Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়া আরেফী কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফিকে (মিয়া আরেফি) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার এসআই সুজানুর ইসলাম। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পল্টন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেন্টু মিয়া জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাহিদুলকে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করেনি। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানান, রোববার পল্টন থানায় মহিউদ্দিন শিকদার নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে কথিত উপদেষ্টাসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলার বাকি দুই আসামি হলেন- অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী ও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।

এর আগে গত ২৯ অক্টোবর বিমানবন্দর থেকে মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফিকে আটক করে ডিবির হাতে তুলে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরবর্তীতে রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় তার বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা করেন মহিউদ্দিন শিকদার নামে গোপালগঞ্জের একজন বাসিন্দা। মামলায় আরেফি ছাড়াও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন এবং অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল হাসান সোরাওয়ার্দীকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, সরকারি স্থাপনা ও সরকারি গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে। সংঘর্ষের ফলে পুলিশের ৪১ জন আহত ও এক সদস্য নিহত হন। একপর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বিকেল ৩টার দিকে মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন। বিএনপির এই কর্মকাণ্ডের পরবর্তী সময়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে অন্তত ২০ নেতাকর্মী বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। তখন এক নম্বর আসামি মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফি ওরফে মিয়া আরাফি নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়া আরেফী কারাগারে

প্রকাশের সময় : ১০:০৭:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফিকে (মিয়া আরেফি) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার এসআই সুজানুর ইসলাম। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পল্টন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেন্টু মিয়া জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাহিদুলকে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করেনি। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানান, রোববার পল্টন থানায় মহিউদ্দিন শিকদার নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে কথিত উপদেষ্টাসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলার বাকি দুই আসামি হলেন- অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী ও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।

এর আগে গত ২৯ অক্টোবর বিমানবন্দর থেকে মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফিকে আটক করে ডিবির হাতে তুলে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরবর্তীতে রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় তার বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা করেন মহিউদ্দিন শিকদার নামে গোপালগঞ্জের একজন বাসিন্দা। মামলায় আরেফি ছাড়াও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন এবং অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল হাসান সোরাওয়ার্দীকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, সরকারি স্থাপনা ও সরকারি গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে। সংঘর্ষের ফলে পুলিশের ৪১ জন আহত ও এক সদস্য নিহত হন। একপর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বিকেল ৩টার দিকে মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন। বিএনপির এই কর্মকাণ্ডের পরবর্তী সময়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে অন্তত ২০ নেতাকর্মী বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। তখন এক নম্বর আসামি মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফি ওরফে মিয়া আরাফি নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন।