Dhaka শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে শেখ হাসিনাকে আবারও নির্বাচিত করতে হবে : মির্জা আজম

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও সরকারপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত করতে হবে।

শুক্রবার (১৯ মে) যাত্রাবাড়ীর কাজলা ব্রিজ মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় আয়োজিত এক শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, অতীতে যেভাবে রাজপথে থেকে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছেন, সামনের দিনগুলোতেও একইভাবে রাজপথে থেকে বিএনপি-জামায়াতের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করতে হবে।

মির্জা আজম বলেন, বিএনপি গত কয়েকদিন আগে একটা সমাবেশ করে বলেছে, তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। যে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার জন্য পরিকল্পনা করেছে তারা কী গণতন্ত্র শেখাতে চায়। অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে বিএনপি গঠন করেছিলেন। তারা এখন গণতন্ত্রের কথা বলে, গণতন্ত্র উদ্ধারের কথা বলে। গণতন্ত্র হরণকারীদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। বিএনপি ষড়যন্ত্রের কথা বলে, বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। বিএনপি অত্যাচারের কথা বলে, অথচ এই বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা বাসায় থাকতে পারেনি, আহসানুল্লাহ মাস্টার, কিবরিয়াসহ অসংখ্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগের এমন কোনো নেতা ছিল না যে মামলা দিয়ে অত্যাচার হয়রানি করেনি।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। জিয়াউর রহমান মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করেছে। শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। এক সময় বিশ্বের কাছে এদেশ ছিল দারিদ্র্য। সেই দেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি হয়েছে। গত ১৪ বছরে দেশের উন্নয়নে আজকে শেখ হাসিনা বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

তিনি বলেন, ১৯৯১-৯৬ এবং ২০০১-২০০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থেকে অত্যাচার-নির্যাতন, গুম, খুনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। তাদের সেই সময়ে দুর্বিষহ দিন কাটিয়েছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা। ঘরে ঘুমাতে পারে নাই, ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারতো না, প্রতিটি নেতাকর্মীর নামে ডজন ডজন মামলা দিয়েছিল।

মির্জা আজম আরও বলেন, টানা ১৫ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে সর্বক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। আজ মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে, শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেয়েছে, নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি পেয়েছে, সাধারণ মানুষ ভালো আছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তবতা, আমাদের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ।

মির্জা আজম বলেন, বিএনপি যতই বলুক নির্বাচনে যাবে না। কিন্তু না তাদের (বিএনপি নেতাকর্মী) ফেরানো যায় না। আপনারা নির্বাচন করবেন না কিন্তু আপনারদের নেতাকর্মী ঠিক নির্বাচন করছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির ২৪ জন কাউন্সিল অংশ নিয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরও বলেন, জিয়াউর রহমান মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করেছেন। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকার সময়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন খালেদা জিয়া ও তারপুত্র তারেক রহমান। আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্মম নির্যাতন করেছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা সভাপতিত্বে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা-৫ আসনের সাংসদ কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শামসুল আলম অনিক, উপ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদশ সৈকত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাফর আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান, গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু, উপদপ্তর সম্পাদক এমাদাদ হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৬৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল ও ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান পলিন প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে শেখ হাসিনাকে আবারও নির্বাচিত করতে হবে : মির্জা আজম

প্রকাশের সময় : ০৬:৫৭:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও সরকারপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত করতে হবে।

শুক্রবার (১৯ মে) যাত্রাবাড়ীর কাজলা ব্রিজ মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় আয়োজিত এক শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, অতীতে যেভাবে রাজপথে থেকে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছেন, সামনের দিনগুলোতেও একইভাবে রাজপথে থেকে বিএনপি-জামায়াতের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করতে হবে।

মির্জা আজম বলেন, বিএনপি গত কয়েকদিন আগে একটা সমাবেশ করে বলেছে, তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। যে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার জন্য পরিকল্পনা করেছে তারা কী গণতন্ত্র শেখাতে চায়। অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে বিএনপি গঠন করেছিলেন। তারা এখন গণতন্ত্রের কথা বলে, গণতন্ত্র উদ্ধারের কথা বলে। গণতন্ত্র হরণকারীদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। বিএনপি ষড়যন্ত্রের কথা বলে, বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। বিএনপি অত্যাচারের কথা বলে, অথচ এই বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা বাসায় থাকতে পারেনি, আহসানুল্লাহ মাস্টার, কিবরিয়াসহ অসংখ্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগের এমন কোনো নেতা ছিল না যে মামলা দিয়ে অত্যাচার হয়রানি করেনি।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। জিয়াউর রহমান মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করেছে। শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। এক সময় বিশ্বের কাছে এদেশ ছিল দারিদ্র্য। সেই দেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি হয়েছে। গত ১৪ বছরে দেশের উন্নয়নে আজকে শেখ হাসিনা বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

তিনি বলেন, ১৯৯১-৯৬ এবং ২০০১-২০০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থেকে অত্যাচার-নির্যাতন, গুম, খুনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। তাদের সেই সময়ে দুর্বিষহ দিন কাটিয়েছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা। ঘরে ঘুমাতে পারে নাই, ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারতো না, প্রতিটি নেতাকর্মীর নামে ডজন ডজন মামলা দিয়েছিল।

মির্জা আজম আরও বলেন, টানা ১৫ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে সর্বক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। আজ মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে, শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেয়েছে, নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি পেয়েছে, সাধারণ মানুষ ভালো আছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তবতা, আমাদের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ।

মির্জা আজম বলেন, বিএনপি যতই বলুক নির্বাচনে যাবে না। কিন্তু না তাদের (বিএনপি নেতাকর্মী) ফেরানো যায় না। আপনারা নির্বাচন করবেন না কিন্তু আপনারদের নেতাকর্মী ঠিক নির্বাচন করছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির ২৪ জন কাউন্সিল অংশ নিয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরও বলেন, জিয়াউর রহমান মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করেছেন। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকার সময়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন খালেদা জিয়া ও তারপুত্র তারেক রহমান। আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্মম নির্যাতন করেছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা সভাপতিত্বে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা-৫ আসনের সাংসদ কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শামসুল আলম অনিক, উপ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদশ সৈকত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাফর আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান, গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু, উপদপ্তর সম্পাদক এমাদাদ হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৬৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল ও ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান পলিন প্রমুখ।