ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সড়ক দুর্ঘটনার জেরে মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডের লোকজনদের হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন প্রতিনিধি আহত হয়েছেন।
রোববার (১৬ মার্চ) রাতে সরাইলের উচালিয়াপাড়া মাইক্রো বাস স্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে বলে সরাইল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান।
হামলায় আহতরা হলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ইরফান খান, আলিফ মাহমুদ নাহিদ ও মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম। এর মধ্যে ইরফান খান গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা প্রতিনিধি বায়েজিদুর রহমান সিয়ামসহ ছাত্র প্রতিনিধিরা আহতদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান।
আহতরা জানান, রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সরাইল-নাসিরনগর সড়কের ধরন্তী এলাকায় একটি মাইক্রোবাস মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়ে পালিয়ে উচালিয়াপাড়া মাইক্রো বাসস্ট্যান্ডে চলে আসে। গাড়িটির পিছু নিয়ে স্থানীয়রা চাপা দেওয়া মাইক্রোবাসটিকে সরাইল মাইক্রো বাসস্ট্যান্ডে দেখতে পেয়ে আটক করেন। খবর পেয়ে ছাত্র প্রতিনিধিরা সেখানে গিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। এ সময় ছাত্র প্রতিনিধিরা ঘাতক মাইক্রোবাসটিকে আটক করে থানায় নিয়ে যেতে পুলিশকে অনুরোধ করেন। এ নিয়ে মাইক্রোস্ট্যান্ডের মালিক-শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে তারা বাগবিতণ্ডায় জড়ায়। এ সময় আকস্মিক একটি ঢিল পড়ে মাইক্রোবাসের গ্লাস ভেঙে যায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মাইক্রোস্ট্যান্ডের সভাপতি হেলালের নেতৃত্বে লোকজন ছাত্র প্রতিনিধিদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় অন্তত তিন জন আহত হয়।
সরাইল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, হামলার ঘটনায় মাইক্রো বাস স্ট্যান্ডের সাতজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইরফান খান বাদী হয়ে আজ সকালে থানায় মামলা দিয়েছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।