Dhaka সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংযোগ সড়ক না থাকায় কাজে আসছে না কোটি টাকার ব্রিজ

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি : 

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় সংযোগ সড়ক না থাকায় কাজে আসছে না কোটি টাকার ব্রিজ। নির্মাণের দুই বছরেও সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এতে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হলেও প্রভাবশালী ঠিকাদারের ভয়ে কিছুই বলতে পারছেন না।

সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা গেছে, উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের কোলাদধোয়া খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটি রাস্তা থেকে প্রায় ১০ ফুট উঁচুতে। দুই পাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় যানবাহন ও পথচারীরা ব্রিজটি ব্যবহার করতে পারছেন না।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের কোলাদধোয়ায় খালের ওপর লোকজনের পারাপারের সুবিধার জন্য ২০২৩ সালের ১২ এপ্রিল এক কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়। টেন্ডারে মুলাদী উপজেলার বান্দ রোডের মেসার্স পাপ্পু এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজটি পেয়ে ২০২৩ সালের ৬ আগস্ট কাজ শুরু করেন। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ব্রিজের ঢালাইয়ের কাজ শেষ করলেও দুই পাশের সংযোগ সড়কের কাজ না করায় বর্তমানে কোটি টাকার ব্রিজ কোনো কাজে আসছে না। সাতমাস আগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্রিজটি ঢালাইয়ের কাজ শেষ করলেও সংযোগ সড়ক নির্মাণ ছাড়াই ব্রিজটি ফেলে রাখে ঠিকাদার। যার কারণে ওই কোটি টাকার ব্রিজ দিয়ে কোনো লোকজন চলাচল করতে পারছে না।

স্থানীয় এলাকার আবুল হাসেম নামে এক বৃদ্ধ  বলেন, গত ২ বছর আগে সেতু করে চলে গেছে ঠিকাদার তারপর থেকে আমরা একদিনের জন্যও এই সেতু দিয়ে পার হতে পারিনি। স্থানীয় চেয়রাম্যান মেম্বার নেতাদের একাধিকবার বলেছি কিন্তু কোনো কাজ হয়ি। এখন আশা ছেড়ে দিয়েছি কারণ আমরা-তো অবহেলিত আমাদের কেনো তারা সুযোগ-সুবিধা করে দিবে, ভোটের সময় এলে নেতারা আসে আর ভোট চলে গেলে তাদের চরণধূলি পাওয়াটা অবিশ্বাস্য হয় দাঁড়ায়।

এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পাপ্পু এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. বাদল হোসেন বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের নামে কাজ হলেও আমি কাজ করতে পারিনি। আমার কাছ থেকে জোর করে আওয়ামী লীগের সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়েছিল। পরে তারাও কাজ করতে পারেনি। এখন স্থানীয় ঠিকাদাররা কাজ করছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের ব্যবস্থা করব।

এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অয়ন সাহা বলেন, ওই ব্রিজের টেন্ডারটি হয়েছিল ২০২৩ সালে। আমি যোগদান করেছি ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়। তবে আমি বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সংযোগ সড়ক না থাকায় কাজে আসছে না কোটি টাকার ব্রিজ

প্রকাশের সময় : ১২:২০:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি : 

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় সংযোগ সড়ক না থাকায় কাজে আসছে না কোটি টাকার ব্রিজ। নির্মাণের দুই বছরেও সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এতে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হলেও প্রভাবশালী ঠিকাদারের ভয়ে কিছুই বলতে পারছেন না।

সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা গেছে, উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের কোলাদধোয়া খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটি রাস্তা থেকে প্রায় ১০ ফুট উঁচুতে। দুই পাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় যানবাহন ও পথচারীরা ব্রিজটি ব্যবহার করতে পারছেন না।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের কোলাদধোয়ায় খালের ওপর লোকজনের পারাপারের সুবিধার জন্য ২০২৩ সালের ১২ এপ্রিল এক কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়। টেন্ডারে মুলাদী উপজেলার বান্দ রোডের মেসার্স পাপ্পু এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজটি পেয়ে ২০২৩ সালের ৬ আগস্ট কাজ শুরু করেন। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ব্রিজের ঢালাইয়ের কাজ শেষ করলেও দুই পাশের সংযোগ সড়কের কাজ না করায় বর্তমানে কোটি টাকার ব্রিজ কোনো কাজে আসছে না। সাতমাস আগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্রিজটি ঢালাইয়ের কাজ শেষ করলেও সংযোগ সড়ক নির্মাণ ছাড়াই ব্রিজটি ফেলে রাখে ঠিকাদার। যার কারণে ওই কোটি টাকার ব্রিজ দিয়ে কোনো লোকজন চলাচল করতে পারছে না।

স্থানীয় এলাকার আবুল হাসেম নামে এক বৃদ্ধ  বলেন, গত ২ বছর আগে সেতু করে চলে গেছে ঠিকাদার তারপর থেকে আমরা একদিনের জন্যও এই সেতু দিয়ে পার হতে পারিনি। স্থানীয় চেয়রাম্যান মেম্বার নেতাদের একাধিকবার বলেছি কিন্তু কোনো কাজ হয়ি। এখন আশা ছেড়ে দিয়েছি কারণ আমরা-তো অবহেলিত আমাদের কেনো তারা সুযোগ-সুবিধা করে দিবে, ভোটের সময় এলে নেতারা আসে আর ভোট চলে গেলে তাদের চরণধূলি পাওয়াটা অবিশ্বাস্য হয় দাঁড়ায়।

এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পাপ্পু এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. বাদল হোসেন বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের নামে কাজ হলেও আমি কাজ করতে পারিনি। আমার কাছ থেকে জোর করে আওয়ামী লীগের সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়েছিল। পরে তারাও কাজ করতে পারেনি। এখন স্থানীয় ঠিকাদাররা কাজ করছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের ব্যবস্থা করব।

এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অয়ন সাহা বলেন, ওই ব্রিজের টেন্ডারটি হয়েছিল ২০২৩ সালে। আমি যোগদান করেছি ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়। তবে আমি বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।