Dhaka বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে চলমান শিক্ষক আন্দোলনে উস্কানি রয়েছে। যারা জনগণকে সম্পৃক্ত করে কোনও আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না- তারা একেক সময় একেক দল, গোষ্ঠীর ওপর সওয়ার হচ্ছে। শিক্ষক আন্দোলনের ওপর সওয়ার হয়েও আন্দোলনকে একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা তাদের থাকতেই পারে।

সোমবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় আহছানুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয়করণের সঙ্গে বড় আর্থিক সংশ্লেষ রয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকদের অনেকেই আন্দোলন থেকে চলে গেছেন। কিন্তু যারা আছেন তারা আরো কিছুদিন বসে থেকে তারপর হয়তো যাবেন। শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে শিক্ষকদের এমন কর্মসূচি পালন একেবারে সঠিক নয়। আমি আশা করব, যেহেতু আলোচনা হয়েছে এবং আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি তারা যেন ক্লাসে ফিরে যান।

তিনি বলেন, অবশ্যই উস্কানি আছে। কারণ যারা একেবারে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য নানা রকম অপকর্ম অতীতে করেছে, জনগণকে সম্পৃক্ত করে কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না তারা এখন একেক দলের ওপর, একেক গোষ্ঠীর ওপর ভর করেছেন। আজকে শিক্ষকদের আন্দোলনের ওপরে ভর করে একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা তাদের থাকতেই পারে। শিক্ষকদের বলব, এ রকম কোনো ফাঁদে পা দেবেন না।

দীপু মনি বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচন এলেই কিছু মানুষ মনে করে এটা আন্দোলনের মৌসুম। কোনটি তাৎক্ষণিকভাবে করা সম্ভব, এটি কিন্তু আন্দোলনকারীদের বুঝতে হবে। আমাদের গণতন্ত্রের অনেকগুলো বছর পেরিয়ে গেল। তাই আমাদেরও বিষয়গুলো বুঝতে হবে। যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য নানা রকম অপকর্ম করেছে, যারা জনগণকে সম্পৃক্ত করে কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না- তারা একেক সময় একেক দল, গোষ্ঠীর ওপর সওয়ার হচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয়করণের বিষয়টিও শিক্ষকদের কাছে স্পষ্ট নয়। কারণ যারা সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে সরকারি স্কুল ও কলেজে নিয়োগ পান আবার যারা বেসরকারি এমপিওভুক্ত তাদের এক জায়গায় নিয়ে আসতে গেলে কি পদ্ধতিতে আনা যাবে, আদৌ আনা যাবে কিনা নানা প্রশ্ন রয়েছে। এটি হঠাৎ করে আন্দোলন করে আদায়ের বিষয় নয়।

দীপু মনি বলেন, জাতীয়করণের বিষয়টি নিয়ে আমরা শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। জাতীয়করণের দাবিতে যারা আন্দোলন করছেন তাদেরসহ সব শিক্ষক সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে আমরা বৈঠক করেছি। অনেক শিক্ষক বাড়ি ফিরে গেছেন। আবার অনেকে রয়ে গেছেন। তারা হয়তো আরও কিছুদিন থাকবেন। কিন্তু শিক্ষকদের জায়গা শ্রেণিকক্ষে। শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে শিক্ষকদের এ ধরনের কর্মসূচি পালন একেবারেই সঠিক নয়। যেহেতু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, আশা করব, তারা যেন শ্রেণিকক্ষে ফেরত যান।

তিনি আরও বলেন, জাতীয়করণ নিয়ে দুটি কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটি রিপোর্ট দেবে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। কেননা জাতীয়করণের সঙ্গে বড় ধরনের আর্থিক বিষয় সংশ্লিষ্ট রয়েছে। বিষয়টি অনেক জটিল।

দীপু মনি বলেন, আমাদের বিশাল জনসংখ্যা। তাকে জনসম্পদে পরিণত করতে হলে বিশ্বে কর্মজগতের যে চাহিদা তা বিবেচনায় নিতে হবে। শুধু দেশে নয়, বিদেশেরও। কারণ আমরা কখনই দেশের পুরো জনসংখ্যার জন্য দেশের ভেতরে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবো না। তাহলে আমাদের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটকেও বিবেচনায় নিতে হবে।

বিশ্ব কর্মজগতের চাহিদাকে মাথায় রেখে প্রত্যেকটি জায়গায় কী ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে সেই ম্যাপিং করে তার ভিত্তিতে এগোনোর পরামর্শ দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আমাদের কাজের জগতটাই পাল্টে দেবে। আজ প্রাথমিকে যে পড়ছে তার কর্মজগতে প্রবেশের সময় বর্তমান কাজের বেশিরভাগই থাকবে না। শিক্ষার্থীদের সেইভাবে তৈরি করতে হবে যাতে তারা অভিযোজনে দক্ষ হয়। যে কোনও পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিয়ে ক্রমাগত পরিবর্তনের গতির সঙ্গে তাল মেলাতে হবে। এখনই প্রায় সে অবস্থা এসে গেছে। আমাদের সেই দক্ষতা শিখতে হবে।

তিনি বলেন, এখন যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছেন তাদের জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বলছি—পরিবর্তন যখন করতে হবে, নতুন দক্ষতা অর্জন করতে হবে, কাজেই অনেক রকম ও ভিন্নভিন্ন মেয়াদে শর্ট কোর্স, ডিপ্লোমা কোর্স চালু করতে হবে। যার সম্ভব সে বিশ্ববিদ্যালয়ে করবে, যার সম্ভব কাজের জায়গা থেকে করবে। সঙ্গে সঙ্গে এখন যে শিক্ষাব্যবস্থা তার পুনর্বিন্যাস করতে হবে। মডিউলার এডুকেশনে যেতে হবে। তার পাশাপাশি শর্ট কোর্সের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির প্রবণতা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কেউ বলতে পারেন আপনি একদিকে বলছেন সবাই অনার্স-মাস্টার্স করবে কিনা, আরেকদিকে বলছেন- জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়। এটি সাংঘর্ষিক নয়। আমাদের এখন যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আছে, সেগুলোর শিক্ষার্থীদের দিকে তাকালে বোঝা যাবে, আমাদের যে ধারণক্ষমতা তারচেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। সে কারণে অনেক সমস্যা এবং সেই সমস্যাগুলো যাতে না থাকে সেজন্যই জেলায় জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ। যার যার জেলায় গবেষণা করতে পারেন। উচ্চশিক্ষা যারা নেবেন তারা গবেষণা করতে পারবেন। এমন নয় যে তার নিজের জেলাতেই পড়তে হবে, যেখানে তার পছন্দ সেখানে পড়বেন। কিন্তু কোথাও যেন ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা না হয়। এই একটি প্রবণতা আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সবাইকে ভেবে দেখে তা রোধ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন অধ্যাপক ড. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞজুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফাজলী ইলাহী, আহসানিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১১:১৭:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে চলমান শিক্ষক আন্দোলনে উস্কানি রয়েছে। যারা জনগণকে সম্পৃক্ত করে কোনও আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না- তারা একেক সময় একেক দল, গোষ্ঠীর ওপর সওয়ার হচ্ছে। শিক্ষক আন্দোলনের ওপর সওয়ার হয়েও আন্দোলনকে একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা তাদের থাকতেই পারে।

সোমবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় আহছানুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয়করণের সঙ্গে বড় আর্থিক সংশ্লেষ রয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকদের অনেকেই আন্দোলন থেকে চলে গেছেন। কিন্তু যারা আছেন তারা আরো কিছুদিন বসে থেকে তারপর হয়তো যাবেন। শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে শিক্ষকদের এমন কর্মসূচি পালন একেবারে সঠিক নয়। আমি আশা করব, যেহেতু আলোচনা হয়েছে এবং আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি তারা যেন ক্লাসে ফিরে যান।

তিনি বলেন, অবশ্যই উস্কানি আছে। কারণ যারা একেবারে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য নানা রকম অপকর্ম অতীতে করেছে, জনগণকে সম্পৃক্ত করে কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না তারা এখন একেক দলের ওপর, একেক গোষ্ঠীর ওপর ভর করেছেন। আজকে শিক্ষকদের আন্দোলনের ওপরে ভর করে একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা তাদের থাকতেই পারে। শিক্ষকদের বলব, এ রকম কোনো ফাঁদে পা দেবেন না।

দীপু মনি বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচন এলেই কিছু মানুষ মনে করে এটা আন্দোলনের মৌসুম। কোনটি তাৎক্ষণিকভাবে করা সম্ভব, এটি কিন্তু আন্দোলনকারীদের বুঝতে হবে। আমাদের গণতন্ত্রের অনেকগুলো বছর পেরিয়ে গেল। তাই আমাদেরও বিষয়গুলো বুঝতে হবে। যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য নানা রকম অপকর্ম করেছে, যারা জনগণকে সম্পৃক্ত করে কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না- তারা একেক সময় একেক দল, গোষ্ঠীর ওপর সওয়ার হচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয়করণের বিষয়টিও শিক্ষকদের কাছে স্পষ্ট নয়। কারণ যারা সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে সরকারি স্কুল ও কলেজে নিয়োগ পান আবার যারা বেসরকারি এমপিওভুক্ত তাদের এক জায়গায় নিয়ে আসতে গেলে কি পদ্ধতিতে আনা যাবে, আদৌ আনা যাবে কিনা নানা প্রশ্ন রয়েছে। এটি হঠাৎ করে আন্দোলন করে আদায়ের বিষয় নয়।

দীপু মনি বলেন, জাতীয়করণের বিষয়টি নিয়ে আমরা শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। জাতীয়করণের দাবিতে যারা আন্দোলন করছেন তাদেরসহ সব শিক্ষক সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে আমরা বৈঠক করেছি। অনেক শিক্ষক বাড়ি ফিরে গেছেন। আবার অনেকে রয়ে গেছেন। তারা হয়তো আরও কিছুদিন থাকবেন। কিন্তু শিক্ষকদের জায়গা শ্রেণিকক্ষে। শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে শিক্ষকদের এ ধরনের কর্মসূচি পালন একেবারেই সঠিক নয়। যেহেতু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, আশা করব, তারা যেন শ্রেণিকক্ষে ফেরত যান।

তিনি আরও বলেন, জাতীয়করণ নিয়ে দুটি কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটি রিপোর্ট দেবে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। কেননা জাতীয়করণের সঙ্গে বড় ধরনের আর্থিক বিষয় সংশ্লিষ্ট রয়েছে। বিষয়টি অনেক জটিল।

দীপু মনি বলেন, আমাদের বিশাল জনসংখ্যা। তাকে জনসম্পদে পরিণত করতে হলে বিশ্বে কর্মজগতের যে চাহিদা তা বিবেচনায় নিতে হবে। শুধু দেশে নয়, বিদেশেরও। কারণ আমরা কখনই দেশের পুরো জনসংখ্যার জন্য দেশের ভেতরে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবো না। তাহলে আমাদের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটকেও বিবেচনায় নিতে হবে।

বিশ্ব কর্মজগতের চাহিদাকে মাথায় রেখে প্রত্যেকটি জায়গায় কী ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে সেই ম্যাপিং করে তার ভিত্তিতে এগোনোর পরামর্শ দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আমাদের কাজের জগতটাই পাল্টে দেবে। আজ প্রাথমিকে যে পড়ছে তার কর্মজগতে প্রবেশের সময় বর্তমান কাজের বেশিরভাগই থাকবে না। শিক্ষার্থীদের সেইভাবে তৈরি করতে হবে যাতে তারা অভিযোজনে দক্ষ হয়। যে কোনও পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিয়ে ক্রমাগত পরিবর্তনের গতির সঙ্গে তাল মেলাতে হবে। এখনই প্রায় সে অবস্থা এসে গেছে। আমাদের সেই দক্ষতা শিখতে হবে।

তিনি বলেন, এখন যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছেন তাদের জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বলছি—পরিবর্তন যখন করতে হবে, নতুন দক্ষতা অর্জন করতে হবে, কাজেই অনেক রকম ও ভিন্নভিন্ন মেয়াদে শর্ট কোর্স, ডিপ্লোমা কোর্স চালু করতে হবে। যার সম্ভব সে বিশ্ববিদ্যালয়ে করবে, যার সম্ভব কাজের জায়গা থেকে করবে। সঙ্গে সঙ্গে এখন যে শিক্ষাব্যবস্থা তার পুনর্বিন্যাস করতে হবে। মডিউলার এডুকেশনে যেতে হবে। তার পাশাপাশি শর্ট কোর্সের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির প্রবণতা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কেউ বলতে পারেন আপনি একদিকে বলছেন সবাই অনার্স-মাস্টার্স করবে কিনা, আরেকদিকে বলছেন- জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়। এটি সাংঘর্ষিক নয়। আমাদের এখন যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আছে, সেগুলোর শিক্ষার্থীদের দিকে তাকালে বোঝা যাবে, আমাদের যে ধারণক্ষমতা তারচেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। সে কারণে অনেক সমস্যা এবং সেই সমস্যাগুলো যাতে না থাকে সেজন্যই জেলায় জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ। যার যার জেলায় গবেষণা করতে পারেন। উচ্চশিক্ষা যারা নেবেন তারা গবেষণা করতে পারবেন। এমন নয় যে তার নিজের জেলাতেই পড়তে হবে, যেখানে তার পছন্দ সেখানে পড়বেন। কিন্তু কোথাও যেন ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা না হয়। এই একটি প্রবণতা আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সবাইকে ভেবে দেখে তা রোধ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন অধ্যাপক ড. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞজুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফাজলী ইলাহী, আহসানিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম।