউক্রেন, নির্বাচনে হস্তক্ষেপের মতো বিষয়গুলো উঠে আসবে এবারে বৈঠকে।