Dhaka শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্ববিদ্যালয়ের জাল সনদ তৈরি চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

টাকার বিনিময়ে রাজধানীর নামি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাল সার্টিফিকেট ও মার্কশিট তৈরি চক্রের চারজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের লালবাগ বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় ও শুক্রবার সকালে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে ডিবি লালবাগ বিভাগ।

শুক্রবার (৫ মে) দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান।

ডিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী নুরুন্নাহার মিতুকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিভিন্ন পর্যায়ের একাডেমিক অনেক সার্টিফিকেট, মার্কশিট, ইনভেলপ ও নগদ টাকা। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার (৫ মে) সকালে লালবাগ থানার অন্তর্গত বড়ঘাট মসজিদ এলাকার কাশ্মীরি গলির একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইয়াসিন আলী ও দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটির ডিরেক্টর বুলবুল আহমেদ বিপুকে গ্রেফতার করা হয়।

dhakapost

ডিএমপি ডিবির লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মশিউর রহমান জানান, অনেক দিন ধরে চক্রটি বিপুল টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন চলমান ও বন্ধ হয়ে যাওয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েশন এবং পোস্ট-গ্র্যাজুয়েশন; বিভিন্ন বোর্ডের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশিট ও সার্টিফিকেট ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল। এই সার্টিফিকেট ও মার্কশিটগুলো বোর্ড অথবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরবরাহ করা মূল কাগজ দিয়েই তৈরি করা হয় এবং সেগুলোকে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনলাইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যাতে অনলাইন ভেরিফিকেশনে সত্যতা পাওয়া যায়। এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রযুক্তি সচেতন এই অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়।

তিনি জানান, লালবাগের দুই রুমের বাসাটিতে দামি ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, প্রিন্টার, স্ক্যানার, এমব্রস মেশিন স্থাপন করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগ্রহ করা ব্লাঙ্ক মার্কশিট, সার্টিফিকেট চাহিদা অনুযায়ী ব্যক্তিদের নামে ছাপানো হতো। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইয়াসিন আলী বিভিন্ন ছাপাখানা থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য-সংবলিত অতি সূক্ষ্ম জাল সনদের কাগজ, সার্টিফিকেট, মার্কশিট, প্রশংসাপত্র এবং ট্রান্সক্রিপ্ট ছাপিয়ে এনে বিভিন্ন গ্রাহককে সরবরাহ করতো।

এ ছাড়া ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইয়াসিন আলী বিভিন্ন ছাপাখানা থেকে সব রকমের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সংবলিত অতিসূক্ষ্ম জাল সনদসমূহের কাগজ ছাপিয়ে এনে নিজেও বিভিন্ন গ্রাহককে জাল সার্টিফিকেট, মার্কশিট, টেস্টিমোনিয়াল ও ট্রান্সক্রিপ্ট সরবরাহ করতেন বলে জানান।

dhakapost

তারা দুই ধরনের জালিয়াতি করতেন জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো রকমের ভেরিফিকেশন হবে না এ রকম সার্টিফিকেট, মার্কশিট, টেস্টিমোনিয়াল সরবরাহ করা এবং দেশে-বিদেশে অনলাইনে ভেরিফিকেশন হবে এ রকম মার্কশিট, সার্টিফিকেট ইত্যাদি সরবরাহ করা।

তিনি আরো জানান, কতিপয় বিশ্ববিদ্যালয় ও বোর্ডের বেশ কিছু দায়িত্বশীল ব্যক্তির নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে, যারা অনলাইন ভেরিফিকেশন করে সার্টিফিকেট বিক্রির সাথে সরাসরি জড়িত। লাখ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া এ সকল প্রতারকের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

এই চক্রটি দুই ধরনের জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেন, কোনও ধরনের ভেরিফিকেশন হবে না এরকম সার্টিফিকেট, মার্কশিট, প্রশংসাপত্র সরবরাহ করতো চক্রটি। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম এখন আর নেই সেসব বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট জাল করে বিভিন্ন লোকজনের কাছে সরবরাহ করতো। এটির জন্য প্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে তারা ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা করে নিতো। দেশে-বিদেশে অনলাইনে ভেরিফিকেশন হবে, এরকম মার্কশিট সার্টিফিকেটও সরবরাহ করতো চক্রের সদস্যরা। এ ধরনের সার্টিফিকেট গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ১ থেকে ৪ লাখ টাকা করে নিতো চক্রটি। এতে জড়িত রয়েছে বিভিন্ন নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অসাধু কর্মকর্তাও। বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

dhakapost

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেন, এ চক্রের সদস্যরা গত ৮ থেকে ১০ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট সার্টিফিকেট তৈরি করে বিভিন্ন লোকজনের হাতে পৌঁছে দিয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন বোর্ডের সেকেন্ডারি ও হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষার মার্কশিট এবং সার্টিফিকেট ক্রয় বিক্রয় করে আসছিল। সার্টিফিকেট ও মার্কশিটগুলো বোর্ড এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরবরাহ করা মূল কাগজ দিয়েই তৈরি করা হয়। সেগুলোকে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনলাইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যাতে অনলাইন ভেরিফিকেশনে সত্যতা মেলে।

জাল সার্টিফিকেট বিক্রির টাকা দিয়ে চক্রের সদস্যরা রাজধানীতে লাক্সারিয়াস জীবনযাপন করে আসছিল। এসব টাকা দিয়ে তারা ডেভেলপার কোম্পানি বানিয়েছে, লাক্সারিয়াস ফ্ল্যাট কিনেছে। এক একটি সার্টিফিকেট তৈরিতে তাদের খরচ হতো ৫০ থেকে ১০০ টাকা। এরমধ্যে প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান বেশ কয়েকবার বিজনেস ভিসায় বিদেশে গিয়েছে। মানি লন্ডারিংয়ের কোনও বিষয় রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। সিআইডির সহায়তা নেওয়া হবে।

নুরুন্নাহার মিতু ব্যতীত গ্রেফতারকৃত অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলার রেকর্ড রয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ডিসি মো. মশিউর রহমান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

বিশ্ববিদ্যালয়ের জাল সনদ তৈরি চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার

প্রকাশের সময় : ০৭:৪০:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

টাকার বিনিময়ে রাজধানীর নামি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাল সার্টিফিকেট ও মার্কশিট তৈরি চক্রের চারজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের লালবাগ বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় ও শুক্রবার সকালে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে ডিবি লালবাগ বিভাগ।

শুক্রবার (৫ মে) দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান।

ডিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী নুরুন্নাহার মিতুকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিভিন্ন পর্যায়ের একাডেমিক অনেক সার্টিফিকেট, মার্কশিট, ইনভেলপ ও নগদ টাকা। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার (৫ মে) সকালে লালবাগ থানার অন্তর্গত বড়ঘাট মসজিদ এলাকার কাশ্মীরি গলির একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইয়াসিন আলী ও দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটির ডিরেক্টর বুলবুল আহমেদ বিপুকে গ্রেফতার করা হয়।

dhakapost

ডিএমপি ডিবির লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মশিউর রহমান জানান, অনেক দিন ধরে চক্রটি বিপুল টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন চলমান ও বন্ধ হয়ে যাওয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েশন এবং পোস্ট-গ্র্যাজুয়েশন; বিভিন্ন বোর্ডের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশিট ও সার্টিফিকেট ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল। এই সার্টিফিকেট ও মার্কশিটগুলো বোর্ড অথবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরবরাহ করা মূল কাগজ দিয়েই তৈরি করা হয় এবং সেগুলোকে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনলাইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যাতে অনলাইন ভেরিফিকেশনে সত্যতা পাওয়া যায়। এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রযুক্তি সচেতন এই অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়।

তিনি জানান, লালবাগের দুই রুমের বাসাটিতে দামি ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, প্রিন্টার, স্ক্যানার, এমব্রস মেশিন স্থাপন করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগ্রহ করা ব্লাঙ্ক মার্কশিট, সার্টিফিকেট চাহিদা অনুযায়ী ব্যক্তিদের নামে ছাপানো হতো। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইয়াসিন আলী বিভিন্ন ছাপাখানা থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য-সংবলিত অতি সূক্ষ্ম জাল সনদের কাগজ, সার্টিফিকেট, মার্কশিট, প্রশংসাপত্র এবং ট্রান্সক্রিপ্ট ছাপিয়ে এনে বিভিন্ন গ্রাহককে সরবরাহ করতো।

এ ছাড়া ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইয়াসিন আলী বিভিন্ন ছাপাখানা থেকে সব রকমের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সংবলিত অতিসূক্ষ্ম জাল সনদসমূহের কাগজ ছাপিয়ে এনে নিজেও বিভিন্ন গ্রাহককে জাল সার্টিফিকেট, মার্কশিট, টেস্টিমোনিয়াল ও ট্রান্সক্রিপ্ট সরবরাহ করতেন বলে জানান।

dhakapost

তারা দুই ধরনের জালিয়াতি করতেন জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো রকমের ভেরিফিকেশন হবে না এ রকম সার্টিফিকেট, মার্কশিট, টেস্টিমোনিয়াল সরবরাহ করা এবং দেশে-বিদেশে অনলাইনে ভেরিফিকেশন হবে এ রকম মার্কশিট, সার্টিফিকেট ইত্যাদি সরবরাহ করা।

তিনি আরো জানান, কতিপয় বিশ্ববিদ্যালয় ও বোর্ডের বেশ কিছু দায়িত্বশীল ব্যক্তির নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে, যারা অনলাইন ভেরিফিকেশন করে সার্টিফিকেট বিক্রির সাথে সরাসরি জড়িত। লাখ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া এ সকল প্রতারকের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

এই চক্রটি দুই ধরনের জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেন, কোনও ধরনের ভেরিফিকেশন হবে না এরকম সার্টিফিকেট, মার্কশিট, প্রশংসাপত্র সরবরাহ করতো চক্রটি। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম এখন আর নেই সেসব বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট জাল করে বিভিন্ন লোকজনের কাছে সরবরাহ করতো। এটির জন্য প্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে তারা ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা করে নিতো। দেশে-বিদেশে অনলাইনে ভেরিফিকেশন হবে, এরকম মার্কশিট সার্টিফিকেটও সরবরাহ করতো চক্রের সদস্যরা। এ ধরনের সার্টিফিকেট গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ১ থেকে ৪ লাখ টাকা করে নিতো চক্রটি। এতে জড়িত রয়েছে বিভিন্ন নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অসাধু কর্মকর্তাও। বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

dhakapost

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেন, এ চক্রের সদস্যরা গত ৮ থেকে ১০ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট সার্টিফিকেট তৈরি করে বিভিন্ন লোকজনের হাতে পৌঁছে দিয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন বোর্ডের সেকেন্ডারি ও হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষার মার্কশিট এবং সার্টিফিকেট ক্রয় বিক্রয় করে আসছিল। সার্টিফিকেট ও মার্কশিটগুলো বোর্ড এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরবরাহ করা মূল কাগজ দিয়েই তৈরি করা হয়। সেগুলোকে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনলাইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যাতে অনলাইন ভেরিফিকেশনে সত্যতা মেলে।

জাল সার্টিফিকেট বিক্রির টাকা দিয়ে চক্রের সদস্যরা রাজধানীতে লাক্সারিয়াস জীবনযাপন করে আসছিল। এসব টাকা দিয়ে তারা ডেভেলপার কোম্পানি বানিয়েছে, লাক্সারিয়াস ফ্ল্যাট কিনেছে। এক একটি সার্টিফিকেট তৈরিতে তাদের খরচ হতো ৫০ থেকে ১০০ টাকা। এরমধ্যে প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান বেশ কয়েকবার বিজনেস ভিসায় বিদেশে গিয়েছে। মানি লন্ডারিংয়ের কোনও বিষয় রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। সিআইডির সহায়তা নেওয়া হবে।

নুরুন্নাহার মিতু ব্যতীত গ্রেফতারকৃত অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলার রেকর্ড রয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ডিসি মো. মশিউর রহমান।