Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে একটি বিতর্কিত বিলে অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন সিনেট। এর আওতায় আগামী ছয় মাসের মধ্যে টিকটকের চীনা মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের শেয়ার বিক্রি করে দিতে হবে। অন্যথায় যুক্তরাষ্ট্রে এই অ্যাপটি ব্লক করে দেওয়া হবে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিলটি পাস হয়। আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিলটি স্বাক্ষরের জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে যাবে এবং তার স্বাক্ষরের পর এটি আইনে পরিণত হবে।

বিলের শর্ত অনুযায়ী, টিকটকের চীনা মালিক প্রতিষ্ঠান, বাইটড্যান্সকে যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের শেয়ার আগামী ছয় মাসের মধ্যে বিক্রি করে দিতে হবে। অন্যথায় যুক্তরাষ্ট্রে এই অ্যাপটি ব্লক করে দেওয়া হবে। আর এমনটি হলে বাধ্যতামূলকভাবে টিকটক বিক্রির বিষয়ে চীনা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন চাইতে হবে বাইটড্যান্সের। তবে বেইজিং ইতোমধ্যেই শক্তভাবে এর বিরোধিতা করেছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে চারটি বিলের একটি প্যাকেজের সঙ্গে এই বিলটি পাস হয়। এর সাথে আরও ছিলো ইউক্রেন, ইসরায়েল, তাইওয়ান এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারদের জন্য সামরিক সহায়তা সংক্রান্ত বিষয়।

সিনেটে এই বিলটি বড় ধরনের সমর্থন পেয়েছে। সেখানে ৭৯ জন সিনেটর এর পক্ষে আর ১৮ জন এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। ভিডিও শেয়ারের এই অ্যাপটির বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ব্যবহারকারী আছে। তবে এখন এর সঙ্গে চীনা সরকারের যোগসূত্র এবং এর ব্যবহারকারীদের তথ্য উপাত্তের নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমশ প্রশ্ন উঠছে।

এখন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ও সিনেট উভয় ফোরামেই টিকটকের বিষয়ে বিল পাস হলো। প্রেসিডেন্ট বাইডেন আগেই এটি স্বাক্ষর দিয়ে আইনে পরিণত করার কথা বলেছেন।

বিবিসির প্রযুক্তি বিষয়ক রিপোর্টার লিভ ম্যাকমােহন লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বড় দুটি দলের আইনপ্রণেতারা আইনে পরিণত করার জন্য যে বিলটি পাস করেছেন তাতে একটি নন-চীনা কোম্পানির কাছে অ্যাপটি বিক্রি না হলে যুক্তরাষ্ট্রে এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হবে।

তাদের ভয় যে চীনা সরকার যুক্তরাষ্ট্রের এক কোটি ৭০ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য উপাত্ত তাদের কাছে হস্তান্তরের জন্য টিকটককে বাধ্য করতে পারে। টিকটক অবশ্য বলেছে যে বিদেশি ব্যবহারকারীদের তথ্য তারা চীনা সরকারকে দেবে না।

গত ২১ এপ্রিল কংগ্রেস ৯৫ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক সহায়তা বিল পাস করেছিল যাতে টিকটকের বাধ্যতামূলক বিক্রির বিষয়টিও আছে। তবে টিকটকের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এমন উদ্যোগ এবারই নতুন নয়।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ২০২০ সালে হোয়াইট হাউজে থাকার সময় এই অ্যাপটি বন্ধ করতে চেয়েছিলেন। ট্রাম্প ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী। তিনি অবশ্য নতুন আইনের সমালোচনা করে বলেছেন, টিকটক সীমিত করা হলে সেটি ফেসবুককে লাভবান করবে।

উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ব্যবহারকারী আছে টিকটকের। তবে এখন এর সঙ্গে চীনা সরকারের যোগসূত্র এবং এর ব্যবহারকারীদের তথ্য উপাত্তের নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমশ প্রশ্ন উঠছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চাঁদাবাজি নয়, ভাঙারি দোকান দখল দ্বন্দ্বেই মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: ডিএমপি

যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ!

প্রকাশের সময় : ০২:৪৬:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে একটি বিতর্কিত বিলে অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন সিনেট। এর আওতায় আগামী ছয় মাসের মধ্যে টিকটকের চীনা মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের শেয়ার বিক্রি করে দিতে হবে। অন্যথায় যুক্তরাষ্ট্রে এই অ্যাপটি ব্লক করে দেওয়া হবে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিলটি পাস হয়। আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিলটি স্বাক্ষরের জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে যাবে এবং তার স্বাক্ষরের পর এটি আইনে পরিণত হবে।

বিলের শর্ত অনুযায়ী, টিকটকের চীনা মালিক প্রতিষ্ঠান, বাইটড্যান্সকে যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের শেয়ার আগামী ছয় মাসের মধ্যে বিক্রি করে দিতে হবে। অন্যথায় যুক্তরাষ্ট্রে এই অ্যাপটি ব্লক করে দেওয়া হবে। আর এমনটি হলে বাধ্যতামূলকভাবে টিকটক বিক্রির বিষয়ে চীনা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন চাইতে হবে বাইটড্যান্সের। তবে বেইজিং ইতোমধ্যেই শক্তভাবে এর বিরোধিতা করেছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে চারটি বিলের একটি প্যাকেজের সঙ্গে এই বিলটি পাস হয়। এর সাথে আরও ছিলো ইউক্রেন, ইসরায়েল, তাইওয়ান এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারদের জন্য সামরিক সহায়তা সংক্রান্ত বিষয়।

সিনেটে এই বিলটি বড় ধরনের সমর্থন পেয়েছে। সেখানে ৭৯ জন সিনেটর এর পক্ষে আর ১৮ জন এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। ভিডিও শেয়ারের এই অ্যাপটির বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ব্যবহারকারী আছে। তবে এখন এর সঙ্গে চীনা সরকারের যোগসূত্র এবং এর ব্যবহারকারীদের তথ্য উপাত্তের নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমশ প্রশ্ন উঠছে।

এখন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ও সিনেট উভয় ফোরামেই টিকটকের বিষয়ে বিল পাস হলো। প্রেসিডেন্ট বাইডেন আগেই এটি স্বাক্ষর দিয়ে আইনে পরিণত করার কথা বলেছেন।

বিবিসির প্রযুক্তি বিষয়ক রিপোর্টার লিভ ম্যাকমােহন লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বড় দুটি দলের আইনপ্রণেতারা আইনে পরিণত করার জন্য যে বিলটি পাস করেছেন তাতে একটি নন-চীনা কোম্পানির কাছে অ্যাপটি বিক্রি না হলে যুক্তরাষ্ট্রে এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হবে।

তাদের ভয় যে চীনা সরকার যুক্তরাষ্ট্রের এক কোটি ৭০ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য উপাত্ত তাদের কাছে হস্তান্তরের জন্য টিকটককে বাধ্য করতে পারে। টিকটক অবশ্য বলেছে যে বিদেশি ব্যবহারকারীদের তথ্য তারা চীনা সরকারকে দেবে না।

গত ২১ এপ্রিল কংগ্রেস ৯৫ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক সহায়তা বিল পাস করেছিল যাতে টিকটকের বাধ্যতামূলক বিক্রির বিষয়টিও আছে। তবে টিকটকের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এমন উদ্যোগ এবারই নতুন নয়।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ২০২০ সালে হোয়াইট হাউজে থাকার সময় এই অ্যাপটি বন্ধ করতে চেয়েছিলেন। ট্রাম্প ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী। তিনি অবশ্য নতুন আইনের সমালোচনা করে বলেছেন, টিকটক সীমিত করা হলে সেটি ফেসবুককে লাভবান করবে।

উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ব্যবহারকারী আছে টিকটকের। তবে এখন এর সঙ্গে চীনা সরকারের যোগসূত্র এবং এর ব্যবহারকারীদের তথ্য উপাত্তের নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমশ প্রশ্ন উঠছে।