Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

জাপানের সাগর উপকূলে ইশিকাওয়া প্রিফেকচারে একটি ভূমিকম্প আঘাত এনেছে। তবে দেশটিতে সুনামি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। দেশটির কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়।

শুক্রবার (৫ মে) স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪২ মিনিটে ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। কানাজাওয়া শহর এবং পার্শ্ববর্তী নিগাতা ও তোয়ামা প্রিফেকচারের কিছু পৌরসভাতেও ভূমিকম্পের তীব্রতা ৪ মাত্রার ছিল।

জাপানের মিটিওরোলজিক্যাল এজেন্সি জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের ফলে কোনো সুনামির সৃষ্টি হবে না। তবে ইশিকাওয়া প্রিফেকচারের আশপাশের সমুদ্র পৃষ্ঠের ঢেউয়ের উচ্চতা ১০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।

জাপান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪২ মিনিটে ভূমিকম্পটি সংঘটিত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল জাপান সাগরের তীরবর্তী নোটো উপদ্বীপের ইশিকাওয়া প্রিফেকচারের দক্ষিণ প্রান্ত। যা জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে ৩০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ১২ কিলোমিটার গভীরে উৎপন্ন হয়।

ইশিকাওয়া প্রিফেকচারের অবস্থিত সুজু শহরের পুলিশ জানিয়েছে, শহরটির ভূমিকম্পের উপকেন্দ্রের খুব কাছে অবস্থিত। ফলে শহরটিতে বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, শহরটিকে বেশ কয়েকটি ভবন ধ্বসে পড়েছে।

জাপানের আবহাওয়া সংস্থা এই ধরনের কম্পনকে “দীর্ঘ সময়ের স্থল গতি” বলে। এটি ওপরের তলায় অবস্থিত লোকেদের প্রভাবিত করে।

সুজু সিটির পুলিশ বলছে তারা তথ্য পেয়েছে, শহরের একটি মন্দির এবং একাধিক ভবন ধসে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ বিস্তারিত নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।

বার্তা সংস্থা কিয়োদো ও গণমাধ্যম এনটিভি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর ইশিকাওয়া প্রিফেকচারে অবস্থিত শিকা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কোনো গড়বড় হয়েছে বলে খবর হয়নি।

এতে কোনো সুনামি সতর্কতা নেই। তবে সমুদ্রের স্তরে ২০ সেন্টিমিটারের মতো পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

২০১১ সালের শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে জাপানের ফুকুশিমা প্রিফেকচারের দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছিল। ১৯৮৬ সালে চেরনোবিল পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর সবচেয়ে ভয়াবহ পরমাণু দুর্ঘটনা ছিল এই দাইচি পরামণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়া।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প

প্রকাশের সময় : ০৪:৩২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ মে ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

জাপানের সাগর উপকূলে ইশিকাওয়া প্রিফেকচারে একটি ভূমিকম্প আঘাত এনেছে। তবে দেশটিতে সুনামি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। দেশটির কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়।

শুক্রবার (৫ মে) স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪২ মিনিটে ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। কানাজাওয়া শহর এবং পার্শ্ববর্তী নিগাতা ও তোয়ামা প্রিফেকচারের কিছু পৌরসভাতেও ভূমিকম্পের তীব্রতা ৪ মাত্রার ছিল।

জাপানের মিটিওরোলজিক্যাল এজেন্সি জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের ফলে কোনো সুনামির সৃষ্টি হবে না। তবে ইশিকাওয়া প্রিফেকচারের আশপাশের সমুদ্র পৃষ্ঠের ঢেউয়ের উচ্চতা ১০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।

জাপান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪২ মিনিটে ভূমিকম্পটি সংঘটিত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল জাপান সাগরের তীরবর্তী নোটো উপদ্বীপের ইশিকাওয়া প্রিফেকচারের দক্ষিণ প্রান্ত। যা জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে ৩০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ১২ কিলোমিটার গভীরে উৎপন্ন হয়।

ইশিকাওয়া প্রিফেকচারের অবস্থিত সুজু শহরের পুলিশ জানিয়েছে, শহরটির ভূমিকম্পের উপকেন্দ্রের খুব কাছে অবস্থিত। ফলে শহরটিতে বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, শহরটিকে বেশ কয়েকটি ভবন ধ্বসে পড়েছে।

জাপানের আবহাওয়া সংস্থা এই ধরনের কম্পনকে “দীর্ঘ সময়ের স্থল গতি” বলে। এটি ওপরের তলায় অবস্থিত লোকেদের প্রভাবিত করে।

সুজু সিটির পুলিশ বলছে তারা তথ্য পেয়েছে, শহরের একটি মন্দির এবং একাধিক ভবন ধসে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ বিস্তারিত নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।

বার্তা সংস্থা কিয়োদো ও গণমাধ্যম এনটিভি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর ইশিকাওয়া প্রিফেকচারে অবস্থিত শিকা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কোনো গড়বড় হয়েছে বলে খবর হয়নি।

এতে কোনো সুনামি সতর্কতা নেই। তবে সমুদ্রের স্তরে ২০ সেন্টিমিটারের মতো পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

২০১১ সালের শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে জাপানের ফুকুশিমা প্রিফেকচারের দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছিল। ১৯৮৬ সালে চেরনোবিল পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর সবচেয়ে ভয়াবহ পরমাণু দুর্ঘটনা ছিল এই দাইচি পরামণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়া।