Dhaka রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৩২ নম্বরে ফুল দিতে গিয়ে কারাগারে যাওয়া সেই রিকশাচালক জামিন পেলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে শ্রদ্ধা জানাতে এসে গণপিটুনির শিকার রিকশাচালক মো. আজিজুর রহমানকে (২৭) জামিন দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুরে শুনানি শেষে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত তাকে জামিন দেন।

আজিজুর রহমানের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, তাঁর কারামুক্তিতে কোনো বাধা নেই।

‎এর আগে গতকাল আজিজুরকে জুলাই আন্দোলনের হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

‎রিকশাচালককে জুলাই আন্দোলনের হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে পাঠানোয় বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। কারাগারে পাঠানোর একদিন পরই জামিন পেলেন আজিজুর।

‎ সকালে আদালতে আসেন আজিজুর স্ত্রী চুমকি খাতুন। শুনানিকালে আদালতে বসে ছিলেন তিনি। চুমকি বলেন, ‘আমার স্বামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। আবেগের বশে তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে গিয়েছিলেন। জামিন পেয়েছেন, আমি খুশি।’

‎‎আজিজুরের পক্ষে আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী জামিন শুনানিতে বলেন, ‘আসামি একজন রিকশাচালক। ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মারধরের শিকার হন। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। আগে একটা পেন্ডিং মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আজিজুর দিন আনে, দিন খায়। তার রিকশাটাও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার জামিনের প্রার্থণা করছি।’‎

‎শুনানি শেষে আদালত এক হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত তার জামিনের আদেশ দেন।

‎গত ১৫ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ এ ফুল দিতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন রিকশাচালক আজিজুর রহমান। পরে তাকে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল জুলাই আন্দোলনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।

‎মামলার অভিযোগে বলা হয়, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৪ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডি থানাধীন নিউমার্কেট থেকে সাইন্সল্যাব এলাকার মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী মো. আরিফুল ইসলাম। ঘটনার দিন দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে আসামিরা গুলি, পেট্রোল বোমা ও হাতবোমা নিক্ষেপ করে। গুলি ভুক্তভোগীর পিঠ দিয়ে ঢুকে গেলে তাৎক্ষণিক পড়ে যান। পরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ২ মাস চিকিৎসা শেষ সুস্থ হন। এ ঘটনায় রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

৩২ নম্বরে ফুল দিতে গিয়ে কারাগারে যাওয়া সেই রিকশাচালক জামিন পেলেন

৩২ নম্বরে ফুল দিতে গিয়ে কারাগারে যাওয়া সেই রিকশাচালক জামিন পেলেন

প্রকাশের সময় : ০৬:২৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে শ্রদ্ধা জানাতে এসে গণপিটুনির শিকার রিকশাচালক মো. আজিজুর রহমানকে (২৭) জামিন দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুরে শুনানি শেষে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত তাকে জামিন দেন।

আজিজুর রহমানের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, তাঁর কারামুক্তিতে কোনো বাধা নেই।

‎এর আগে গতকাল আজিজুরকে জুলাই আন্দোলনের হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

‎রিকশাচালককে জুলাই আন্দোলনের হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে পাঠানোয় বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। কারাগারে পাঠানোর একদিন পরই জামিন পেলেন আজিজুর।

‎ সকালে আদালতে আসেন আজিজুর স্ত্রী চুমকি খাতুন। শুনানিকালে আদালতে বসে ছিলেন তিনি। চুমকি বলেন, ‘আমার স্বামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। আবেগের বশে তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে গিয়েছিলেন। জামিন পেয়েছেন, আমি খুশি।’

‎‎আজিজুরের পক্ষে আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী জামিন শুনানিতে বলেন, ‘আসামি একজন রিকশাচালক। ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মারধরের শিকার হন। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। আগে একটা পেন্ডিং মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আজিজুর দিন আনে, দিন খায়। তার রিকশাটাও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার জামিনের প্রার্থণা করছি।’‎

‎শুনানি শেষে আদালত এক হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত তার জামিনের আদেশ দেন।

‎গত ১৫ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ এ ফুল দিতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন রিকশাচালক আজিজুর রহমান। পরে তাকে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল জুলাই আন্দোলনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।

‎মামলার অভিযোগে বলা হয়, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৪ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডি থানাধীন নিউমার্কেট থেকে সাইন্সল্যাব এলাকার মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী মো. আরিফুল ইসলাম। ঘটনার দিন দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে আসামিরা গুলি, পেট্রোল বোমা ও হাতবোমা নিক্ষেপ করে। গুলি ভুক্তভোগীর পিঠ দিয়ে ঢুকে গেলে তাৎক্ষণিক পড়ে যান। পরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ২ মাস চিকিৎসা শেষ সুস্থ হন। এ ঘটনায় রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।