নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, বিগত সরকারের আমলে ঘোষিত ১০০টি নয়, অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে আপাতত ৫টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে শেষ করা হবে। আগামী ১-২ বছরে এর বাইরে কাজ করবে না বেজা।
মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিডার মাল্টিপারপাস সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মিট দ্য প্রেসে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে আরো ১৩৩টি বিনিয়োগকারীর মাধ্যমে সাড়ে পাঁচ শ’ কোটি ডলার বিনিয়োগ আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, এক শ’টি ইজেড বন্ধ বা বাতিল করার কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে কাজ করছি।
তিনি বলেন, বর্তমানে ১৯টি উন্নয়নরত, ১২২টি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে। এ পর্যন্ত সাত হাজার দুই শ’ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ৪৫ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ৮৩টি বিনিয়োগকারী ছাড়া বাইরের সবচেয়ে বেশি চীনের, ১১টি। এরপর জাপান ছয়টি ও যুক্তরাজ্যের চারটি। এছাড়াও নয়টি দেশের বিনিয়োগকারী রয়েছে।
তিনি বলেন, যেসব এলাকায় মানুষ পিছিয়ে আছে, বেজার কাজ হচ্ছে সেখানে শিল্প স্থাপন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। বেজার কাজ প্রফিট করা নয়।
এক প্রশ্নের জবাবে বেজা চেয়ারম্যান বলেন, আমরা এখনও সরকারি এ ৫টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ দিতে পারিনি। আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সব সুযোগ সুবিধা দেওয়া সম্ভব হবে। এছাড়া বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য রোডম্যাপ করা হবে। এ রোডম্যাপ অনুযায়ীই বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে যোগাযোগ, পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ কর হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে আড়াই লাখ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হবে। সরকারের দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা আছে। কিন্তু সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। এর মধ্যে বেজা’রও কয়েকটি দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনাআছে। বর্তমানে বেজার ওয়েবসাইট থেকে ৬০টি ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু আছে এবং আরও সার্ভিস চালুর অপেক্ষায় আছে।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর অব্যবহৃত জায়গায় সোলার পার্ক করার পরিকল্পনা রয়েছে। মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে পিপিপি মডেলে সোলার প্যানেল করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি সরকারের যেসব মিল ও কারখানা লোকসানে আছে বা বন্ধ রয়েছে সেগুলোতে অর্থনৈতিক অঞ্চল করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, নীতিমালার দফায় দফায় পরিবর্তন, সরকারি সেবার মান কম, মিরসরাই জোনে পানির সমস্যা, বিভিন্ন সেবা সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। মিরসরাইয়ে শ্রমিক সঙ্কট রয়েছে। কারণ সেখানে আবাসনের সমস্যা।