লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি :
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের কালীরহাট সীমান্তের ভারতীয় অংশে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে ইউসুফ আলী (২৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পরে বিএসএফের সহযোগিতায় ভারতের মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ ইউসুফের মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
রোববার (৪ জুন) রাত পৌনে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ তিস্তা ব্যাটালিয়ন-২ (৬১ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ইউসুফ আলী যুবক লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জগতবের ইউনিয়নের মেসের ডাঙ্গা গ্রামের শাহা জামালের ছেলে।
সীমান্ত সূত্রে জানা যায়, রোববার গভীর রাতে ইউসুফ আলীসহ আরও কয়েকজন গরু পারাপারের জন্য সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে পাটগ্রাম উপজেলার ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন আওতাধীন কালীরহাট বিওপি সীমান্তের মেইন পিলার নাম্বার ৮৫৭ সাব-পিলার ১৩ পেরিয়ে ভারতের ২০০ গজ অভ্যন্তরে সরকারপাড়ায় প্রবেশ করে। পরে ভারতীয় অংশের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার ১৬৯ রানীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়ন মীররাপা ক্যাম্পের টহল দল তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে সেখানেই ইউসুফের মৃত্যু হয়। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে বিএসএফের সহযোগিতায় মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে বিজিবি-বিএসএফ পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করে মরদেহ নিয়ে আসা হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জগতবেড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল বলেন, ১০-১২ জন গরু আনতে ভারতীয় সীমানায় প্রবেশ করেন। ভোরে ভারতের সরকারপাড়া এলাকা থেকে তারা গরু নিয়ে বাংলাদেশে ফিরছিলেন। এসময় সীমান্তে টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্যো করে গুলি করেন। অন্যরা পালিয়ে বাংলাদেশে আসলেও ইউসুফ গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে বিএসএফ নিহত বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার করে নিজেদের জিম্মায় নেয়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম বলেন, বিষয়টি শোনার পর বিওপি ক্যাম্পে যোগাযোগ করা হয়েছে। এ ছাড়া কেন গুলি করা হয়েছে—তা জানতে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক করা হবে।