Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টুইটারের নতুন সিইও লিন্ডা ইয়াকারিনো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক গণমাধ্যম ও এন্টারটেইনমেন্ট মাল্টি ইন্ডাস্ট্রি কোম্পানি এনবিসি ইউনিভার্সালের বিজ্ঞাপন শাখার সাবেক প্রধান লিন্ডা ইয়াকারিনো হচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের নতুন শীর্ষ নির্বাহী। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদে আসছেন তিনি।

শনিবার (১৩ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

টুইটারের মালিক এবং বর্তমান শীর্ষ নির্বাহী ইলন মাস্ক নিজে এ তথ্য জানিয়েছেন। শুক্রবার (১২ মে) এক টুইটে তিনি বলেন, টুইটারের নতুন শীর্ষ নির্বাহী লিন্ডা ইয়াকারিনোকে আমি খুবই আনন্দের সঙ্গে স্বাগত জানাচ্ছি। এখন থেকে লিন্ডা টুইটারের যাবতীয় বাণিজ্যিক কার্যক্রম তদারক করবেন, আর আমি মনযোগ দেব (টুইটারের) প্রোডাক্ট ডিজাইন এবং নতুন প্রযুক্তির ওপর।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার (১২ মে) রাত ৯টা ৪৯ মিনিটে এই টুইট করেন মাস্ক। তার আগে স্থানীয় সময় দুপুর ১ টা ৪৮ মিনিটে এক টুইটবার্তায় তিনি জানান, টুইটারে নতুন শীর্ষ নির্বাহী নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ও বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান এনবিসি ইউনিভার্সাল। গত কয়েকদিন ধরেই মার্কিন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে গুঞ্জন ছিল, নতুন চাকরি খুঁজছেন প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞাপন শাখার প্রধান ও অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা লিন্ডা ইয়াকারিনো। তারপর স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে এনবিসি ইউনিভার্সাল এক ঘোষণায় জানায়, কোম্পানির চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন লিন্ডা। এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রথম টুইটটি করেছিলেন মাস্ক।

নানা নাটকীয়তার পর গত বছর অক্টোবরে টুইটারের মালিকানা গ্রহণ করেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী, বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান টেসলা এবং মহাকাশ অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানি স্পেস এক্সের মালিক ইলন মাস্ক। মালিকানা গ্রহণের পাশাপাশি কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহী পরাগ আগারওয়ালকে হটিয়ে নিজে এই পদে আসেন তিনি।

মালিকানা গ্রহণের পর পরই কোম্পানির কর্মী ছাঁটাই শুরু করেন ইলন মাস্ক। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৭ মাসে কোম্পানির প্রায় ৮০ শতাংশ কর্মীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন তিনি।

এদিকে, একের পর এক কর্মীকে ছাঁটাই এবং যাদের চাকরি এখনও আছে— তাদেরকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য করার জেরে বাজারে টুইটারের সুনাম বেশ ক্ষুন্ন হয়। ফলে বিজ্ঞাপনদাতারা একে একে সরে যেতে থাকে, এবং তার প্রভাব পড়ে কোম্পানির আয়ের ওপর। সম্প্রতি মাস্ক নিজেই স্বীকার করেছেন— বিজ্ঞাপন খাত থেকে টুইটারের আয় ব্যাপকহারে হ্রাস পেয়েছে।

লিন্ডা ইয়াকারিনো টুইটারের শীর্ষ নির্বাহীর পদে এলে প্রতিষ্ঠানটির গতিপথ ‘১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যাবে’ বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞাপন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মার্কেটিং কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান এজেএল অ্যাডভাইসরির শীর্ষ নির্বাহী লউ প্যাসক্যালিস দীর্ঘদিন বিভিন্ন মার্কিন বিজ্ঞাপন কোম্পানির শীর্ষ পদে কাজ করেছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, আমি যদ্দুর জানি, লিন্ডা ইয়াকারিনো যখন এনবিসি ইউনিভার্সালে ছিলেন— সে সময় বহু চড়াই-উৎরাই তার সামনে এসেছে এবং অনবদ্যভাবে তিনি সেসব পেরিয়ে এসেছেন। টুইটারকে সঠিক পথে আনা এই মুহূর্তে একটি বড় চ্যালেঞ্জ এবং এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য লিন্ডা একজন উপযুক্ত ব্যক্তি।

তবে মাস্কের টুইট সম্পর্কে এখন পর্যন্ত লিন্ডা ইয়াকারিনোর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

ইতালীয় জাতিগোষ্ঠীর লিন্ডা ইয়াক্কারিনোর ছোট বেলায় বাবা-মায়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। তার সঠিক জন্ম তারিখ জানা নেই। তবে ধারণা করা হচ্ছে এখন তার বয়স ৬১। লিন্ডা ১৯৮৫ সালে পেন স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে টেলিকমিউনিকেশনে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।

শিক্ষা জীবন শেষ হবার পর, লিন্ডা তার পেশাগত কর্মজীবন শুরু করেন এবং ১৯৯২ সালে টার্নারে যোগদানের আগে বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করেন। টার্নারে তার মেয়াদের সময় তিনি বিজ্ঞাপন বিক্রয়, বিপণন ও অপারেশনের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সিওও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কোম্পানিতে তার ব্যতিক্রমী অবদানের কারণে তিনি কয়েক দফায় পদোন্নতি পান।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফরচুন ৫০০ তালিকাভুক্ত প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে মাত্র ৯ শতাংশেরও কম পরিচালিত হচ্ছে নারী নেতৃত্বে। সে দৃষ্টিকোণ থেকে কয়েকটি শীর্ষ মার্কিন কর্পোরেশনে কাজ করার সঙ্গে সঙ্গে সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে উঠে যাওয়া ইয়াকারিনো এক বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবেন।

পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির (পেন স্টেট) এই স্নাতক সর্বশেষ এনবিসি ইউনিভার্সে কাজের আগে ১৫ বছর ছিলেন আরেক মার্কিন মিডিয়া জায়ান্ট টার্নার এন্টারটেইনমেন্টে। সেখানে প্রায় দুই হাজার কর্মীর নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি তিনি এর স্ট্রিমিং পরিষেবা চালুর সঙ্গেও জড়িত ছিলেন।

পূর্ববর্তী পদগুলোর মধ্যে তার কাজের তালিকায় ছিল বড় ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও সহযোগিতা বজায় রাখা, পণ্য প্রচারের সুযোগ খুঁজে বের করা এবং টেলিভিশন শোগুলোয় বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য তাদের রাজি করানো।

২০০৫ সালে পেশাজীবীদের এক প্রকাশনায় তাকে চিহ্নিত করা হয়েছিল দুই সন্তানের এক একজন ব্যস্ত, কর্মজীবী মা।

বিজ্ঞাপন বিষয়ে গভীর জ্ঞান রয়েছে মিজ ইয়াকারিনো’র যা থেকে টুইটার লাভবান হবে বলে বিবিসি উল্লেখ করেছে। তার এই অভিজ্ঞতা সম্ভবত টুইটারের সবচেয়ে বেশি দরকার। টুইটারের পুরো আয় আসে বিজ্ঞাপন থেকে আর ইলন মাস্কের হাতে যাওয়ার পর থেকে সে আয়ে ধস নেমেছে।

গত বছর চার হাজার ৪০০ কোটি ডলারে টুইটার কিনে নেয়ার পর নিজেই প্রতিষ্ঠানটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ এই প্রযুক্তি ব্যবসায়ী। টুইটার কেনার পর তিনি কোম্পানিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনেন। শীর্ষ পর্যায়ের নির্বাহীদের চাকরিচ্যুত করার পর নিজেই সিইওর দায়িত্ব নেন। পাশাপাশি গণহারে কর্মীও ছাঁটাই করেন তিনি। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

টুইটারের নতুন সিইও লিন্ডা ইয়াকারিনো

প্রকাশের সময় : ০২:২৩:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক গণমাধ্যম ও এন্টারটেইনমেন্ট মাল্টি ইন্ডাস্ট্রি কোম্পানি এনবিসি ইউনিভার্সালের বিজ্ঞাপন শাখার সাবেক প্রধান লিন্ডা ইয়াকারিনো হচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের নতুন শীর্ষ নির্বাহী। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদে আসছেন তিনি।

শনিবার (১৩ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

টুইটারের মালিক এবং বর্তমান শীর্ষ নির্বাহী ইলন মাস্ক নিজে এ তথ্য জানিয়েছেন। শুক্রবার (১২ মে) এক টুইটে তিনি বলেন, টুইটারের নতুন শীর্ষ নির্বাহী লিন্ডা ইয়াকারিনোকে আমি খুবই আনন্দের সঙ্গে স্বাগত জানাচ্ছি। এখন থেকে লিন্ডা টুইটারের যাবতীয় বাণিজ্যিক কার্যক্রম তদারক করবেন, আর আমি মনযোগ দেব (টুইটারের) প্রোডাক্ট ডিজাইন এবং নতুন প্রযুক্তির ওপর।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার (১২ মে) রাত ৯টা ৪৯ মিনিটে এই টুইট করেন মাস্ক। তার আগে স্থানীয় সময় দুপুর ১ টা ৪৮ মিনিটে এক টুইটবার্তায় তিনি জানান, টুইটারে নতুন শীর্ষ নির্বাহী নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ও বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান এনবিসি ইউনিভার্সাল। গত কয়েকদিন ধরেই মার্কিন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে গুঞ্জন ছিল, নতুন চাকরি খুঁজছেন প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞাপন শাখার প্রধান ও অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা লিন্ডা ইয়াকারিনো। তারপর স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে এনবিসি ইউনিভার্সাল এক ঘোষণায় জানায়, কোম্পানির চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন লিন্ডা। এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রথম টুইটটি করেছিলেন মাস্ক।

নানা নাটকীয়তার পর গত বছর অক্টোবরে টুইটারের মালিকানা গ্রহণ করেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী, বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান টেসলা এবং মহাকাশ অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানি স্পেস এক্সের মালিক ইলন মাস্ক। মালিকানা গ্রহণের পাশাপাশি কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহী পরাগ আগারওয়ালকে হটিয়ে নিজে এই পদে আসেন তিনি।

মালিকানা গ্রহণের পর পরই কোম্পানির কর্মী ছাঁটাই শুরু করেন ইলন মাস্ক। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৭ মাসে কোম্পানির প্রায় ৮০ শতাংশ কর্মীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন তিনি।

এদিকে, একের পর এক কর্মীকে ছাঁটাই এবং যাদের চাকরি এখনও আছে— তাদেরকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য করার জেরে বাজারে টুইটারের সুনাম বেশ ক্ষুন্ন হয়। ফলে বিজ্ঞাপনদাতারা একে একে সরে যেতে থাকে, এবং তার প্রভাব পড়ে কোম্পানির আয়ের ওপর। সম্প্রতি মাস্ক নিজেই স্বীকার করেছেন— বিজ্ঞাপন খাত থেকে টুইটারের আয় ব্যাপকহারে হ্রাস পেয়েছে।

লিন্ডা ইয়াকারিনো টুইটারের শীর্ষ নির্বাহীর পদে এলে প্রতিষ্ঠানটির গতিপথ ‘১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যাবে’ বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞাপন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মার্কেটিং কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান এজেএল অ্যাডভাইসরির শীর্ষ নির্বাহী লউ প্যাসক্যালিস দীর্ঘদিন বিভিন্ন মার্কিন বিজ্ঞাপন কোম্পানির শীর্ষ পদে কাজ করেছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, আমি যদ্দুর জানি, লিন্ডা ইয়াকারিনো যখন এনবিসি ইউনিভার্সালে ছিলেন— সে সময় বহু চড়াই-উৎরাই তার সামনে এসেছে এবং অনবদ্যভাবে তিনি সেসব পেরিয়ে এসেছেন। টুইটারকে সঠিক পথে আনা এই মুহূর্তে একটি বড় চ্যালেঞ্জ এবং এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য লিন্ডা একজন উপযুক্ত ব্যক্তি।

তবে মাস্কের টুইট সম্পর্কে এখন পর্যন্ত লিন্ডা ইয়াকারিনোর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

ইতালীয় জাতিগোষ্ঠীর লিন্ডা ইয়াক্কারিনোর ছোট বেলায় বাবা-মায়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। তার সঠিক জন্ম তারিখ জানা নেই। তবে ধারণা করা হচ্ছে এখন তার বয়স ৬১। লিন্ডা ১৯৮৫ সালে পেন স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে টেলিকমিউনিকেশনে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।

শিক্ষা জীবন শেষ হবার পর, লিন্ডা তার পেশাগত কর্মজীবন শুরু করেন এবং ১৯৯২ সালে টার্নারে যোগদানের আগে বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করেন। টার্নারে তার মেয়াদের সময় তিনি বিজ্ঞাপন বিক্রয়, বিপণন ও অপারেশনের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সিওও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কোম্পানিতে তার ব্যতিক্রমী অবদানের কারণে তিনি কয়েক দফায় পদোন্নতি পান।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফরচুন ৫০০ তালিকাভুক্ত প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে মাত্র ৯ শতাংশেরও কম পরিচালিত হচ্ছে নারী নেতৃত্বে। সে দৃষ্টিকোণ থেকে কয়েকটি শীর্ষ মার্কিন কর্পোরেশনে কাজ করার সঙ্গে সঙ্গে সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে উঠে যাওয়া ইয়াকারিনো এক বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবেন।

পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির (পেন স্টেট) এই স্নাতক সর্বশেষ এনবিসি ইউনিভার্সে কাজের আগে ১৫ বছর ছিলেন আরেক মার্কিন মিডিয়া জায়ান্ট টার্নার এন্টারটেইনমেন্টে। সেখানে প্রায় দুই হাজার কর্মীর নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি তিনি এর স্ট্রিমিং পরিষেবা চালুর সঙ্গেও জড়িত ছিলেন।

পূর্ববর্তী পদগুলোর মধ্যে তার কাজের তালিকায় ছিল বড় ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও সহযোগিতা বজায় রাখা, পণ্য প্রচারের সুযোগ খুঁজে বের করা এবং টেলিভিশন শোগুলোয় বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য তাদের রাজি করানো।

২০০৫ সালে পেশাজীবীদের এক প্রকাশনায় তাকে চিহ্নিত করা হয়েছিল দুই সন্তানের এক একজন ব্যস্ত, কর্মজীবী মা।

বিজ্ঞাপন বিষয়ে গভীর জ্ঞান রয়েছে মিজ ইয়াকারিনো’র যা থেকে টুইটার লাভবান হবে বলে বিবিসি উল্লেখ করেছে। তার এই অভিজ্ঞতা সম্ভবত টুইটারের সবচেয়ে বেশি দরকার। টুইটারের পুরো আয় আসে বিজ্ঞাপন থেকে আর ইলন মাস্কের হাতে যাওয়ার পর থেকে সে আয়ে ধস নেমেছে।

গত বছর চার হাজার ৪০০ কোটি ডলারে টুইটার কিনে নেয়ার পর নিজেই প্রতিষ্ঠানটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ এই প্রযুক্তি ব্যবসায়ী। টুইটার কেনার পর তিনি কোম্পানিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনেন। শীর্ষ পর্যায়ের নির্বাহীদের চাকরিচ্যুত করার পর নিজেই সিইওর দায়িত্ব নেন। পাশাপাশি গণহারে কর্মীও ছাঁটাই করেন তিনি। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।