Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এবারের নির্বাচনেও প্রার্থী হিসেবে আছেন ভ্লাদিমির পুতিন। ১৫ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত ভোট গ্রহন চলবে।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় কামচাটকা, চুকোটকা এবং অন্যান্য অঞ্চলসহ সুদূর পূর্ব অঞ্চলে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য রাশিয়ান ভোটাররা ভোট দিতে শুরু করে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শাসনকালকে এই নির্বাচন আরো ছয় বছর দীর্ঘায়িত করতে যাচ্ছে।

তিন দিন ধরে চলবে এই ভোটগ্রহণ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবারের নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছেন এবং নির্বাচনে সব ভোটারকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি এবং রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি।

আরটি তার প্রতিবেদনে বলেছে, রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের ভোট কেন্দ্রগুলোতে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি হয়েছেন। স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় পর্যায়ক্রমে সারাদেশে ভোট কেন্দ্র খোলা হবে। আগামী রোববার পর্যন্ত তিন দিন ধরে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এবারের নির্বাচনে পুতিনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বেশ কয়েজন প্রার্থী। তারা হলেন- ডানপন্থি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপিআর) প্রধান লিওনিড স্লুটস্কি, কমিউনিস্ট প্রার্থী নিকোলে খারিতোনভ এবং উদার মধ্যপন্থি নিউ পিপলের প্রতিনিধিত্বকারী ভ্লাদিস্লাভ দাভানকভ।

তবে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অভিযানের বিরোধিতা করার কারণে দুই রুশ প্রার্থীকে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারা হলেন- বরিস নাদেজদিন এবং ইয়েকাতেরিনা দান্তসোভা।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে জয়ী হলে পঞ্চমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হবেন তিনি এবং সেক্ষেত্রে তার ক্ষমতার মেয়াদ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়বে। সেই সঙ্গে রাশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে প্রেসিডেন্ট পদে থাকার রেকর্ডটিও তার হয়ে যাবে। বর্তমানে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে থাকার রেকর্ডের মালিক জোসেফ স্তালিন এবং লিওনিদ ব্রেজনেভ। সাবেক সোভিয়েত আমলে দু’জনেই ২৪ বছর করে ক্ষমতায় ছিলেন।

এদিকে ইউক্রেন এই নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছে এবং সীমান্ত অঞ্চলে মারাত্মক আক্রমণ চালিয়েছে।

ভোটের কারণ

বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, এই ভোট থেকে দেশের ভেতরে এবং দেশের বাইরে দুটি বিষয় প্রমাণ করতে চাইছেন পুতিন। দেশের ভেতর তিনি দেখাতে চাইছেন রাশিয়ার অধিকাংশ মানুষ তার সঙ্গে আছেন। অর্থাৎ, প্রেসিডেন্টকে নিয়ে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ।

দেশের বাইরে পুতিন এই ভোটের মাধ্যমে বোঝাতে চাইছেন, তার নেওয়া সমস্ত সিদ্ধান্ত দেশের মানুষ সমর্থন করছেন। অর্থাৎ, ইউক্রেন অভিযান নিয়ে দেশের ভেতর কোনো বিরোধিতা নেই। বহির্বিশ্বে এই বার্তাটি দেওয়া অত্যন্ত জরুরি ছিল বলেই মনে করেন পুতিন বিশেষজ্ঞেরা।

ভোটের সময় কি বিক্ষোভ হবে?

আপাতভাবে ভোটে বিশেষ বিক্ষোভের আশঙ্কা দেখছে না ক্রেমলিন। কারণ অধিকাংশ পুতিন-বিরোধী নেতা এখন দেশছাড়া। তবে দেশের বাইরে থেকেই তারা সমর্থকদের পুতিনের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার আবেদন করেছেন। নাভালনির স্ত্রী রাস্তায় নেমে পুতিনের বিরোধিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত কতটা বিরোধ হবে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বিতর্ক আছে। -ডয়চে ভেলে

 

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু

প্রকাশের সময় : ১২:৪৯:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এবারের নির্বাচনেও প্রার্থী হিসেবে আছেন ভ্লাদিমির পুতিন। ১৫ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত ভোট গ্রহন চলবে।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় কামচাটকা, চুকোটকা এবং অন্যান্য অঞ্চলসহ সুদূর পূর্ব অঞ্চলে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য রাশিয়ান ভোটাররা ভোট দিতে শুরু করে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শাসনকালকে এই নির্বাচন আরো ছয় বছর দীর্ঘায়িত করতে যাচ্ছে।

তিন দিন ধরে চলবে এই ভোটগ্রহণ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবারের নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছেন এবং নির্বাচনে সব ভোটারকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি এবং রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি।

আরটি তার প্রতিবেদনে বলেছে, রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের ভোট কেন্দ্রগুলোতে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি হয়েছেন। স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় পর্যায়ক্রমে সারাদেশে ভোট কেন্দ্র খোলা হবে। আগামী রোববার পর্যন্ত তিন দিন ধরে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এবারের নির্বাচনে পুতিনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বেশ কয়েজন প্রার্থী। তারা হলেন- ডানপন্থি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপিআর) প্রধান লিওনিড স্লুটস্কি, কমিউনিস্ট প্রার্থী নিকোলে খারিতোনভ এবং উদার মধ্যপন্থি নিউ পিপলের প্রতিনিধিত্বকারী ভ্লাদিস্লাভ দাভানকভ।

তবে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অভিযানের বিরোধিতা করার কারণে দুই রুশ প্রার্থীকে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারা হলেন- বরিস নাদেজদিন এবং ইয়েকাতেরিনা দান্তসোভা।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে জয়ী হলে পঞ্চমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হবেন তিনি এবং সেক্ষেত্রে তার ক্ষমতার মেয়াদ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়বে। সেই সঙ্গে রাশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে প্রেসিডেন্ট পদে থাকার রেকর্ডটিও তার হয়ে যাবে। বর্তমানে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে থাকার রেকর্ডের মালিক জোসেফ স্তালিন এবং লিওনিদ ব্রেজনেভ। সাবেক সোভিয়েত আমলে দু’জনেই ২৪ বছর করে ক্ষমতায় ছিলেন।

এদিকে ইউক্রেন এই নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছে এবং সীমান্ত অঞ্চলে মারাত্মক আক্রমণ চালিয়েছে।

ভোটের কারণ

বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, এই ভোট থেকে দেশের ভেতরে এবং দেশের বাইরে দুটি বিষয় প্রমাণ করতে চাইছেন পুতিন। দেশের ভেতর তিনি দেখাতে চাইছেন রাশিয়ার অধিকাংশ মানুষ তার সঙ্গে আছেন। অর্থাৎ, প্রেসিডেন্টকে নিয়ে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ।

দেশের বাইরে পুতিন এই ভোটের মাধ্যমে বোঝাতে চাইছেন, তার নেওয়া সমস্ত সিদ্ধান্ত দেশের মানুষ সমর্থন করছেন। অর্থাৎ, ইউক্রেন অভিযান নিয়ে দেশের ভেতর কোনো বিরোধিতা নেই। বহির্বিশ্বে এই বার্তাটি দেওয়া অত্যন্ত জরুরি ছিল বলেই মনে করেন পুতিন বিশেষজ্ঞেরা।

ভোটের সময় কি বিক্ষোভ হবে?

আপাতভাবে ভোটে বিশেষ বিক্ষোভের আশঙ্কা দেখছে না ক্রেমলিন। কারণ অধিকাংশ পুতিন-বিরোধী নেতা এখন দেশছাড়া। তবে দেশের বাইরে থেকেই তারা সমর্থকদের পুতিনের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার আবেদন করেছেন। নাভালনির স্ত্রী রাস্তায় নেমে পুতিনের বিরোধিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত কতটা বিরোধ হবে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বিতর্ক আছে। -ডয়চে ভেলে