নিজস্ব প্রতিবেদক :
দলীয় মনোনয়ন নিয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের। কিন্তু দলের সিদ্ধান্তের বাইরে ভোটে দাঁড়ানোয় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়। এরইমধ্যে তার স্ত্রীর পক্ষ থেকে তালাকের নোটিশ পাওয়ার রেশ না কাটতে এবার জাহাঙ্গীর আলমকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
বুধবার (১৭ মে) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সোমবার (২২ মে) সকাল ১০টায় দুদক কার্যালয়ে তাকে উপস্থিত থাকতে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক মো. আলী আকবর সোমবার (১৫ মে) এই নোটিশে স্বাক্ষর করেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের জুন মাসে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতসহ ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। একই সঙ্গে দুই সদস্যের টিম গঠন করা হয়। সংস্থাটির সচিব মো. মাহবুব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কমিশন আইনের ১৯ ও ২০ ধারা মতে ‘অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ’ করার জন্য দেওয়া এই নোটিশে অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎসহ ভুয়া বাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশে নির্ধারিত সময়ে দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে ব্যর্থ হলে অভিযোগের বিষয়ে জাহাঙ্গীরের কোনো বক্তব্য নেই বলে গণ্য করা হবে,’ বলে উল্লেখ করা হয়।
এরআগে সোমবার (১৫ মে) জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। এর আগে রোববার (১৪ মে) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে জাহাঙ্গীর আলমকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি ওঠে।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও নিজ জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে নিয়ে গাজীপুর সিটির তৎকালীন মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিতর্কিত বক্তব্যের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর জেরে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় তাকে।