Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২৬ মে’র মধ্যে ইশরাককে শপথ না পড়ালে আদালত অবমাননা হবে : ব্যারিস্টার খোকন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ইশরাকের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, এই আদেশের ফলে মেয়র পদে ইশরাকের শপথে বাধা নেই। এ সময় আগামী ২৬ মের মধ্যে ইশরাককে শপথ না পড়ালে আদালত অবমাননা হবে।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আদালত বড় অবজারবেশন দিয়ে মামলা খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে ইশরাকের শপথ গ্রহণের আর কোনো বাধা রইল না। আগামী ২৬ মে’র মধ্যে শপথ দিতে হবে। শপথ না দেওয়া হলে, সেটা আদালত অবমাননা হবে।

তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাস রাখবে, রায়ের প্রতি আস্থা রাখবে। ট্রাইব্যুনাল এবং হাইকোর্ট ডিভিশনের আজকের রায়ের প্রতি আস্থা রেখে আগামী ২৪ ঘণ্টার ভেতর তার শপথের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, হাইকোর্ট ডিভিশন বলেছে এ মামলাটা এসেছে ট্রাইব্যুনাল (নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল) থেকে। কেউ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন (ট্রাইব্যুনালে মামলার বিবাদী হিসেবে),  তিনি অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে যেতে পারেন। ট্রাইব্যুনালের সেই রায় কেউ চ্যালেঞ্জ করেনি। আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গেজেট করেছে। গেজেট অনুসারে শপথ হবে।

তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ করতে হলে আপিল ট্রাইব্যুনালে যেতে হবে। সেখানে কেউ যাননি। তার (রিটকারী) মামলা করার অধিকার নেই, তা নিয়ে (আদালত) বড় অবজারভেশন দিয়েছেন। জনস্বার্থে যে কেউ মামলা করতে পারেন। তবে সেটা ভিন্ন। যেমন পরিবেশ, মানবাধিকার, মৌলিক অধিকার নিয়ে মামলা করতে পারে। এগুলো জনস্বার্থের মামলা। এটা (রিট) জনস্বার্থের মামলা না। তিনি (রিটকারী) ঢাকা সিটির ভোটার হিসেবে সমাজসেবা দেখাতে পারেনি বা তিনি যে ভোটার হিসেবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন সেটাও দেখাতে পারেননি।

এর আগে, বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ করে দেন।

১৪ মে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। সেইসঙ্গে তাকে মেয়র ঘোষণা করা ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও চাওয়া হয় রিটে।

হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা মো. মামুনুর রশিদ। আবেদনকারীর আইনজীবী কাজী আকবর আলী।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির নির্বাচন হয়। বিএনপির ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হন। গত ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে, বিএনপি নেতা ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম। ট্রাইব্যুনালের রায়ের অনুলিপি পেয়ে গত ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় সাংবিধানিক সংস্থাটি। এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নতুন মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন-ইসি।

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

২৬ মে’র মধ্যে ইশরাককে শপথ না পড়ালে আদালত অবমাননা হবে : ব্যারিস্টার খোকন

প্রকাশের সময় : ১২:৫৯:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ইশরাকের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, এই আদেশের ফলে মেয়র পদে ইশরাকের শপথে বাধা নেই। এ সময় আগামী ২৬ মের মধ্যে ইশরাককে শপথ না পড়ালে আদালত অবমাননা হবে।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আদালত বড় অবজারবেশন দিয়ে মামলা খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে ইশরাকের শপথ গ্রহণের আর কোনো বাধা রইল না। আগামী ২৬ মে’র মধ্যে শপথ দিতে হবে। শপথ না দেওয়া হলে, সেটা আদালত অবমাননা হবে।

তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাস রাখবে, রায়ের প্রতি আস্থা রাখবে। ট্রাইব্যুনাল এবং হাইকোর্ট ডিভিশনের আজকের রায়ের প্রতি আস্থা রেখে আগামী ২৪ ঘণ্টার ভেতর তার শপথের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, হাইকোর্ট ডিভিশন বলেছে এ মামলাটা এসেছে ট্রাইব্যুনাল (নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল) থেকে। কেউ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন (ট্রাইব্যুনালে মামলার বিবাদী হিসেবে),  তিনি অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে যেতে পারেন। ট্রাইব্যুনালের সেই রায় কেউ চ্যালেঞ্জ করেনি। আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গেজেট করেছে। গেজেট অনুসারে শপথ হবে।

তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ করতে হলে আপিল ট্রাইব্যুনালে যেতে হবে। সেখানে কেউ যাননি। তার (রিটকারী) মামলা করার অধিকার নেই, তা নিয়ে (আদালত) বড় অবজারভেশন দিয়েছেন। জনস্বার্থে যে কেউ মামলা করতে পারেন। তবে সেটা ভিন্ন। যেমন পরিবেশ, মানবাধিকার, মৌলিক অধিকার নিয়ে মামলা করতে পারে। এগুলো জনস্বার্থের মামলা। এটা (রিট) জনস্বার্থের মামলা না। তিনি (রিটকারী) ঢাকা সিটির ভোটার হিসেবে সমাজসেবা দেখাতে পারেনি বা তিনি যে ভোটার হিসেবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন সেটাও দেখাতে পারেননি।

এর আগে, বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ করে দেন।

১৪ মে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। সেইসঙ্গে তাকে মেয়র ঘোষণা করা ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও চাওয়া হয় রিটে।

হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা মো. মামুনুর রশিদ। আবেদনকারীর আইনজীবী কাজী আকবর আলী।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির নির্বাচন হয়। বিএনপির ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হন। গত ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে, বিএনপি নেতা ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম। ট্রাইব্যুনালের রায়ের অনুলিপি পেয়ে গত ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় সাংবিধানিক সংস্থাটি। এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নতুন মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন-ইসি।