Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেপ্টেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নীচে নেমে আসবে : গভর্নর

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নীচে নেমে আসবে বলে প্রত্যাশা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর তার এ প্রত্যাশার কথা জানান। একইসঙ্গে মূল্যস্ফীতি কমলে সুদহারও কমানো হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি ও এক্সচেঞ্জ রেট স্থিতিশীল না হলে জিনিসপত্রের দাম বাড়তো। এখন স্বস্তিতে এসেছে। এক্সচেঞ্জ রেট বাজারের ওপরে ছেড়ে দেওয়ার পরও পরিবর্তন হয়নি, অর্থাৎ এটাও স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। এতে আস্থা এসেছে। আগামীতে মূল্যস্ফীতি একটি ভালো জায়গায় যাচ্ছে।

গভর্নর বলেন, আমরা যদি পরিসংখ্যান দেখি— খাদ্য মূল্যস্ফীতি সাড়ে ১৪ শতাংশ ছিল, এখন তা সাড়ে ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি একটু বেশি আছে, এটি কমছে, এখন ১০ শতাংশের নিচে আছে। বিশ্ববাজারে খাদ্য, তেল-গ্যাসের দর কমতির দিকে। এর সুফল পাবে। এ ছাড়া মুদ্রানীতি সংকোচনমূলক করা হয়েছে। আশা করছি আগামী জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৭ শতাংশে নেমে আসবে মূল্যস্ফীতি।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমাদের মূল্যস্ফীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এক্সচেঞ্জ রেট। বর্তমানে আমাদের এক্সচেঞ্জ রেট স্থিতিশীল আছে। এমন স্থিতিশীল পরিস্থিতি থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করছি। মূল্যস্ফীতি কমলে জুলাই -সেপ্টেম্বরের মধ্যে সুদহারও কমানো হবে।

গভর্নর বলেন, এক্সচেঞ্জ রেট কমাতে না পারলে জিনিসপত্রের দাম বাড়ত। এটা এখন স্বস্তির মধ্যে আসছে। গত সাত-আট মাস ধরে এক্সচেঞ্জ রেট ১২২-১২৩ টাকার (প্রতি ডলারের বিপরীতে) মধ্যে স্থিতিশীল পর্যায়ে আছে। এক্সচেঞ্জ রেট বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পরও তেমন পরিবর্তন হয়নি। এতে মূল্যস্ফীতি একটি ভালো জায়গায় যাচ্ছে।

তিনি বলেন, খাদ্য মূল্যস্ফীতি সাড়ে ১৪ শতাংশ ছিল, এখন তা সাড়ে ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি একটু বেশি আছে। এটি এখন ১০ শতাংশের নিচে আছে।

গভর্নর বলেন, বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম, জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম কমছে। আগামী দিনগুলোতে আমাদের দেশে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। আমরা এর সুফল পাব। এছাড়া, মুদ্রানীতি সংকোচনমূলক করা হয়েছে। আশা করছি, আগামী জুলাই-সেপ্টেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নেমে আসবে।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, মূল্যস্ফীতি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আমরা মনিটরিং পলিসি টাইট করে রেখেছি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসলে জুলাই-সেপ্টেম্বরের দিকে আমরা সুদের হার কমাতে পারব।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বিদ্যুৎ জ্বালানি সড়ক সেতু ও রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাণিজ্য, বিমান এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানসহ বিভিন্ন আর্থিক খাতের প্রধানরা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

সেপ্টেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নীচে নেমে আসবে : গভর্নর

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৯:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নীচে নেমে আসবে বলে প্রত্যাশা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর তার এ প্রত্যাশার কথা জানান। একইসঙ্গে মূল্যস্ফীতি কমলে সুদহারও কমানো হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি ও এক্সচেঞ্জ রেট স্থিতিশীল না হলে জিনিসপত্রের দাম বাড়তো। এখন স্বস্তিতে এসেছে। এক্সচেঞ্জ রেট বাজারের ওপরে ছেড়ে দেওয়ার পরও পরিবর্তন হয়নি, অর্থাৎ এটাও স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। এতে আস্থা এসেছে। আগামীতে মূল্যস্ফীতি একটি ভালো জায়গায় যাচ্ছে।

গভর্নর বলেন, আমরা যদি পরিসংখ্যান দেখি— খাদ্য মূল্যস্ফীতি সাড়ে ১৪ শতাংশ ছিল, এখন তা সাড়ে ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি একটু বেশি আছে, এটি কমছে, এখন ১০ শতাংশের নিচে আছে। বিশ্ববাজারে খাদ্য, তেল-গ্যাসের দর কমতির দিকে। এর সুফল পাবে। এ ছাড়া মুদ্রানীতি সংকোচনমূলক করা হয়েছে। আশা করছি আগামী জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৭ শতাংশে নেমে আসবে মূল্যস্ফীতি।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমাদের মূল্যস্ফীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এক্সচেঞ্জ রেট। বর্তমানে আমাদের এক্সচেঞ্জ রেট স্থিতিশীল আছে। এমন স্থিতিশীল পরিস্থিতি থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করছি। মূল্যস্ফীতি কমলে জুলাই -সেপ্টেম্বরের মধ্যে সুদহারও কমানো হবে।

গভর্নর বলেন, এক্সচেঞ্জ রেট কমাতে না পারলে জিনিসপত্রের দাম বাড়ত। এটা এখন স্বস্তির মধ্যে আসছে। গত সাত-আট মাস ধরে এক্সচেঞ্জ রেট ১২২-১২৩ টাকার (প্রতি ডলারের বিপরীতে) মধ্যে স্থিতিশীল পর্যায়ে আছে। এক্সচেঞ্জ রেট বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পরও তেমন পরিবর্তন হয়নি। এতে মূল্যস্ফীতি একটি ভালো জায়গায় যাচ্ছে।

তিনি বলেন, খাদ্য মূল্যস্ফীতি সাড়ে ১৪ শতাংশ ছিল, এখন তা সাড়ে ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি একটু বেশি আছে। এটি এখন ১০ শতাংশের নিচে আছে।

গভর্নর বলেন, বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম, জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম কমছে। আগামী দিনগুলোতে আমাদের দেশে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। আমরা এর সুফল পাব। এছাড়া, মুদ্রানীতি সংকোচনমূলক করা হয়েছে। আশা করছি, আগামী জুলাই-সেপ্টেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নেমে আসবে।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, মূল্যস্ফীতি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আমরা মনিটরিং পলিসি টাইট করে রেখেছি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসলে জুলাই-সেপ্টেম্বরের দিকে আমরা সুদের হার কমাতে পারব।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বিদ্যুৎ জ্বালানি সড়ক সেতু ও রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাণিজ্য, বিমান এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানসহ বিভিন্ন আর্থিক খাতের প্রধানরা।