Dhaka মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনা সিলেট থেকে নির্বাচনি প্রচার শুরু করবেন: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বাদশ নির্বাচনি প্রচার সিলেট থেকে শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্বাচনি জনসভা সিলেট থেকে শুরু হবে। সেখানে আপনারা দলে দলে যোগ দেবেন।

আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, আমাদের নেত্রী সারাদিন, এমনকি রাতেরও বেশি সময় দেশ নিয়ে ভাবেন। কীভাবে মানুষ দুর্দশা কাটিয়ে উঠতে পারে সেটাই তার চিন্তা। মাঝে মাঝে বিদেশে যাচ্ছেন, যাতে কিছু সহযোগিতা পাওয়া যায়।

দেশে একটা সংকট চলছে জানিয়ে কাদের বলেন, আমরা একটা চ্যালেঞ্জিং সময় অতিক্রম করছি। সারা বিশ্বে যুদ্ধাবস্থা থাকায় জিনিসপত্র, জ্বালানির দাম বেড়েছে। আমরা অপরাধ না করেও যুদ্ধাবস্থা থাকায় কষ্ট পাচ্ছি। আমরা একটু বিপদে আছি, গ্রামের মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।

তিনি বলেন, বিএনপি একটা প্রতারক দল। প্রতারণারও একটা সীমা আছে। কোথাকার কোন মিয়া আরেফি তার সঙ্গে সারওয়ার্দী! উল্লাপাড়ার এক পাগলকে ধরে এনে বাইডেনের দোস্ত বানিয়েছে বিএনপি।

আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি আবার জ্বালাও-পোড়াও শুরু করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপি ব্যর্থ। ফখরুল দৌড়াতে দৌড়াতে মঞ্চ থেকে একবার নামে, একবার ওঠে। শেষ পর্যন্ত হ্যান্ডমাইক দিয়ে হরতাল ঘোষণা করতে হলো। ওই আন্দোলনে যে পরিমাণ সাংবাদিক আহত হয়েছেন, আমাদের দেশের ইতিহাসে কোনো আন্দোলনে এত সাংবাদিক আহত হননি। এটা কী আন্দোলনের মধ্যে পড়ে। তাদের হাতে মুক্তিযুদ্ধ নিরাপদ নয়, বাংলাদেশের মানুষ নিরাপদ নয়।

প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফর প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমান যে দুঃসময় যাচ্ছে সেটাতে সৌদি আরব আমাদের সাহায্য করবে। আর এ দুঃসময়ে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে একটি দল আন্দোলন করছে। তারা একজন নন্দিত প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে হটাতে আন্দোলন করছে।

এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে রিমোট কন্ট্রোলে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিবৃতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আজকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বলা হচ্ছে, জেলে থাকা আট হাজার নেতা-কর্মীকে (বিএনপি) মুক্তি দেওয়ার জন্য। তারা আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র, আমরা তাদের বক্তব্যে নিন্দা জানাতে পারি না, তবে তাদের তথ্যে ঘাটতি আছে। তারা খোঁজখবর নিয়ে বক্তব্য দেবে এবং বক্তব্য সংশোধন করবে। আমরা তাদের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়াতে চাই না। আমরা বাংলাদেশেও ঝগড়া চাই না।

তিনি বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত আমরা সতর্ক পাহারায় থাকবো। দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। আমরা চোরাগোপ্তা হামলায় আতঙ্কিত নই, আমরা ভয় পাই না। পুলিশকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই।

দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন পর্যন্ত আমরা সতর্ক পাহারায় থাকব। দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। আমরা চোরাগোপ্তা হামলায় আতঙ্কিত না, আমরা ভয় পাই না।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা সতর্ক থাকবেন। আগুন নিয়ে নেমেছে, অস্ত্র নিয়ে নেমেছে। তারা এখন চোরাগোপ্তা হামলা করে আন্দোলন করতে চায়, সরকার হটাতে চায়। এটা হলো তাদের এখনকার মোটিভ এবং এ লক্ষ্য নিয়েই তারা এগোচ্ছে।

তিনি বলেন, হারানোর কিছু নেই, আমরা ইলেকশনে জিতব ইনশাল্লাহ। কাজেই এ ধরনের চোরাগোপ্তা হামলা ভয় পেলে আমাদের চলবে না। আমরা মোটেই আতঙ্কিত না। আমরা জনগণকে বলব, এসব চোরাগোপ্তা হামলা দীর্ঘ দিন চালানো যায় না। এরা তো অনেক কিছুই করবে বলেছিল, এখন কোথায়?

সেতুমন্ত্রী বলেন, গাজায় যেই তাণ্ডব চলছে, তা নিয়ে একটা কথাও বলেছে না বিএনপি-জামায়াত। তাদেরতো রাজনৈতিক আদর্শই মনে করা হয় ধর্মীয়! কিন্তু গাজায় মুসলমানরা যখন নিপীড়িত হচ্ছে, তারা প্রতিবাদ করেননি। এ অন্যায়ের প্রতিবাদ একমাত্র শেখ হাসিনা করেছেন। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতা চায়, কিন্তু তারা মানবতা চায় না।

এ সময় পুলিশকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করেন সেতুমন্ত্রী। দায়িত্ব পালনকালে কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি না করার অনুরোধও করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন— আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

শেখ হাসিনা সিলেট থেকে নির্বাচনি প্রচার শুরু করবেন: কাদের

প্রকাশের সময় : ০২:৩৯:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বাদশ নির্বাচনি প্রচার সিলেট থেকে শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্বাচনি জনসভা সিলেট থেকে শুরু হবে। সেখানে আপনারা দলে দলে যোগ দেবেন।

আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, আমাদের নেত্রী সারাদিন, এমনকি রাতেরও বেশি সময় দেশ নিয়ে ভাবেন। কীভাবে মানুষ দুর্দশা কাটিয়ে উঠতে পারে সেটাই তার চিন্তা। মাঝে মাঝে বিদেশে যাচ্ছেন, যাতে কিছু সহযোগিতা পাওয়া যায়।

দেশে একটা সংকট চলছে জানিয়ে কাদের বলেন, আমরা একটা চ্যালেঞ্জিং সময় অতিক্রম করছি। সারা বিশ্বে যুদ্ধাবস্থা থাকায় জিনিসপত্র, জ্বালানির দাম বেড়েছে। আমরা অপরাধ না করেও যুদ্ধাবস্থা থাকায় কষ্ট পাচ্ছি। আমরা একটু বিপদে আছি, গ্রামের মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।

তিনি বলেন, বিএনপি একটা প্রতারক দল। প্রতারণারও একটা সীমা আছে। কোথাকার কোন মিয়া আরেফি তার সঙ্গে সারওয়ার্দী! উল্লাপাড়ার এক পাগলকে ধরে এনে বাইডেনের দোস্ত বানিয়েছে বিএনপি।

আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি আবার জ্বালাও-পোড়াও শুরু করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপি ব্যর্থ। ফখরুল দৌড়াতে দৌড়াতে মঞ্চ থেকে একবার নামে, একবার ওঠে। শেষ পর্যন্ত হ্যান্ডমাইক দিয়ে হরতাল ঘোষণা করতে হলো। ওই আন্দোলনে যে পরিমাণ সাংবাদিক আহত হয়েছেন, আমাদের দেশের ইতিহাসে কোনো আন্দোলনে এত সাংবাদিক আহত হননি। এটা কী আন্দোলনের মধ্যে পড়ে। তাদের হাতে মুক্তিযুদ্ধ নিরাপদ নয়, বাংলাদেশের মানুষ নিরাপদ নয়।

প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফর প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমান যে দুঃসময় যাচ্ছে সেটাতে সৌদি আরব আমাদের সাহায্য করবে। আর এ দুঃসময়ে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে একটি দল আন্দোলন করছে। তারা একজন নন্দিত প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে হটাতে আন্দোলন করছে।

এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে রিমোট কন্ট্রোলে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিবৃতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আজকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বলা হচ্ছে, জেলে থাকা আট হাজার নেতা-কর্মীকে (বিএনপি) মুক্তি দেওয়ার জন্য। তারা আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র, আমরা তাদের বক্তব্যে নিন্দা জানাতে পারি না, তবে তাদের তথ্যে ঘাটতি আছে। তারা খোঁজখবর নিয়ে বক্তব্য দেবে এবং বক্তব্য সংশোধন করবে। আমরা তাদের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়াতে চাই না। আমরা বাংলাদেশেও ঝগড়া চাই না।

তিনি বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত আমরা সতর্ক পাহারায় থাকবো। দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। আমরা চোরাগোপ্তা হামলায় আতঙ্কিত নই, আমরা ভয় পাই না। পুলিশকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই।

দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন পর্যন্ত আমরা সতর্ক পাহারায় থাকব। দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। আমরা চোরাগোপ্তা হামলায় আতঙ্কিত না, আমরা ভয় পাই না।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা সতর্ক থাকবেন। আগুন নিয়ে নেমেছে, অস্ত্র নিয়ে নেমেছে। তারা এখন চোরাগোপ্তা হামলা করে আন্দোলন করতে চায়, সরকার হটাতে চায়। এটা হলো তাদের এখনকার মোটিভ এবং এ লক্ষ্য নিয়েই তারা এগোচ্ছে।

তিনি বলেন, হারানোর কিছু নেই, আমরা ইলেকশনে জিতব ইনশাল্লাহ। কাজেই এ ধরনের চোরাগোপ্তা হামলা ভয় পেলে আমাদের চলবে না। আমরা মোটেই আতঙ্কিত না। আমরা জনগণকে বলব, এসব চোরাগোপ্তা হামলা দীর্ঘ দিন চালানো যায় না। এরা তো অনেক কিছুই করবে বলেছিল, এখন কোথায়?

সেতুমন্ত্রী বলেন, গাজায় যেই তাণ্ডব চলছে, তা নিয়ে একটা কথাও বলেছে না বিএনপি-জামায়াত। তাদেরতো রাজনৈতিক আদর্শই মনে করা হয় ধর্মীয়! কিন্তু গাজায় মুসলমানরা যখন নিপীড়িত হচ্ছে, তারা প্রতিবাদ করেননি। এ অন্যায়ের প্রতিবাদ একমাত্র শেখ হাসিনা করেছেন। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতা চায়, কিন্তু তারা মানবতা চায় না।

এ সময় পুলিশকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করেন সেতুমন্ত্রী। দায়িত্ব পালনকালে কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি না করার অনুরোধও করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন— আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত।