আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
অবশেষে জার্মানির হামবুর্গ বিমানবন্দরের নাটকীয় জিম্মি নাটকের পরিস্থিতির অবসান হয়েছে। ১৮ ঘণ্টা পর দূর হয়েছে বিমানবন্দরের অচলাবস্থা। তবে বিমানবন্দরটির কার্যক্রম শুরু হলেও বেশ কিছু ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। দীর্ঘ নাটকীয় অবস্থার অবসান ঘটিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। সেখানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। শিশুটি সুস্থ আছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার রাতে নিজের চার বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে বিমানবন্দরে ঢোকেন ওই ব্যাক্তি। এরপর নিজের মেয়েকে বন্দী করেন তিনি। এই ঘটনায় প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে বিমানবন্দর বন্ধ ছিল।
জানা গেছে, অস্ত্রধারী ওই ব্যক্তি নিজের গাড়িতে নিজের মেয়েকে নিয়ে গেট পার হয়ে বিমানবন্দরে ঢুকে পড়ার পর তার সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। পরিস্থিতি সামলাতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ এবং জার্মানির বিশেষ বাহিনী এসডাব্লিওএটি-এর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
কর্তৃপক্ষের ধারণা, সন্তান কার কাছে থাকবে সে বিষয়ে বিবাদে লিপ্ত ছিলেন ওই ব্যক্তি। শনিবার তার স্ত্রী পুলিশকে সম্ভাব্য ‘শিশু অপহরণের’ বিষয়ে অবহিত করেন এবং এর কিছুক্ষণ পরই ওই ব্যক্তি গাড়ি নিয়ে বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন।
পুলিশ জানায়, প্রবেশের সময় ওই ব্যক্তি বাতাসে দুই রাউন্ড গুলি এবং এক ধরনের মলটোভা ককটেল নিক্ষেপ করেন। এরপর টার্কিশ এয়ারলাইনসের বিমানে পাশে গিয়ে অবস্থান নেন।
পুলিশের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা ডিপিএকে জানান, অস্ত্রধারী ওই ব্যক্তির সাথে তুর্কি ভাষায় আলোচনা চলেছে। ৩৫ বছরের ওই ব্যক্তি তুরস্কের নাগরিক বা জার্মানিতে বসবাসরত তুর্কি সম্প্রদায়ের কি-না সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
এই ঘটনায় অন্তত তিন হাজার ২০০ যাত্রী ভোগান্তিতে পড়ে। তাছাড়া ৬০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়।