Dhaka রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেয়র আরিফুলের নিরাপত্তায় থাকা আনসার সদস্য প্রত্যাহার

সিলেট জেলা প্রতিনিধি : 

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র ও বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ মে) রাত ১০টার পর মেয়রের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যদের প্রত্যাহার করে নেয় জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়।

মেয়র আরিফুলের অভিযোগ, আগাম না জানিয়ে হঠাৎ তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ভিডিপি সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সিসিক সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বছর আগে জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয় থেকে ২৩ জন আনসার সদস্যকে নিয়োগ দেয় সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে পাঁচজন আনসার সদস্য দিন ও রাতে পালাক্রমে মেয়রের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। পাশাপাশি মেয়রের বাসভবনে নিরাপত্তার দায়িত্বও পালন করছিলেন এই আনসার সদস্যরা।

এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আমার বাসা, নগর ভবন, গাড়িতে এ যেসব আনসার সদস্যরা দায়িত্বে ছিলেন তাদের উইথড্রো করে নেওয়া হয়েছে। কোনো ধরনের আগাম নোটিশ না দিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, যেখানে আমরা তাদের অগ্রিম টাকা দিয়ে চিঠি মারফত চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে সার্ভিস নিচ্ছি। সেখানে তারা কোনো ধরনের লিখিত বা মৌখিক নোটিশ না দিয়ে আনসার সদস্যদের নিয়ে গেছে। সরিয়ে নিতে হলে ন্যূনতম একটি চিঠি দেওয়া নতুবা দিনের বেলা অফিসিয়ালি জানালেও একটা কথা ছিল। এসব দূরে থাক উইথড্রো করার সময় মৌখিকভাবে জিজ্ঞাসা করার বা জানানোরও প্রয়োজন মনে করেননি। বাহিনী থেকে ফোন দিয়ে একজন কর্মকর্তা এসে নিয়ে গেলেন। আমাদের সঙ্গে কোনো কথাবার্তা নেই। এটা কেমন ধরনের কথা? কার ইশারায় এটি ঘটল আমার জানা নেই।

তিনি আরও বলেন, সিটি করপোরেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যথাযথ নীতিমালা মেনে নির্দিষ্ট মাসোহারার বিনিময়ে জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের মাধ্যমে সিটি কর্তৃপক্ষ আনসার সদস্যদের নিয়োগ দেয়। নিয়োগের পর থেকে পাঁচ জন আনসার সদস্য আমার ব্যক্তিগত ও বাসার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। কিন্তু কোনও নোটিশ ছাড়াই মঙ্গলবার (১৬ মে) রাতে আমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সিটি নির্বাচন সামনে রেখে হয়রানি করতেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে এটা করা হয়েছে বলে দাবি মেয়র আরিফের। তিনি বলেন, আমি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি টানা দুই দফায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। প্রথম দফায় সরকার দুজন গানম্যান আমার নিরাপত্তায় নিয়োগ দিলেও পরের দফা দেয়নি। অথচ নিয়ম অনুযায়ী আমার নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। দেশের অন্য মেয়রেরা এই সুবিধা পেলেও আমি বঞ্চিত।

এ বিষয়ে আনসার ও ভিডিপির সিলেট জেলার কমান্ড্যান্ট আলী রেজা রাব্বি বলেন, পাঁচ বছর আগে নগর কর্তৃপক্ষ নগর ভবনের নিরাপত্তা দিতে আনসার নিয়েছিল। বাসা বা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য আনসার নেওয়া যায় না। এর মধ্যে পাঁচজন আনসার সদস্য মেয়রের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও তার বাসভবনে দায়িত্ব পালন করছিলেন। আমি সম্প্রতি এখানে যোগদান করেছি। যোগদানের পর বিষয়টি জানতে পেরে নিয়মের মধ্যে নিয়ে এসেছি।

তিনি আরও বলেন, মেয়রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পাঁচজন আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখন এসব আনসার সদস্য শুধু নগর ভবনে দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের নগর ভবনে কাজ করতে আদেশ দেওয়া হয়েছে। কারও কোনো ব্যক্তিগত কাজ তারা করবেন না।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বছর বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র তিনটি সামরিক মহড়া হবে

মেয়র আরিফুলের নিরাপত্তায় থাকা আনসার সদস্য প্রত্যাহার

প্রকাশের সময় : ১২:২২:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩

সিলেট জেলা প্রতিনিধি : 

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র ও বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ মে) রাত ১০টার পর মেয়রের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যদের প্রত্যাহার করে নেয় জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়।

মেয়র আরিফুলের অভিযোগ, আগাম না জানিয়ে হঠাৎ তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ভিডিপি সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সিসিক সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বছর আগে জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয় থেকে ২৩ জন আনসার সদস্যকে নিয়োগ দেয় সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে পাঁচজন আনসার সদস্য দিন ও রাতে পালাক্রমে মেয়রের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। পাশাপাশি মেয়রের বাসভবনে নিরাপত্তার দায়িত্বও পালন করছিলেন এই আনসার সদস্যরা।

এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আমার বাসা, নগর ভবন, গাড়িতে এ যেসব আনসার সদস্যরা দায়িত্বে ছিলেন তাদের উইথড্রো করে নেওয়া হয়েছে। কোনো ধরনের আগাম নোটিশ না দিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, যেখানে আমরা তাদের অগ্রিম টাকা দিয়ে চিঠি মারফত চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে সার্ভিস নিচ্ছি। সেখানে তারা কোনো ধরনের লিখিত বা মৌখিক নোটিশ না দিয়ে আনসার সদস্যদের নিয়ে গেছে। সরিয়ে নিতে হলে ন্যূনতম একটি চিঠি দেওয়া নতুবা দিনের বেলা অফিসিয়ালি জানালেও একটা কথা ছিল। এসব দূরে থাক উইথড্রো করার সময় মৌখিকভাবে জিজ্ঞাসা করার বা জানানোরও প্রয়োজন মনে করেননি। বাহিনী থেকে ফোন দিয়ে একজন কর্মকর্তা এসে নিয়ে গেলেন। আমাদের সঙ্গে কোনো কথাবার্তা নেই। এটা কেমন ধরনের কথা? কার ইশারায় এটি ঘটল আমার জানা নেই।

তিনি আরও বলেন, সিটি করপোরেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যথাযথ নীতিমালা মেনে নির্দিষ্ট মাসোহারার বিনিময়ে জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের মাধ্যমে সিটি কর্তৃপক্ষ আনসার সদস্যদের নিয়োগ দেয়। নিয়োগের পর থেকে পাঁচ জন আনসার সদস্য আমার ব্যক্তিগত ও বাসার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। কিন্তু কোনও নোটিশ ছাড়াই মঙ্গলবার (১৬ মে) রাতে আমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সিটি নির্বাচন সামনে রেখে হয়রানি করতেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে এটা করা হয়েছে বলে দাবি মেয়র আরিফের। তিনি বলেন, আমি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি টানা দুই দফায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। প্রথম দফায় সরকার দুজন গানম্যান আমার নিরাপত্তায় নিয়োগ দিলেও পরের দফা দেয়নি। অথচ নিয়ম অনুযায়ী আমার নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। দেশের অন্য মেয়রেরা এই সুবিধা পেলেও আমি বঞ্চিত।

এ বিষয়ে আনসার ও ভিডিপির সিলেট জেলার কমান্ড্যান্ট আলী রেজা রাব্বি বলেন, পাঁচ বছর আগে নগর কর্তৃপক্ষ নগর ভবনের নিরাপত্তা দিতে আনসার নিয়েছিল। বাসা বা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য আনসার নেওয়া যায় না। এর মধ্যে পাঁচজন আনসার সদস্য মেয়রের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও তার বাসভবনে দায়িত্ব পালন করছিলেন। আমি সম্প্রতি এখানে যোগদান করেছি। যোগদানের পর বিষয়টি জানতে পেরে নিয়মের মধ্যে নিয়ে এসেছি।

তিনি আরও বলেন, মেয়রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পাঁচজন আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখন এসব আনসার সদস্য শুধু নগর ভবনে দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের নগর ভবনে কাজ করতে আদেশ দেওয়া হয়েছে। কারও কোনো ব্যক্তিগত কাজ তারা করবেন না।