Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটকারী গুনলেন লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজের আদেশ বহাল ও রিটকারীকে এক লাখ টাকা জরিমানার রায় প্রকাশ করেছেন আপিল বিভাগ। রিটকারী আইনজীবী এম এ আজিজ খানকে দুই সপ্তাহের মধ্যে জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২৩ আগস্ট) প্রধান বিচারপতিসহ আট বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ রায় প্রকাশ করেন।

এর আগে গত ১৮ মে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে রিটকারী আইনজীবী এম এ আজিজ খানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অযৌক্তিক রিট করে আদালতের সময় নষ্ট করায় আইনজীবী এম এ আজিজ খানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আট বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য সাতজন হলেন, বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম এ আজিজ খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন প্রজ্ঞাপন জারি করে। এ প্রজ্ঞাপনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে গত ৭ মার্চ একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান। রিটে নতুন করে নির্বাচনের জন্য রাষ্ট্রপতি পদ খালি রাখা নিশ্চিতের আর্জি জানানো হয়।

রিট আবেদনে আজিজ খান বলেন, ২০০৪-এর ধারা ৯ অনুযায়ী মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে নিয়োগ করা যাবে না। কারণ, তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন অবসরপ্রাপ্ত কমিশনার এবং রাষ্ট্রপতির পদটি লাভজনক।

মো. সাহাবুদ্দিন ২০০৪ সালের দুদক আইনের ৯ ধারায় অনুসারে কর্মাবসানের পর কোনো কমিশনার প্রজাতন্ত্রের কার্যে কোনো লাভজনক পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না। তবে যাচাই-বাছাই শেষে ইসি রাষ্ট্রপতি পদে তার মনোনয়ন বৈধ বলে গণ্য করে। ইসি বলেছে, ‘নির্বাচিত’, ‘নিয়োগ’ নয়, যা আইনের ভুল ব্যাখ্যা। ‘নিয়োগ’ ও ‘নির্বাচিত’ সমার্থক শব্দ- এ যুক্তিতে রিটটি করা হয়েছিল।

মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৭ মার্চ হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে জারি করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছিল।

একইসঙ্গে রিটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ১৯৯১ এর ৭ ধারা অনুসারে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে যোগ্য মনোনীত করা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।

১৫ মার্চ বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন। এরপর ২১ মার্চ রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।

 

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটকারী গুনলেন লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশের সময় : ০১:২৭:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজের আদেশ বহাল ও রিটকারীকে এক লাখ টাকা জরিমানার রায় প্রকাশ করেছেন আপিল বিভাগ। রিটকারী আইনজীবী এম এ আজিজ খানকে দুই সপ্তাহের মধ্যে জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২৩ আগস্ট) প্রধান বিচারপতিসহ আট বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ রায় প্রকাশ করেন।

এর আগে গত ১৮ মে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে রিটকারী আইনজীবী এম এ আজিজ খানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অযৌক্তিক রিট করে আদালতের সময় নষ্ট করায় আইনজীবী এম এ আজিজ খানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আট বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য সাতজন হলেন, বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম এ আজিজ খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন প্রজ্ঞাপন জারি করে। এ প্রজ্ঞাপনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে গত ৭ মার্চ একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান। রিটে নতুন করে নির্বাচনের জন্য রাষ্ট্রপতি পদ খালি রাখা নিশ্চিতের আর্জি জানানো হয়।

রিট আবেদনে আজিজ খান বলেন, ২০০৪-এর ধারা ৯ অনুযায়ী মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে নিয়োগ করা যাবে না। কারণ, তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন অবসরপ্রাপ্ত কমিশনার এবং রাষ্ট্রপতির পদটি লাভজনক।

মো. সাহাবুদ্দিন ২০০৪ সালের দুদক আইনের ৯ ধারায় অনুসারে কর্মাবসানের পর কোনো কমিশনার প্রজাতন্ত্রের কার্যে কোনো লাভজনক পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না। তবে যাচাই-বাছাই শেষে ইসি রাষ্ট্রপতি পদে তার মনোনয়ন বৈধ বলে গণ্য করে। ইসি বলেছে, ‘নির্বাচিত’, ‘নিয়োগ’ নয়, যা আইনের ভুল ব্যাখ্যা। ‘নিয়োগ’ ও ‘নির্বাচিত’ সমার্থক শব্দ- এ যুক্তিতে রিটটি করা হয়েছিল।

মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৭ মার্চ হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে জারি করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছিল।

একইসঙ্গে রিটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ১৯৯১ এর ৭ ধারা অনুসারে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে যোগ্য মনোনীত করা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।

১৫ মার্চ বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন। এরপর ২১ মার্চ রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।