Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১ সেপ্টেম্বর হবে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ছাত্রসমাবেশ : ছাত্রলীগ সভাপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, ১ সেপ্টেম্বর হবে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ছাত্রসমাবেশ। ১ সেপ্টেম্বর হবে বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে বাঁক বদলের সূচনা।

শনিবার (২৬ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ছাত্রলীগ সভাপতি। আগামী ১ সেপ্টেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য ছাত্রসমাবেশ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, এবারের ছাত্র সমাবেশের বিশেষত্ব হলো, এটি হবে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ছাত্র সমাবেশ। আপনারা দেখেছেন আগেও দেশে বহু সভা, সমাবেশ ও জমায়েত হয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের নিয়ে এতবড় সভা আগে হয়নি। এ কারণে আমরা বলছি, ১ সেপ্টেম্বরের ছাত্র সমাবেশ হবে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ছাত্র সমাবেশ।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমাদের ছাত্র সমাবেশকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মাঝে উন্মাদনার সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের ছাত্র সমাবেশে সারাদেশ থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী বন্ধু, তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিরা আসবেন। তাদের হৃদয়ের মধ্যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। স্বপ্নের মধ্যে একটি উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে। রক্তের মধ্যে একটি শিহরণ তৈরি হয়েছে, এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে। এই ১ সেপ্টেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ছাত্র সমাজের মধ্যে তুমুল আশা তৈরি হয়েছে।

সাদ্দাম হোসেন আরও বলেন, আমাদের এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে গোটা বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন। তারা প্রস্তুতি সভা, বর্ধিত সভা করেছেন। ইতিমধ্যেই ছাত্র সমাজের মধ্যে আওয়াজ উঠেছে ‘চলো চলো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলো। ১ সেপ্টেম্বরের মহাসমাবেশকে সফল করো।

৩১ আগস্ট এই সমাবেশ করার কথা থাকলেও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে তা একদিন পেছানো হয় জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যে শিক্ষার্থীবান্ধব শ্রেষ্ঠ সংগঠন এবং সাধারণ জনসাধারণের সুবিধাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয় এই সিদ্ধান্ত তারই বহিঃপ্রকাশ।

ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ছাত্রলীগের এই সমাবেশ কোনো ধারাবাহিক সাংগঠনিক সমাবেশ নয়। এই ছাত্র সমাবেশ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষে বাংলাদেশ বৃহৎ ছাত্র জনতার মনের আকাঙক্ষার বহিঃপ্রকাশ।

তিনি বলেন, এই ছাত্র সমাবেশ আমরা কেন করছি? জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতি আমরা যেমন শ্রদ্ধা জানাব এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশের সকল ছাত্র সমাজের মধ্যে একটি করুণ সুর রয়েছে। এই ১৫ আগস্টের নির্মম মর্মন্তুদ ঘটনাকে কেন্দ্র করে। আমাদের যে শোকের অনুভুতি রয়েছে, সেই শোকের অনুভুতিকে কেন্দ্র করে শক্তির কেন্দ্রস্থলে পরিণত করে এই ষড়যন্ত্রকারী, এই ঘাতকদের রাজনীতি, বাংলাদেশে যারা ১৫ই আগস্ট, ২১শে আগস্ট, ১৭ই আগস্ট নিয়ে এসেছে এবং রাজনৈতিক দলের মোড়কে এখনও যারা রাজনীতি করার চেষ্টা করছে তাদের প্রতিহত করতে এই সমাবেশ।

সাদ্দাম বলেন, হত্যা, খুন, ষড়যন্ত্রকারী, লুটেরাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ যে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে এবং বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ যে তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি ফয়সালা করতে চায়, রাজনৈতিকভাবে তাদের পরাজিত করতে চায় এবং বাংলাদেশের রাজনীতির সমীকরণ বদলে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভিত্তিক রাজনীতি বাস্তবায়িত করতে চায় সেই লড়াইয়ের শুভ সূচনা হবে ১ সেপ্টেম্বর।

মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে নিয়ে সমবেদনা জানানোয় দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, সাঈদীর মৃত্যুতে যারা সমবেদনা জানিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে, তারা অনুপ্রবেশকারী। তারা বিভিন্নভাবে দলে ঢুকে গেছে।

এ সময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি মায়াকান্না থাকলে ছাত্রলীগে থাকার উপায় নেই।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে এই সমাবেশের আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। প্রথমে ৩১ আগস্ট সমাবেশ করার ঘোষণা দিলেও পরিবর্তে ১ সেপ্টেম্বর সমাবেশের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চাঁদাবাজি নয়, ভাঙারি দোকান দখল দ্বন্দ্বেই মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: ডিএমপি

১ সেপ্টেম্বর হবে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ছাত্রসমাবেশ : ছাত্রলীগ সভাপতি

প্রকাশের সময় : ০১:৩৪:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, ১ সেপ্টেম্বর হবে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ছাত্রসমাবেশ। ১ সেপ্টেম্বর হবে বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে বাঁক বদলের সূচনা।

শনিবার (২৬ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ছাত্রলীগ সভাপতি। আগামী ১ সেপ্টেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য ছাত্রসমাবেশ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, এবারের ছাত্র সমাবেশের বিশেষত্ব হলো, এটি হবে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ছাত্র সমাবেশ। আপনারা দেখেছেন আগেও দেশে বহু সভা, সমাবেশ ও জমায়েত হয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের নিয়ে এতবড় সভা আগে হয়নি। এ কারণে আমরা বলছি, ১ সেপ্টেম্বরের ছাত্র সমাবেশ হবে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ছাত্র সমাবেশ।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমাদের ছাত্র সমাবেশকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মাঝে উন্মাদনার সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের ছাত্র সমাবেশে সারাদেশ থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী বন্ধু, তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিরা আসবেন। তাদের হৃদয়ের মধ্যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। স্বপ্নের মধ্যে একটি উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে। রক্তের মধ্যে একটি শিহরণ তৈরি হয়েছে, এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে। এই ১ সেপ্টেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ছাত্র সমাজের মধ্যে তুমুল আশা তৈরি হয়েছে।

সাদ্দাম হোসেন আরও বলেন, আমাদের এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে গোটা বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন। তারা প্রস্তুতি সভা, বর্ধিত সভা করেছেন। ইতিমধ্যেই ছাত্র সমাজের মধ্যে আওয়াজ উঠেছে ‘চলো চলো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলো। ১ সেপ্টেম্বরের মহাসমাবেশকে সফল করো।

৩১ আগস্ট এই সমাবেশ করার কথা থাকলেও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে তা একদিন পেছানো হয় জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যে শিক্ষার্থীবান্ধব শ্রেষ্ঠ সংগঠন এবং সাধারণ জনসাধারণের সুবিধাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয় এই সিদ্ধান্ত তারই বহিঃপ্রকাশ।

ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ছাত্রলীগের এই সমাবেশ কোনো ধারাবাহিক সাংগঠনিক সমাবেশ নয়। এই ছাত্র সমাবেশ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষে বাংলাদেশ বৃহৎ ছাত্র জনতার মনের আকাঙক্ষার বহিঃপ্রকাশ।

তিনি বলেন, এই ছাত্র সমাবেশ আমরা কেন করছি? জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতি আমরা যেমন শ্রদ্ধা জানাব এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশের সকল ছাত্র সমাজের মধ্যে একটি করুণ সুর রয়েছে। এই ১৫ আগস্টের নির্মম মর্মন্তুদ ঘটনাকে কেন্দ্র করে। আমাদের যে শোকের অনুভুতি রয়েছে, সেই শোকের অনুভুতিকে কেন্দ্র করে শক্তির কেন্দ্রস্থলে পরিণত করে এই ষড়যন্ত্রকারী, এই ঘাতকদের রাজনীতি, বাংলাদেশে যারা ১৫ই আগস্ট, ২১শে আগস্ট, ১৭ই আগস্ট নিয়ে এসেছে এবং রাজনৈতিক দলের মোড়কে এখনও যারা রাজনীতি করার চেষ্টা করছে তাদের প্রতিহত করতে এই সমাবেশ।

সাদ্দাম বলেন, হত্যা, খুন, ষড়যন্ত্রকারী, লুটেরাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ যে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে এবং বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ যে তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি ফয়সালা করতে চায়, রাজনৈতিকভাবে তাদের পরাজিত করতে চায় এবং বাংলাদেশের রাজনীতির সমীকরণ বদলে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভিত্তিক রাজনীতি বাস্তবায়িত করতে চায় সেই লড়াইয়ের শুভ সূচনা হবে ১ সেপ্টেম্বর।

মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে নিয়ে সমবেদনা জানানোয় দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, সাঈদীর মৃত্যুতে যারা সমবেদনা জানিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে, তারা অনুপ্রবেশকারী। তারা বিভিন্নভাবে দলে ঢুকে গেছে।

এ সময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি মায়াকান্না থাকলে ছাত্রলীগে থাকার উপায় নেই।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে এই সমাবেশের আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। প্রথমে ৩১ আগস্ট সমাবেশ করার ঘোষণা দিলেও পরিবর্তে ১ সেপ্টেম্বর সমাবেশের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।