Dhaka বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাজা থেকে খালাস পেলেন জি কে শামীম

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অর্থপাচার মামলায় ১০ বছরের সাজা থেকে ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত সাবেক যুবলীগ নেতা ঠিকাদার জি কে শামীমকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে তার আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. যাবিদ হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই জি কে শামীমকে ১০ বছরের সাজা দিয়েছিলেন ঢাকার একটি আদালত।

ঢাকার বিশেষ আদালত-১০-এর বিচারক মো. নজরুল ইসলাম তখন রায়ে বলেছিলেন প্রসিকিউশন জি কে শামীম ও অন্যদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং তাদের এ ধরনের অপরাধের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

২০২০ সালের ১০ নভেম্বর একই আদালত এই মামলায় জি কে শামীম এবং তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট চার্জশিট জমা দেয়।

অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সংগঠিত অর্থনৈতিক অপরাধ ইউনিটের অতিরিক্ত বিশেষ সুপার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু সাঈদ অভিযোগপত্রে বলেন, শামীমের বিভিন্ন ব্যাংক, দুটি বাড়িতে ১৮০টি ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্টে ৩৩৭ দশমিক ৩ কোটি টাকা রয়েছে। রাজধানীতে ৪১ কোটি টাকা মূল্যের ৫২ কাঠা জমি আছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, শামীম সরকারি দপ্তরে টেন্ডারবাজি এবং বাস টার্মিনাল ও গরুর হাটে চাঁদাবাজির মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করেছেন।

২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সদস্যরা শামীমকে চাঁদাবাজি ও টেন্ডার কারসাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার করা হয় তার দেহরক্ষীদেরও। পরে শামীমের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় তিনটি মামলা করে র‌্যাব।

গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র মামলায় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার আরেকটি ট্রাইব্যুনাল।

আবহাওয়া

আ.লীগ কর্মীদের প্রবেশ, দুধে ধোয়া হলো বিএনপির অফিস

সাজা থেকে খালাস পেলেন জি কে শামীম

প্রকাশের সময় : ০২:৩৪:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অর্থপাচার মামলায় ১০ বছরের সাজা থেকে ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত সাবেক যুবলীগ নেতা ঠিকাদার জি কে শামীমকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে তার আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. যাবিদ হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই জি কে শামীমকে ১০ বছরের সাজা দিয়েছিলেন ঢাকার একটি আদালত।

ঢাকার বিশেষ আদালত-১০-এর বিচারক মো. নজরুল ইসলাম তখন রায়ে বলেছিলেন প্রসিকিউশন জি কে শামীম ও অন্যদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং তাদের এ ধরনের অপরাধের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

২০২০ সালের ১০ নভেম্বর একই আদালত এই মামলায় জি কে শামীম এবং তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট চার্জশিট জমা দেয়।

অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সংগঠিত অর্থনৈতিক অপরাধ ইউনিটের অতিরিক্ত বিশেষ সুপার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু সাঈদ অভিযোগপত্রে বলেন, শামীমের বিভিন্ন ব্যাংক, দুটি বাড়িতে ১৮০টি ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্টে ৩৩৭ দশমিক ৩ কোটি টাকা রয়েছে। রাজধানীতে ৪১ কোটি টাকা মূল্যের ৫২ কাঠা জমি আছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, শামীম সরকারি দপ্তরে টেন্ডারবাজি এবং বাস টার্মিনাল ও গরুর হাটে চাঁদাবাজির মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করেছেন।

২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সদস্যরা শামীমকে চাঁদাবাজি ও টেন্ডার কারসাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার করা হয় তার দেহরক্ষীদেরও। পরে শামীমের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় তিনটি মামলা করে র‌্যাব।

গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র মামলায় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার আরেকটি ট্রাইব্যুনাল।