Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদ সামনে রেখে বেড়েছে প্রবাসী আয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রবাসী আয়ে (রেমিট্যান্স) গতি বেড়েছে। চলতি জুন মাসের প্রতিদিন প্রায় ৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা ৬৯৪ কোটি টাকার (প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা ধরে) প্রবাসী আয় আসছে দেশে। রেমিট্যান্স আসার এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে প্রায় দুই বিলিয়নের কাছাকাছি (১৯১ কোটি ডলারের বেশি) চলে যাবে।

রোববার (১৮ জুন) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি মাস জুনের প্রথম ১৬ দিনে ১১২ কোটি ৫৯ লাখ ডলার বা ১২ হাজার ২১৬ কোটি টাকার প্রবাসী আয় এসেছে দেশে। মাসটিতে প্রতিদিন আসছে প্রায় ৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা ৬৯৪ কোটি টাকা। রেমিট্যান্স আসার এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে প্রায় দুই বিলিয়নের কাছাকাছি বা ১৯১ কোটি ডলারের বেশি আসবে। আর বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২০ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

এর আগে সব শেষ মে মাসের পুরো সময়ে ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার এসেছিল। সে হিসাবে এখন পর্যন্ত মে মাসের চেয়ে চলতি জুন মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে প্রবাসীরা তাদের পরিবারের কাছে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। বাকি সময়ে আরও বেশি রেমিট্যান্স আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জুন মাসের প্রথম ১৬ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২০ কোটি ৭২ লাখ ১০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ কোটি ৯২ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৮৫ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এছাড়া বিদেশিখাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩২ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স।

আলোচিত সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৮টিতে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি খাতের বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, কমিউনিটি ব্যাংক লিমিটেড, সিটিজেনস ব্যাংক পিএলসি। আর বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- হাবিব ব্যাংক লিমিটেড, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা জানান, বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠালে নগদ প্রণোদনা পাওয়া যায়। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে প্রবাসীরা দেশে পরিবার পরিজনের নিকট রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে। ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে। রেমিট্যান্সের এই ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে প্রবাসী আয় ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রেমিট্যান্স বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানা উদ্যোগ নিয়েছে। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত বছর ১৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে প্রবাসীদের উদ্দেশে জানায়, বৈধ পথে বা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণ করুন, প্রিয়জনকে ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ রাখুন। হুন্ডি বা অন্য কোনো অবৈধ পথে রেমিট্যান্স না পাঠানোর জন্য এভাবে আহ্বান জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, প্রবাসী বাংলাদেশিদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে (হুন্ডি বা অন্য কোনো অবৈধ পথে) প্রেরণ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ এবং এতে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রবাসীদের উদ্দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানায়, আপনাদের অর্জিত মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা হুন্ডি বা অন্য কোনো অবৈধ পথে না পাঠিয়ে বৈধ পথে বা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে প্রেরণ করুন, দেশ গড়ায় মূল্যবান অবদান রাখুন এবং আপনার প্রিয়জনকে ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ রাখুন। আরও জানায়, অবৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে প্রমাণ সাপেক্ষে প্রচলিত আইনে বিএফআইইউ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

এছাড়া রেমিট্যান্স বাড়াতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে – প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম বাড়ানো, বৈধ উপায়ে ওয়েজ আর্নার্স রেমিট্যান্সের বিপরীতে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনা, সরকার রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা প্রদান, রেমিট্যান্স বিতরণ প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ ও সহজিকরণ পাশাপাশি অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ণ অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া, ফিনটেক পদ্ধতির আওতায় আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরকে বাংলাদেশের ব্যাংকের সাথে ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্বুদ্ধকরণ এবং রেমিট্যান্স প্রেরণে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর চার্জ ফি মওকুফ করা হয়েছে। সর্বশেষ সেবার বিনিময়ে দেশে রেমিট্যান্স আয় আনতে ফরম সি পূরণ করার শর্ত শিথিল করেছে এবং সেবা খাতের উদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারকরা ঘোষণা ছাড়াই ২০ হাজার মার্কিন ডলারে বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার সুযোগ।

গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্রিজের সুফল পাচ্ছে না সাত গ্রামের মানুষ

ঈদ সামনে রেখে বেড়েছে প্রবাসী আয়

প্রকাশের সময় : ০১:২৬:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রবাসী আয়ে (রেমিট্যান্স) গতি বেড়েছে। চলতি জুন মাসের প্রতিদিন প্রায় ৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা ৬৯৪ কোটি টাকার (প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা ধরে) প্রবাসী আয় আসছে দেশে। রেমিট্যান্স আসার এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে প্রায় দুই বিলিয়নের কাছাকাছি (১৯১ কোটি ডলারের বেশি) চলে যাবে।

রোববার (১৮ জুন) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি মাস জুনের প্রথম ১৬ দিনে ১১২ কোটি ৫৯ লাখ ডলার বা ১২ হাজার ২১৬ কোটি টাকার প্রবাসী আয় এসেছে দেশে। মাসটিতে প্রতিদিন আসছে প্রায় ৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা ৬৯৪ কোটি টাকা। রেমিট্যান্স আসার এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে প্রায় দুই বিলিয়নের কাছাকাছি বা ১৯১ কোটি ডলারের বেশি আসবে। আর বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২০ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

এর আগে সব শেষ মে মাসের পুরো সময়ে ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার এসেছিল। সে হিসাবে এখন পর্যন্ত মে মাসের চেয়ে চলতি জুন মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে প্রবাসীরা তাদের পরিবারের কাছে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। বাকি সময়ে আরও বেশি রেমিট্যান্স আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জুন মাসের প্রথম ১৬ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২০ কোটি ৭২ লাখ ১০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ কোটি ৯২ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৮৫ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এছাড়া বিদেশিখাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩২ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স।

আলোচিত সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৮টিতে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি খাতের বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, কমিউনিটি ব্যাংক লিমিটেড, সিটিজেনস ব্যাংক পিএলসি। আর বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- হাবিব ব্যাংক লিমিটেড, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা জানান, বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠালে নগদ প্রণোদনা পাওয়া যায়। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে প্রবাসীরা দেশে পরিবার পরিজনের নিকট রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে। ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে। রেমিট্যান্সের এই ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে প্রবাসী আয় ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রেমিট্যান্স বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানা উদ্যোগ নিয়েছে। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত বছর ১৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে প্রবাসীদের উদ্দেশে জানায়, বৈধ পথে বা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণ করুন, প্রিয়জনকে ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ রাখুন। হুন্ডি বা অন্য কোনো অবৈধ পথে রেমিট্যান্স না পাঠানোর জন্য এভাবে আহ্বান জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, প্রবাসী বাংলাদেশিদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে (হুন্ডি বা অন্য কোনো অবৈধ পথে) প্রেরণ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ এবং এতে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রবাসীদের উদ্দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানায়, আপনাদের অর্জিত মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা হুন্ডি বা অন্য কোনো অবৈধ পথে না পাঠিয়ে বৈধ পথে বা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে প্রেরণ করুন, দেশ গড়ায় মূল্যবান অবদান রাখুন এবং আপনার প্রিয়জনকে ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ রাখুন। আরও জানায়, অবৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে প্রমাণ সাপেক্ষে প্রচলিত আইনে বিএফআইইউ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

এছাড়া রেমিট্যান্স বাড়াতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে – প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম বাড়ানো, বৈধ উপায়ে ওয়েজ আর্নার্স রেমিট্যান্সের বিপরীতে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনা, সরকার রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা প্রদান, রেমিট্যান্স বিতরণ প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ ও সহজিকরণ পাশাপাশি অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ণ অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া, ফিনটেক পদ্ধতির আওতায় আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরকে বাংলাদেশের ব্যাংকের সাথে ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্বুদ্ধকরণ এবং রেমিট্যান্স প্রেরণে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর চার্জ ফি মওকুফ করা হয়েছে। সর্বশেষ সেবার বিনিময়ে দেশে রেমিট্যান্স আয় আনতে ফরম সি পূরণ করার শর্ত শিথিল করেছে এবং সেবা খাতের উদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারকরা ঘোষণা ছাড়াই ২০ হাজার মার্কিন ডলারে বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার সুযোগ।

গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।