Dhaka মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদে অপরিবর্তিত রয়েছে বাজার, বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঈদের দিনগুলোতে অপরিবর্তিত রয়েছে বাজার পরিস্থিতি। আমদানির পরেও কমেনি কাঁচামরিচের দাম। ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। বাজারে এখন প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়। এমনকি এক পোয়া কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। যা ঈদের আগের দিনও বুধবার (২৭ জুন) যা ৩০০-৪০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

শুক্রবার (৩০ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি দোকানে প্রতি পাল্লা কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকায়। অর্থাৎ কেজি প্রতি ৩০০ টাকা। ভারত থেকে আমদানি হওয়া কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা পাল্লা। খুচরা ব্যবসায়ীরা এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন ১০০ টাকায়। এক কেজি কিনলে দাম রাখা হচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা।

মুগদা কাঁচাবাজারে কথা হলে আনিস নামে এক ক্রেতা বলেন, জীবনেও কাঁচা মরিচের এমন দাম দেখিনাই। অন্যান্য কোনো জিনিসের এত বেশি দাম উঠেনাই। ভাবছিলাম সালাদে-ভর্তায় খাওয়ার জন্য অল্প মরিচ কিনব। দাম দেখে আর কিনলাম না।

তারিকুল নামে আরেক ক্রেতা বলেন, এইটা কোনো কথা! এক কেজি কাঁচা মরিচ ৬০০ টাকা কিভাবে হয়। প্রয়োজনে সারাবছর কাঁচামরিচ খাব না, তাও এই দামে কিনব না।

অন্যদিকে দোকানিদের দাবি- আরতে মরিচই নাই। যে দু-একজন কাঁচামরিচ নিয়ে আসছে, আকাশছোঁয়া দাম।

বাজারে কাঁচা পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০, ঝিঙা ৭০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৭০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গুঁড়ি কচু প্রতি কেজি ১০০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, দেশি আলু (লাল) প্রতি কেজি ৬০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে দাম বেড়েছে শসার। গত সপ্তাহে ৬০-৭০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে সেটি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

কারওয়ান বাজার থেকে পাইকারি দরে সবজি কিনে এনে খুচরা বাজারে সবজি বিক্রি করেন বাবুল। তিনি বলেন, মূলত গত সপ্তাহ থেকে সব ধরনের সবজির দাম কিছুটা বাড়তি। এর মূল কারণ অনেক সবজির মৌসুম শেষ হয়ে গেছে। এখন নতুন করে সবজি ওঠার আগ পর্যন্ত এমন বাড়তি দাম থাকতে পারে। এছাড়া কোরবানির গরু পরিবহন করায় সবজির বাজারে পরিবহনের একটা সংকট ছিল, সবজির বাজার এর প্রভাব রয়ে গেছে।

অন্যদিকে, আগের মতো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাংস। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, ব্রয়লার প্রতি কেজি ১৮০-১৯০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০ টাকা এবং লাল লেয়ার প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাঙাশ মাছ সাইজ ভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ টাকা, রুই মাছ ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, চাষের কই ৩০০ টাকা, বড় চিংড়ি ৭০০ টাকা, বড় কাতল ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, বোয়াল মাছ ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, সিলভার কার্ভ (ছোট) প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মাছের বাড়তি দাম নিয়ে জানতে চাইলে মহাখালী মাছ বাজারের মাছ বিক্রেতা মোয়াজ্জেম বলেন, আড়ত, পাইকারি বাজারেই মাছের দাম বাড়তি। আমাদের বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে। যার কারণে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আর শুক্রবারে এমনিতেই মাছের চাহিদা একটু বেশি থাকে, সে কারণেও কিছুটা দাম বাড়ে।

এদিকে, প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি ২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডজন লাল ডিম ১৪০ টাকা ও হাঁসের ডিম ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মা-বাবা চিকেন হাউজের বিক্রয়কর্মী আরিফ বলছেন, কোরবানির ঈদে মুরগির মাংসের দাম কিছুটা কম থাকে। গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১৫ টাকা, সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ৩০ টাকা কমেছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আপস করলে খালেদা জিয়া অনেক আগেই ক্ষমতায় বসতে পারতেন : সেলিমা রহমান

ঈদে অপরিবর্তিত রয়েছে বাজার, বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম

প্রকাশের সময় : ০২:৪৪:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঈদের দিনগুলোতে অপরিবর্তিত রয়েছে বাজার পরিস্থিতি। আমদানির পরেও কমেনি কাঁচামরিচের দাম। ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। বাজারে এখন প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়। এমনকি এক পোয়া কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। যা ঈদের আগের দিনও বুধবার (২৭ জুন) যা ৩০০-৪০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

শুক্রবার (৩০ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি দোকানে প্রতি পাল্লা কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকায়। অর্থাৎ কেজি প্রতি ৩০০ টাকা। ভারত থেকে আমদানি হওয়া কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা পাল্লা। খুচরা ব্যবসায়ীরা এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন ১০০ টাকায়। এক কেজি কিনলে দাম রাখা হচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা।

মুগদা কাঁচাবাজারে কথা হলে আনিস নামে এক ক্রেতা বলেন, জীবনেও কাঁচা মরিচের এমন দাম দেখিনাই। অন্যান্য কোনো জিনিসের এত বেশি দাম উঠেনাই। ভাবছিলাম সালাদে-ভর্তায় খাওয়ার জন্য অল্প মরিচ কিনব। দাম দেখে আর কিনলাম না।

তারিকুল নামে আরেক ক্রেতা বলেন, এইটা কোনো কথা! এক কেজি কাঁচা মরিচ ৬০০ টাকা কিভাবে হয়। প্রয়োজনে সারাবছর কাঁচামরিচ খাব না, তাও এই দামে কিনব না।

অন্যদিকে দোকানিদের দাবি- আরতে মরিচই নাই। যে দু-একজন কাঁচামরিচ নিয়ে আসছে, আকাশছোঁয়া দাম।

বাজারে কাঁচা পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০, ঝিঙা ৭০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৭০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গুঁড়ি কচু প্রতি কেজি ১০০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, দেশি আলু (লাল) প্রতি কেজি ৬০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে দাম বেড়েছে শসার। গত সপ্তাহে ৬০-৭০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে সেটি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

কারওয়ান বাজার থেকে পাইকারি দরে সবজি কিনে এনে খুচরা বাজারে সবজি বিক্রি করেন বাবুল। তিনি বলেন, মূলত গত সপ্তাহ থেকে সব ধরনের সবজির দাম কিছুটা বাড়তি। এর মূল কারণ অনেক সবজির মৌসুম শেষ হয়ে গেছে। এখন নতুন করে সবজি ওঠার আগ পর্যন্ত এমন বাড়তি দাম থাকতে পারে। এছাড়া কোরবানির গরু পরিবহন করায় সবজির বাজারে পরিবহনের একটা সংকট ছিল, সবজির বাজার এর প্রভাব রয়ে গেছে।

অন্যদিকে, আগের মতো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাংস। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, ব্রয়লার প্রতি কেজি ১৮০-১৯০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০ টাকা এবং লাল লেয়ার প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাঙাশ মাছ সাইজ ভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ টাকা, রুই মাছ ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, চাষের কই ৩০০ টাকা, বড় চিংড়ি ৭০০ টাকা, বড় কাতল ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, বোয়াল মাছ ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, সিলভার কার্ভ (ছোট) প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মাছের বাড়তি দাম নিয়ে জানতে চাইলে মহাখালী মাছ বাজারের মাছ বিক্রেতা মোয়াজ্জেম বলেন, আড়ত, পাইকারি বাজারেই মাছের দাম বাড়তি। আমাদের বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে। যার কারণে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আর শুক্রবারে এমনিতেই মাছের চাহিদা একটু বেশি থাকে, সে কারণেও কিছুটা দাম বাড়ে।

এদিকে, প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি ২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডজন লাল ডিম ১৪০ টাকা ও হাঁসের ডিম ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মা-বাবা চিকেন হাউজের বিক্রয়কর্মী আরিফ বলছেন, কোরবানির ঈদে মুরগির মাংসের দাম কিছুটা কম থাকে। গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১৫ টাকা, সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ৩০ টাকা কমেছে।