Dhaka সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গুণগত পরিবর্তনের কারিগর : তথ্য উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের গুণগত পরিবর্তনের কারিগর বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

রবিবার (১৭ আগস্ট) বাংলাদেশ টেলিভিশনের শিশু-কিশোরদের প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ‘নতুন কুঁড়ি’ ২০২৫ সালের জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠানটি শহীদ জিয়াউর রহমানের সময়ে শুরু হয়েছিল। যা রাজনৈতিক বিবেচনায় পরবর্তী সময় আওয়ামী লীগ সরকার বন্ধ করে দেয়। তিনি বলেন, যিনি সম্মানের যোগ্য, তাকে সেই সম্মান দিতে হবে। শহীদ জিয়াউর রহমান অবশ্যই বাংলাদেশের গুণগত পরিবর্তনের কারিগর।

তিনি বলেন, আমরা রাজনীতিক বিবেচনার বাইরে গিয়ে দেশের শিশু-কিশোরদের সাংস্কৃতির চর্চা বাড়ানোর জন্য এটি আবার শুরু করছি।

তিনি বলেন, প্রায় দুই দশক পর আবারও বাংলাদেশ টেলিভিশনে শুরু হতে যাচ্ছে শিশু-কিশোরদের প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ‘নতুন কুঁড়ি’। আমরা যারা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছি এবং যারা এ গণ-অভ্যুত্থানে কাজ করেছি, তাদের সবারই আকাঙ্ক্ষা ছিল একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা। নতুন প্রজন্মের জন্য নতুন করে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করা, নতুনভাবে তার সূচনা করা—এই ছিল আমাদের অঙ্গীকার।”

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, অনুষ্ঠানের কাঠামোয় তেমন পরিবর্তন আনা হয়নি। আগের মতোই গান, নৃত্য, বক্তৃতা, উপস্থাপনা, গল্প বলাসহ বিভিন্ন বিভাগে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। পুরনো থিম সং-কে ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে এবং প্রতিবছর নতুন থিম সং প্রকাশ করা হবে।

তিনি বলেন, মেধাভিত্তিক ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় তৃণমূল থেকে প্রতিভা বাছাই করা হবে। কাউকে বিশেষভাবে ওপরে ওঠানো বা সরানোর কোনো উদ্দেশ্য সরকারের নেই। যে প্রতিভাবান এবং জাতিকে প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্য তাকেই সামনে আনা হবে। বিচার প্রক্রিয়ায় বিভাজন কমাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ যদি নিরপেক্ষতার বাইরে গিয়ে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত ১৫ থেকে ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সাংস্কৃতিক অঙ্গন একপেশে হয়ে পড়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সাংস্কৃতিক কর্মী, শিল্পী, গায়ক-অভিনেতাদের সঙ্গে এক ধরনের ক্লায়েন্ট-প্যাট্রন সম্পর্ক গড়ে তোলা হয়েছিল। বর্তমান সরকার সে প্রথা ভেঙে দিয়ে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নতুন প্রজন্মকে সামনে আনার উদ্যোগ নিয়েছে।’

অনুষ্ঠানে চলমান ফিল্ম সিটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে মাহফুজ আলম বলেন, ‘১০৪ একর জমিতে পূর্ণাঙ্গ একটি ফিল্ম সিটি গড়ে তোলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’

আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত আয়োজন সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। অক্টোবরের শেষ বা নভেম্বর নাগাদ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। নতুন প্রজন্মের প্রতিভাবানরা এখান থেকে উঠে এসে জাতীয় সংস্কৃতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক মো. মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা। এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ত্রিশাল জিরো পয়েন্ট-হরিরামপুর সড়কটি যেন মরণফাঁদ

শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গুণগত পরিবর্তনের কারিগর : তথ্য উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০৯:১৭:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের গুণগত পরিবর্তনের কারিগর বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

রবিবার (১৭ আগস্ট) বাংলাদেশ টেলিভিশনের শিশু-কিশোরদের প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ‘নতুন কুঁড়ি’ ২০২৫ সালের জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠানটি শহীদ জিয়াউর রহমানের সময়ে শুরু হয়েছিল। যা রাজনৈতিক বিবেচনায় পরবর্তী সময় আওয়ামী লীগ সরকার বন্ধ করে দেয়। তিনি বলেন, যিনি সম্মানের যোগ্য, তাকে সেই সম্মান দিতে হবে। শহীদ জিয়াউর রহমান অবশ্যই বাংলাদেশের গুণগত পরিবর্তনের কারিগর।

তিনি বলেন, আমরা রাজনীতিক বিবেচনার বাইরে গিয়ে দেশের শিশু-কিশোরদের সাংস্কৃতির চর্চা বাড়ানোর জন্য এটি আবার শুরু করছি।

তিনি বলেন, প্রায় দুই দশক পর আবারও বাংলাদেশ টেলিভিশনে শুরু হতে যাচ্ছে শিশু-কিশোরদের প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ‘নতুন কুঁড়ি’। আমরা যারা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছি এবং যারা এ গণ-অভ্যুত্থানে কাজ করেছি, তাদের সবারই আকাঙ্ক্ষা ছিল একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা। নতুন প্রজন্মের জন্য নতুন করে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করা, নতুনভাবে তার সূচনা করা—এই ছিল আমাদের অঙ্গীকার।”

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, অনুষ্ঠানের কাঠামোয় তেমন পরিবর্তন আনা হয়নি। আগের মতোই গান, নৃত্য, বক্তৃতা, উপস্থাপনা, গল্প বলাসহ বিভিন্ন বিভাগে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। পুরনো থিম সং-কে ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে এবং প্রতিবছর নতুন থিম সং প্রকাশ করা হবে।

তিনি বলেন, মেধাভিত্তিক ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় তৃণমূল থেকে প্রতিভা বাছাই করা হবে। কাউকে বিশেষভাবে ওপরে ওঠানো বা সরানোর কোনো উদ্দেশ্য সরকারের নেই। যে প্রতিভাবান এবং জাতিকে প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্য তাকেই সামনে আনা হবে। বিচার প্রক্রিয়ায় বিভাজন কমাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ যদি নিরপেক্ষতার বাইরে গিয়ে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত ১৫ থেকে ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সাংস্কৃতিক অঙ্গন একপেশে হয়ে পড়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সাংস্কৃতিক কর্মী, শিল্পী, গায়ক-অভিনেতাদের সঙ্গে এক ধরনের ক্লায়েন্ট-প্যাট্রন সম্পর্ক গড়ে তোলা হয়েছিল। বর্তমান সরকার সে প্রথা ভেঙে দিয়ে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নতুন প্রজন্মকে সামনে আনার উদ্যোগ নিয়েছে।’

অনুষ্ঠানে চলমান ফিল্ম সিটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে মাহফুজ আলম বলেন, ‘১০৪ একর জমিতে পূর্ণাঙ্গ একটি ফিল্ম সিটি গড়ে তোলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’

আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত আয়োজন সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। অক্টোবরের শেষ বা নভেম্বর নাগাদ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। নতুন প্রজন্মের প্রতিভাবানরা এখান থেকে উঠে এসে জাতীয় সংস্কৃতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক মো. মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা। এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।