Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সচিবলায় বসে সুবিধা নিচ্ছে ফ্যাসিবাদের দোসররা : মির্জা আব্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রশাসনে বিএনপির লোক বসে আছে, এমন বক্তব্য শিশুতোষ। সচিবালয়ের ভেতরে বসে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসরদের কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে বলেই কি তাদের সরানো হচ্ছে না। এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র, সংস্কার ও বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ প্রশ্ন তুলেন।

মির্জা আব্বাস দাবি করেন, সচিবালয়ের ভেতরে ৪ জন, বাইরে একজনসহ সচিব পদমর্যাদার ৫ জন এবং উপদেষ্টা পরিষদে থাকা কিছু লোক প্রধান উপদেষ্টাকে সঠিক পথে চলতে দেবে না। তাই প্রধান উপদেষ্টাকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপির এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগকে যারা দেশে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। দলটির দ্বারা বিএনপির চাইতে আর কেউ বেশি নির্যাতিত নয়। যদি ফ্যাসিবাবিরোধী ঐক্যে বিভক্তি সৃষ্টি হয়, তাহলে আবারও ভারতীয় আধিপত্যবাদের কবলে পড়বে বাংলাদেশ।

মতভেদ থাকলেও জাতীয় স্বার্থে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিপরীত শক্তি দ্বিধা-বিভক্ত করার চেষ্টা করছে এবং ইউটিউবাররা দেশের ভেতর অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রাখতে চায় বলে বিএনপির এ নেতা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

মির্জা আব্বাস আরও বলেন, সংস্কার ও নির্বাচন উভয়ই চায় বিএনপি। অপ্রয়োজনীয় যে সংস্কার বিপদ ডেকে আনবে এমন সংস্কার চাই না। নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হচ্ছে, যা কাম্য নয়।

তিনি বলেন, প্রশাসনে বিএনপির লোকজন বসে নেই। প্রশাসনে থাকা আওয়ামী দালালদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছে এনসিপি।

কর্মরত কয়েকজন সচিবের নাম প্রকাশ না করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দালালদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আওয়ামী লীগকে যারা পুনর্বাসন করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘আপনার (ড. ইউনূস) আশপাশে আওয়ামী লীগের দোসরদের থেকে সতর্ক থাকুন। তারা আপনাকে লাইনচ্যুত করে ফেলতে পারে।’

সাংবাদিকরা তার বক্তব্য টুইস্ট করছেন অভিযোগ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমি কথা বললেই দেশি-বিদেশি কিছু সাংবাদিক টুইস্ট করে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করেন।’

নির্বাচন দ্রুত না-ও হতে পারে শঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা সংস্কারও চাই, নির্বাচনও চাই। যে সংস্কার মানুষের প্রয়োজন, তার বাইরে অপ্রয়োজনীয় সংস্কার দরকার নেই। নির্বাচনের বিকল্প নির্বাচন। দেশের মানুষের জন্য যে সংস্কারটুকু প্রয়োজন তা শেষ করেই নির্বাচন দিতে হবে।’

বিদেশে বসে ব্লগাররা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের চরিত্র হননের চেষ্টা করছে অভিযোগ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ছড়িয়ে বিদেশে বসে অপপ্রচার চালাচ্ছে ব্লগাররা। এরা দেশের শত্রু, জাতির শত্রু। সবার কথা বলার অধিকার আছে। সত্যি কথা বলেন। মিথ্যা কথা বলে কারো চরিত্রহনন করবেন না। এখন তো দেশ স্বাধীন। দেশে এসে দেশ গঠনে কাজ করুন।’

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

সচিবলায় বসে সুবিধা নিচ্ছে ফ্যাসিবাদের দোসররা : মির্জা আব্বাস

প্রকাশের সময় : ০২:২৮:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রশাসনে বিএনপির লোক বসে আছে, এমন বক্তব্য শিশুতোষ। সচিবালয়ের ভেতরে বসে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসরদের কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে বলেই কি তাদের সরানো হচ্ছে না। এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র, সংস্কার ও বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ প্রশ্ন তুলেন।

মির্জা আব্বাস দাবি করেন, সচিবালয়ের ভেতরে ৪ জন, বাইরে একজনসহ সচিব পদমর্যাদার ৫ জন এবং উপদেষ্টা পরিষদে থাকা কিছু লোক প্রধান উপদেষ্টাকে সঠিক পথে চলতে দেবে না। তাই প্রধান উপদেষ্টাকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপির এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগকে যারা দেশে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। দলটির দ্বারা বিএনপির চাইতে আর কেউ বেশি নির্যাতিত নয়। যদি ফ্যাসিবাবিরোধী ঐক্যে বিভক্তি সৃষ্টি হয়, তাহলে আবারও ভারতীয় আধিপত্যবাদের কবলে পড়বে বাংলাদেশ।

মতভেদ থাকলেও জাতীয় স্বার্থে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিপরীত শক্তি দ্বিধা-বিভক্ত করার চেষ্টা করছে এবং ইউটিউবাররা দেশের ভেতর অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রাখতে চায় বলে বিএনপির এ নেতা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

মির্জা আব্বাস আরও বলেন, সংস্কার ও নির্বাচন উভয়ই চায় বিএনপি। অপ্রয়োজনীয় যে সংস্কার বিপদ ডেকে আনবে এমন সংস্কার চাই না। নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হচ্ছে, যা কাম্য নয়।

তিনি বলেন, প্রশাসনে বিএনপির লোকজন বসে নেই। প্রশাসনে থাকা আওয়ামী দালালদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছে এনসিপি।

কর্মরত কয়েকজন সচিবের নাম প্রকাশ না করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দালালদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আওয়ামী লীগকে যারা পুনর্বাসন করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘আপনার (ড. ইউনূস) আশপাশে আওয়ামী লীগের দোসরদের থেকে সতর্ক থাকুন। তারা আপনাকে লাইনচ্যুত করে ফেলতে পারে।’

সাংবাদিকরা তার বক্তব্য টুইস্ট করছেন অভিযোগ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমি কথা বললেই দেশি-বিদেশি কিছু সাংবাদিক টুইস্ট করে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করেন।’

নির্বাচন দ্রুত না-ও হতে পারে শঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা সংস্কারও চাই, নির্বাচনও চাই। যে সংস্কার মানুষের প্রয়োজন, তার বাইরে অপ্রয়োজনীয় সংস্কার দরকার নেই। নির্বাচনের বিকল্প নির্বাচন। দেশের মানুষের জন্য যে সংস্কারটুকু প্রয়োজন তা শেষ করেই নির্বাচন দিতে হবে।’

বিদেশে বসে ব্লগাররা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের চরিত্র হননের চেষ্টা করছে অভিযোগ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ছড়িয়ে বিদেশে বসে অপপ্রচার চালাচ্ছে ব্লগাররা। এরা দেশের শত্রু, জাতির শত্রু। সবার কথা বলার অধিকার আছে। সত্যি কথা বলেন। মিথ্যা কথা বলে কারো চরিত্রহনন করবেন না। এখন তো দেশ স্বাধীন। দেশে এসে দেশ গঠনে কাজ করুন।’