Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর ফের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলমের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এর মধ্যে মো. রাসেল হত্যা মামলায় পাঁচ দিন ও লিটন উদ্দিন হত্যা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৬ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি. এম. ফারহান ইশতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এদিন জাহাঙ্গীর আলমকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর দুই মামলায় পাঁচ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানিতে তিনি বলেন, আসামি একজন সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখানে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি বয়স্ক, অনেক অসুস্থ। হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন। এসব বিবেচনায় তার রিমান্ড বাতিল প্রার্থনা করছি।

এরপর জাহাঙ্গীর আলম বিচারকের উদ্দেশে বলেন, আমার কিছু বলার আছে। তখন তিনি বলেন, অসত্যের সীমা আছে। সেটা লঙ্ঘন হলে আল্লাহর কাছে দায়ী থাকবেন। আমাকে নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। ৫ আগস্ট অফিস করিনি। ২৭ জুলাইয়ের ঘটনা ৫ আগস্ট দেখানো হচ্ছে। আমিও ১৬ বছর ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করেছি। আমাকে ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে এক বছর আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অথচ এতদিন মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পরে শুনানি শেষে আদালত তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাসেল হত্যা মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার সামনের সড়কে আন্দোলনে অংশ নেন ভুক্তভোগী রাসেল বকাউল (২২)। এ সময় পুলিশের হামলায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ২৮ আগস্ট নিহতের বড়ভাই হাসনাত বাকাউল বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

রিটন হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন রিটন উদ্দিন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ২৯ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা হয়।

এদিকে, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনুকে যাত্রাবাড়ী থানার দুই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। একই আদালত সাংবাদিক মেহেদী হাসান ও ওবায়দুল ইসলাম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর ফের রিমান্ডে

প্রকাশের সময় : ০১:৩১:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলমের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এর মধ্যে মো. রাসেল হত্যা মামলায় পাঁচ দিন ও লিটন উদ্দিন হত্যা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৬ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি. এম. ফারহান ইশতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এদিন জাহাঙ্গীর আলমকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর দুই মামলায় পাঁচ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানিতে তিনি বলেন, আসামি একজন সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখানে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি বয়স্ক, অনেক অসুস্থ। হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন। এসব বিবেচনায় তার রিমান্ড বাতিল প্রার্থনা করছি।

এরপর জাহাঙ্গীর আলম বিচারকের উদ্দেশে বলেন, আমার কিছু বলার আছে। তখন তিনি বলেন, অসত্যের সীমা আছে। সেটা লঙ্ঘন হলে আল্লাহর কাছে দায়ী থাকবেন। আমাকে নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। ৫ আগস্ট অফিস করিনি। ২৭ জুলাইয়ের ঘটনা ৫ আগস্ট দেখানো হচ্ছে। আমিও ১৬ বছর ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করেছি। আমাকে ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে এক বছর আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অথচ এতদিন মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পরে শুনানি শেষে আদালত তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাসেল হত্যা মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার সামনের সড়কে আন্দোলনে অংশ নেন ভুক্তভোগী রাসেল বকাউল (২২)। এ সময় পুলিশের হামলায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ২৮ আগস্ট নিহতের বড়ভাই হাসনাত বাকাউল বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

রিটন হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন রিটন উদ্দিন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ২৯ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা হয়।

এদিকে, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনুকে যাত্রাবাড়ী থানার দুই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। একই আদালত সাংবাদিক মেহেদী হাসান ও ওবায়দুল ইসলাম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখান।