Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামসহ ৪ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও দ্ইু দিন বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢল আর জলাবদ্ধতায় পর্যুদস্ত চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বুধ ও বৃহস্পতিবার বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক সভার পর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রায় বন্যাসদৃশ পরিস্থিতি কারণে ওই এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সেখানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যার ‍সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য কাল ও পরশু বান্দরবান, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। প্রায় বন্যাসদৃশ পরিস্থিতি কারণে ওই এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে। তবে রাঙামাটির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।

অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে মঙ্গলবারও চট্টগ্রাম মহানগরীর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।

পাঁচ দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি নদীগুলোর পানি বেড়ে এবং খাল-জলাশয় উপচে চট্টগ্রামের ১৩টি উপজেলার প্রায় ৬ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নগরীর বাসিন্দাদেরও।

ঢলের কারণে বান্দরবান শহরের অনেক এলাকাই এখন জলমগ্ন। কিছু কিছু জায়গায় পাহাড় ধসের কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। জেলার বেশির ভাগ এলাকা বিদ্যুৎহীন থাকায় এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।

কক্সবাজার জেলার সাতটি উপজেলার কমপক্ষে ৪৫টি ইউনিয়নের সাড়ে চার লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে যান চলাচল।

টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে মাইনী নদীর পানি বেড়ে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির নিচু এলাকাও প্লাবিত হয়েছে। দীঘিনালা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে এক হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে দুর্গতদের সহায়তায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর মঙ্গলবার জানিয়েছে, সেনা সদস্যের মাধ্যমে নিরলসভাবে উদ্ধার তৎপরতা, জরুরি ত্রাণ পরিচালনা ও চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

চট্টগ্রামসহ ৪ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও দ্ইু দিন বন্ধ

প্রকাশের সময় : ০৬:১৭:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢল আর জলাবদ্ধতায় পর্যুদস্ত চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বুধ ও বৃহস্পতিবার বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক সভার পর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রায় বন্যাসদৃশ পরিস্থিতি কারণে ওই এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সেখানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যার ‍সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য কাল ও পরশু বান্দরবান, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। প্রায় বন্যাসদৃশ পরিস্থিতি কারণে ওই এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে। তবে রাঙামাটির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।

অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে মঙ্গলবারও চট্টগ্রাম মহানগরীর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।

পাঁচ দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি নদীগুলোর পানি বেড়ে এবং খাল-জলাশয় উপচে চট্টগ্রামের ১৩টি উপজেলার প্রায় ৬ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নগরীর বাসিন্দাদেরও।

ঢলের কারণে বান্দরবান শহরের অনেক এলাকাই এখন জলমগ্ন। কিছু কিছু জায়গায় পাহাড় ধসের কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। জেলার বেশির ভাগ এলাকা বিদ্যুৎহীন থাকায় এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।

কক্সবাজার জেলার সাতটি উপজেলার কমপক্ষে ৪৫টি ইউনিয়নের সাড়ে চার লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে যান চলাচল।

টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে মাইনী নদীর পানি বেড়ে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির নিচু এলাকাও প্লাবিত হয়েছে। দীঘিনালা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে এক হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে দুর্গতদের সহায়তায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর মঙ্গলবার জানিয়েছে, সেনা সদস্যের মাধ্যমে নিরলসভাবে উদ্ধার তৎপরতা, জরুরি ত্রাণ পরিচালনা ও চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।