Dhaka মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১০৫ কোটি ৪৯ লাখ ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ব্যাংকিং চ্যানেল তথা বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে। গত আগস্টের ধারাবাহিকতায় সেপ্টেম্বরেও প্রবাসী আয়ে নিম্নগতি রয়েছে। চলতি মাসের প্রথম ২২ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১০৫ কোটি ৪৯ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। সেই হিসাবে দৈনিক আসছে ৪ কোটি ৭৯ লাখ ৫২ হাজার ডলার।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়,চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে সেপ্টেম্বর শেষে রেমিট্যান্স আসবে মাত্র ১৪৪ কোটি ডলার। আগের মাসের চেয়ে যা ১৬ কোটি ডলার কম। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আগের ৬ মাসের মধ্যে তা সর্বনিম্ন।

অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, খোলাবাজারে ডলারের দাম বেশি। ফলে কিছু লাভের আশায় হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। এতে আনুষ্ঠানিক বা ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাহ কমেছে। দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচক রেমিট্যান্স। যার হ্রাস-বৃদ্ধির ওপর অনেকটাই রিজার্ভের উত্থান-পতন নির্ভর করে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেপ্টেম্বরের প্রথম ২২ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে মাধ্যমে ৯ কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৯২ কোটি ৯৮ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার।আগস্টে এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। অর্থাৎ আগের মাসের তুলনায় সবশেষ মাসে প্রবাসী আয় কমেছে ৩৭ কোটি ৩৭ লাখ ডলার।

বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট প্রবাসী আয় আসে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট প্রবাসী আয় এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় আহরণ হয়েছিল, যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।

এদিকে রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ে ডলারের মূল্য এক রেটে ধরা হয়েছে। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে প্রবাসী ও রফতানিকারকরা প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা পাচ্ছেন। এছাড়া আমদানিতে ডলারের দর ১১০ টাকা।

তবে কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে নগদ এক ডলার কিনতে গ্রাহকদের গুণতে হচ্ছে ১১৭ টাকা থেকে ১১৮ টাকার মতো। চিকিৎসা, শিক্ষা বা ভ্রমণের জন্য যারা বিদেশে যাচ্ছেন তাদের নগদ প্রতি ডলার কিনতে দেশি মুদ্রা খরচ করতে হচ্ছে ১১৮ টাকা পর্যন্ত।

প্রসঙ্গত, ডলার রেটসহ সমসাময়িক অর্থনীতির বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক করেন বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) এর নেতারা। বৈঠকে বিএবির পক্ষ থেকে ডলার রেট বাড়ানোর প্রস্তাব দিলে তাতে সায় দেয়নি গভর্নর। বৈঠকে ব্যাংক উদ্যোক্তাদের জানানো হয় বর্তমানের মূল্যস্ফীতি চাপ নিয়ন্ত্রণ এখন ডলার দাম বাড়ানো সম্ভব নয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১০৫ কোটি ৪৯ লাখ ডলার

প্রকাশের সময় : ০৮:১০:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ব্যাংকিং চ্যানেল তথা বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে। গত আগস্টের ধারাবাহিকতায় সেপ্টেম্বরেও প্রবাসী আয়ে নিম্নগতি রয়েছে। চলতি মাসের প্রথম ২২ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১০৫ কোটি ৪৯ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। সেই হিসাবে দৈনিক আসছে ৪ কোটি ৭৯ লাখ ৫২ হাজার ডলার।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়,চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে সেপ্টেম্বর শেষে রেমিট্যান্স আসবে মাত্র ১৪৪ কোটি ডলার। আগের মাসের চেয়ে যা ১৬ কোটি ডলার কম। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আগের ৬ মাসের মধ্যে তা সর্বনিম্ন।

অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, খোলাবাজারে ডলারের দাম বেশি। ফলে কিছু লাভের আশায় হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। এতে আনুষ্ঠানিক বা ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাহ কমেছে। দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচক রেমিট্যান্স। যার হ্রাস-বৃদ্ধির ওপর অনেকটাই রিজার্ভের উত্থান-পতন নির্ভর করে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেপ্টেম্বরের প্রথম ২২ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে মাধ্যমে ৯ কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৯২ কোটি ৯৮ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার।আগস্টে এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। অর্থাৎ আগের মাসের তুলনায় সবশেষ মাসে প্রবাসী আয় কমেছে ৩৭ কোটি ৩৭ লাখ ডলার।

বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট প্রবাসী আয় আসে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট প্রবাসী আয় এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় আহরণ হয়েছিল, যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।

এদিকে রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ে ডলারের মূল্য এক রেটে ধরা হয়েছে। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে প্রবাসী ও রফতানিকারকরা প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা পাচ্ছেন। এছাড়া আমদানিতে ডলারের দর ১১০ টাকা।

তবে কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে নগদ এক ডলার কিনতে গ্রাহকদের গুণতে হচ্ছে ১১৭ টাকা থেকে ১১৮ টাকার মতো। চিকিৎসা, শিক্ষা বা ভ্রমণের জন্য যারা বিদেশে যাচ্ছেন তাদের নগদ প্রতি ডলার কিনতে দেশি মুদ্রা খরচ করতে হচ্ছে ১১৮ টাকা পর্যন্ত।

প্রসঙ্গত, ডলার রেটসহ সমসাময়িক অর্থনীতির বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক করেন বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) এর নেতারা। বৈঠকে বিএবির পক্ষ থেকে ডলার রেট বাড়ানোর প্রস্তাব দিলে তাতে সায় দেয়নি গভর্নর। বৈঠকে ব্যাংক উদ্যোক্তাদের জানানো হয় বর্তমানের মূল্যস্ফীতি চাপ নিয়ন্ত্রণ এখন ডলার দাম বাড়ানো সম্ভব নয়।