আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোর ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (২৯ জুলাই) তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানায় বিবিসি। তার নাম নিকোলাস পেট্রো। তদন্তের অংশ হিসেবে নিকোলাস পেট্রোর সাবেক স্ত্রী ডেসুরিস ভাজকেজকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি কলম্বিয়ার আটলান্টিকো প্রদেশের রাজনীতিবিদ। তবে নিকোলাস পেট্রো তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গুস্তাভো পেট্রোর শান্তি প্রচেষ্টা ও নির্বাচনী প্রচারের জন্য তার ছেলেকে মাদক পাচারকারীরা অর্থ দিয়েছিলেন এমন অভিযোগে নিকোলাস পেট্রোকে গ্রেফতার করা হয়।
কলম্বিয়ার প্রথম বামপন্থী প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো দেশটির মাদক পাচারকারীদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি গত মার্চ মাসে দেশটির প্রসিকিউটরদের তার ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
নিকোলাসের সাবেক স্ত্রী ভাসকুয়েজ গত মার্চে অভিযোগ করেছিলেন, ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট গুস্তোভোর নির্বাচনি প্রচারণার সময় নিকোলাস মাদক চোরাচালানকারীদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ নিয়েছিলেন। তবে সেগুলো নির্বাচনে খরচ না করে তিনি উত্তরের শহর বারানকুয়েলায় বিলাসি জীবন-যাবনে ব্যয় করেছেন।
প্রেসিডেন্ট মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে লিখেছেন, ‘একজন বাবা হিসেবে, এ ধরনে আত্মধ্বংস এবং আমার ছেলেকে জেলে যেতে দেখা খুবই বেদনার। প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি প্রধান কৌঁসুলির কার্যালয়কে নিশ্চয়তা দিয়েছি তারা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে সব ধরনের নিশ্চয়তা পাবে।’
রাজনীতিতে নাম লেখানোর আগে গুস্তাভো একজন বিদ্রোহী যোদ্ধা ছিলেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবসময় শক্ত অবস্থানে থাকা গুস্তাভো সাধারণ বিদ্রোহী থেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। ফলে নিজ ছেলের দুর্নীতিকে বরদাস্ত করবেন না তিনি।
নিকোলাসের সাবেক স্ত্রী ভাসকুয়েজ মার্চে টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তার স্বামী নির্বাচনি প্রচারণার কথা বলে স্যামুয়েল সান্তান্দার নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার ডলার নিয়েছিলেন। স্যামুয়েল একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামী। নিকোলাস যে নির্বাচনের কথা বলে অর্থ নিয়েছেন সেটি তার তার বাবাও জানতেন না বলে জানিয়েছিলেন ভাসকুয়েজ।