Dhaka রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৫০ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিগগিরই মিড-ডে মিল চালু হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশের ১৫০টি উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিগগিরই মিড-ডে মিল (দুপুরের খাবার) চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মিড-ডে মিল চালুর অগ্রগতি কতদূর জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘মিড ডে মিলের কাজ এগোচ্ছে। ১৫০টি উপজেলায় শিগগির চালু হয়ে যাচ্ছে।’

কবে নাগাদ মিড-ডে মিল চালু হবে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আশা করি সেপ্টেম্বরের শেষ ও অক্টোবরের শুরুতে দেশের ১৫০টি উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল চালু করতে পারবো।’

উপদেষ্টা জানান, মিড-ডে মিলের মধ্যে ডিম, মৌসুমি ফল, বিস্কুট, দুধসহ পাঁচ ধরনের খাবার থাকবে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশের ১৫০টি উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড-ডে মিল চালু করার ঘোষণা দিয়েছিলেন উপেদেষ্টা। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, আমরা ডিপিপি তৈরি করলাম, সেটি আগের বিবিএসের রিপোর্ট অনুযায়ী তৈরি হলো। এরপর প্রক্রিয়া মেনে আমরা এটি একনেকে উপস্থাপন করলাম, তখন বিবিএসের নতুন পরিসংখ্যান বের হলো। তখন আমাদের বলা হলো, আপনারা এটা (নতুন পরিসংখ্যান) অনুযায়ী করেন। একটা জেলার মধ্যে কোন অঞ্চলগুলো বেশি দরিদ্র সেটি তো পরিবর্তন হয়েছে। নতুন করে আবার এটিকে ঠিক করে পাস করাতে হলো। এজন্য কিছুটা বিলম্ব হলো।’

তিনি বলেন, আর যে প্রক্রিয়াগুলো… প্রকিউরমেন্টে প্রক্রিয়া, ট্রেনিংয়ের বিষয়গুলো, সেগুলো চালু আছে আমরা আশা করি আমরা পারবো।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন বহাল রেখেই শিক্ষা পঞ্জির অন্যান্য ছুটি কমিয়ে আনা হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আমি মনে করি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মূল কাজই হচ্ছে সাক্ষরতা। স্কুলে লেভেলে যদি সাক্ষরতা করতে হয়, কতগুলো প্রতিবন্ধকতা আমাদের পার হতে হচ্ছে। কেন আমরা সহজে এগোতে পারছি না। এই বিষয়গুলো আমি আপনাদের সামনে প্রকাশ করতে চাই।

উপদেষ্টা বলেন, পড়াশোনা যদি স্কুলের হতে হয় তবে প্রয়োজনীয় একটি শর্ত হচ্ছে কন্ট্রাক্ট আওয়ার, একজন শিক্ষক ছাত্রকে কতটুকু সময় দিতে পারছেন। এই কন্ট্রাক্ট আওয়ার প্রথমতো নির্ভর করছে কতদিন স্কুল খোলা থাকে। আপনারা ক্যালেন্ডার দেখেন- ৩৬৫ দিনের মধ্যে আমার স্কুল খোলা থাকে ১৮০ দিন। খেয়াল করেছেন ব্যাপারটা? পড়াশোনাটা যে হবে স্কুল কত দিন খোলা পাচ্ছি! এর মানে আমাদের অনেক অপ্রয়োজনীয় ছুটি রয়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি ছুটি যদি কিছু কমিয়ে নিয়ে আনা যায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কারণ বিচ্ছিন্নভাবে এটা করলে হবে না।

ছুটি কমানোর ক্ষেত্রে সাপ্তাহিক বন্ধ দুদিনের থেকে কমিয়ে একদিন করার চিন্তা আছে কি না- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আপাতত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ক্যালেন্ডারে ছুটি কিছুটা কমানো। আমরা যদি সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিনকে একদিন করতে চাই, সেটা সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেহেতু একই রকম তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আলাদাভাবে করা কঠিন। শিক্ষকদের পক্ষ থেকে এক ধরনের দাবি আছে, শিক্ষকরা হচ্ছেন ভ্যাকেশন ডিপার্টমেন্টে, নন-ভ্যাকেশন হতে চাইলে এটা সঙ্গে সরকারের আর্থিক সংশ্লেষের প্রসঙ্গ আছে। ফলে এ ধরনের একটা চিন্তা আছে, তবে এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। তবে আমাদের ক্যালেন্ডারে যে ছুটি আছে সেক্ষেত্রে আমাকে কিছুটা কমিয়ে আনবো।

কোন কোন দিন ছুটি কমাবেন সেটা ঠিক হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা চূড়ান্ত হলে আপনাদের জানিয়ে দেবো।’

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

১৫০ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিগগিরই মিড-ডে মিল চালু হবে

প্রকাশের সময় : ০১:৩৮:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশের ১৫০টি উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিগগিরই মিড-ডে মিল (দুপুরের খাবার) চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মিড-ডে মিল চালুর অগ্রগতি কতদূর জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘মিড ডে মিলের কাজ এগোচ্ছে। ১৫০টি উপজেলায় শিগগির চালু হয়ে যাচ্ছে।’

কবে নাগাদ মিড-ডে মিল চালু হবে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আশা করি সেপ্টেম্বরের শেষ ও অক্টোবরের শুরুতে দেশের ১৫০টি উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল চালু করতে পারবো।’

উপদেষ্টা জানান, মিড-ডে মিলের মধ্যে ডিম, মৌসুমি ফল, বিস্কুট, দুধসহ পাঁচ ধরনের খাবার থাকবে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশের ১৫০টি উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড-ডে মিল চালু করার ঘোষণা দিয়েছিলেন উপেদেষ্টা। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, আমরা ডিপিপি তৈরি করলাম, সেটি আগের বিবিএসের রিপোর্ট অনুযায়ী তৈরি হলো। এরপর প্রক্রিয়া মেনে আমরা এটি একনেকে উপস্থাপন করলাম, তখন বিবিএসের নতুন পরিসংখ্যান বের হলো। তখন আমাদের বলা হলো, আপনারা এটা (নতুন পরিসংখ্যান) অনুযায়ী করেন। একটা জেলার মধ্যে কোন অঞ্চলগুলো বেশি দরিদ্র সেটি তো পরিবর্তন হয়েছে। নতুন করে আবার এটিকে ঠিক করে পাস করাতে হলো। এজন্য কিছুটা বিলম্ব হলো।’

তিনি বলেন, আর যে প্রক্রিয়াগুলো… প্রকিউরমেন্টে প্রক্রিয়া, ট্রেনিংয়ের বিষয়গুলো, সেগুলো চালু আছে আমরা আশা করি আমরা পারবো।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন বহাল রেখেই শিক্ষা পঞ্জির অন্যান্য ছুটি কমিয়ে আনা হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আমি মনে করি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মূল কাজই হচ্ছে সাক্ষরতা। স্কুলে লেভেলে যদি সাক্ষরতা করতে হয়, কতগুলো প্রতিবন্ধকতা আমাদের পার হতে হচ্ছে। কেন আমরা সহজে এগোতে পারছি না। এই বিষয়গুলো আমি আপনাদের সামনে প্রকাশ করতে চাই।

উপদেষ্টা বলেন, পড়াশোনা যদি স্কুলের হতে হয় তবে প্রয়োজনীয় একটি শর্ত হচ্ছে কন্ট্রাক্ট আওয়ার, একজন শিক্ষক ছাত্রকে কতটুকু সময় দিতে পারছেন। এই কন্ট্রাক্ট আওয়ার প্রথমতো নির্ভর করছে কতদিন স্কুল খোলা থাকে। আপনারা ক্যালেন্ডার দেখেন- ৩৬৫ দিনের মধ্যে আমার স্কুল খোলা থাকে ১৮০ দিন। খেয়াল করেছেন ব্যাপারটা? পড়াশোনাটা যে হবে স্কুল কত দিন খোলা পাচ্ছি! এর মানে আমাদের অনেক অপ্রয়োজনীয় ছুটি রয়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি ছুটি যদি কিছু কমিয়ে নিয়ে আনা যায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কারণ বিচ্ছিন্নভাবে এটা করলে হবে না।

ছুটি কমানোর ক্ষেত্রে সাপ্তাহিক বন্ধ দুদিনের থেকে কমিয়ে একদিন করার চিন্তা আছে কি না- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আপাতত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ক্যালেন্ডারে ছুটি কিছুটা কমানো। আমরা যদি সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিনকে একদিন করতে চাই, সেটা সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেহেতু একই রকম তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আলাদাভাবে করা কঠিন। শিক্ষকদের পক্ষ থেকে এক ধরনের দাবি আছে, শিক্ষকরা হচ্ছেন ভ্যাকেশন ডিপার্টমেন্টে, নন-ভ্যাকেশন হতে চাইলে এটা সঙ্গে সরকারের আর্থিক সংশ্লেষের প্রসঙ্গ আছে। ফলে এ ধরনের একটা চিন্তা আছে, তবে এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। তবে আমাদের ক্যালেন্ডারে যে ছুটি আছে সেক্ষেত্রে আমাকে কিছুটা কমিয়ে আনবো।

কোন কোন দিন ছুটি কমাবেন সেটা ঠিক হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা চূড়ান্ত হলে আপনাদের জানিয়ে দেবো।’