Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিতে আমরা বিচলিত নই : বিদায়ী প্রধান বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিতে আমরা বিচলিত নই জানিয়ে বিদায়ী প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, আমাদের দেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতার সময় যারা বিরোধিতা করেছিল, তারাই এখন বিরোধিতা করছে। তাই ভিসানীতিতে আমরা বিচলিত নই। আমি ব্যক্তিগতভাবে কখনো আমেরিকা যাইনি। ভবিষ্যতেও কখনো যাব না।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিমকোর্টে শেষ কর্মদিবস পালন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এদিন শেষ কর্মদিবস পালন করেন প্রধান বিচারপতি। নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আগামীকাল প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেবেন।

নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে বিদায় জানান।

বিচার বিভাগ নিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর আমি চেষ্টা করেছি, বিচার বিভাগের চাকাকে গতিশীল করার। তবে আরও বেশি পরিমাণ মামলা নিষ্পত্তি করতে পারলে ভালো হতো। এভাবে সুপ্রিম কোর্ট ও নিম্ন আদালতে নিষ্পত্তির হার চলমান থাকলে ৪/৫ বছরের মধ্যে মামলাজটমুক্ত বিচার বিভাগ পাবে দেশের জনগণ।

তিনি বলেন, মামলাজট নিরসনে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের দিয়ে কমিটি গঠন করে দিয়েছিলাম। কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন জেলায় গিয়ে বিচারকদের দিক নির্দেশনা দিয়ে মামলা নিষ্পত্তিতে ভূমিকা রেখেছেন।

বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আরও বলেন, আমি এক বছর ৮ মাস ২৫ দিন প্রধান বিচারপতির পদে দায়িত্ব পালন করেছি। এই সময়টাকে আমি সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছি। কখনো পরিবারের সুখ-শান্তির দিকে তাকাইনি। প্রতিটি মুহূর্ত বিচার বিভাগের উন্নতির জন্য সময় দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

বিদায়ী প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিচার বিভাগের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে গেছি। কখনো নিজের কিংবা পরিবারের কথা ভাবিনি। মামলার জট নিরসনে সারাদেশের বিচারকদের উৎসাহিত করেছি ও নির্দেশনা দিয়েছি। নিজে ২৪টি জেলা সফর করেছি। বিচারপ্রার্থীদের সুবিধার জন্য সারাদেশের আদালত অঙ্গনে ন্যায়কুঞ্জ স্থাপনে কার্যক্রম শুরু করেছি। মেডিয়েশনের মাধ্যমে মামলাজট কমাতে সুপ্রিমকোর্টে মেডিয়েশন সেন্টার স্থাপন করেছি। চারতলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন সুপ্রিমকোর্ট মাজার মসজিদ নির্মাণ প্রকল্প শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি একজন ডায়নামিক ব্যক্তিত্ব। আশা করি, তিনি বিচার বিভাগকে দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করবেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিতে আমরা বিচলিত নই : বিদায়ী প্রধান বিচারপতি

প্রকাশের সময় : ১০:১২:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিতে আমরা বিচলিত নই জানিয়ে বিদায়ী প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, আমাদের দেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতার সময় যারা বিরোধিতা করেছিল, তারাই এখন বিরোধিতা করছে। তাই ভিসানীতিতে আমরা বিচলিত নই। আমি ব্যক্তিগতভাবে কখনো আমেরিকা যাইনি। ভবিষ্যতেও কখনো যাব না।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিমকোর্টে শেষ কর্মদিবস পালন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এদিন শেষ কর্মদিবস পালন করেন প্রধান বিচারপতি। নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আগামীকাল প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেবেন।

নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে বিদায় জানান।

বিচার বিভাগ নিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর আমি চেষ্টা করেছি, বিচার বিভাগের চাকাকে গতিশীল করার। তবে আরও বেশি পরিমাণ মামলা নিষ্পত্তি করতে পারলে ভালো হতো। এভাবে সুপ্রিম কোর্ট ও নিম্ন আদালতে নিষ্পত্তির হার চলমান থাকলে ৪/৫ বছরের মধ্যে মামলাজটমুক্ত বিচার বিভাগ পাবে দেশের জনগণ।

তিনি বলেন, মামলাজট নিরসনে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের দিয়ে কমিটি গঠন করে দিয়েছিলাম। কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন জেলায় গিয়ে বিচারকদের দিক নির্দেশনা দিয়ে মামলা নিষ্পত্তিতে ভূমিকা রেখেছেন।

বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আরও বলেন, আমি এক বছর ৮ মাস ২৫ দিন প্রধান বিচারপতির পদে দায়িত্ব পালন করেছি। এই সময়টাকে আমি সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছি। কখনো পরিবারের সুখ-শান্তির দিকে তাকাইনি। প্রতিটি মুহূর্ত বিচার বিভাগের উন্নতির জন্য সময় দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

বিদায়ী প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিচার বিভাগের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে গেছি। কখনো নিজের কিংবা পরিবারের কথা ভাবিনি। মামলার জট নিরসনে সারাদেশের বিচারকদের উৎসাহিত করেছি ও নির্দেশনা দিয়েছি। নিজে ২৪টি জেলা সফর করেছি। বিচারপ্রার্থীদের সুবিধার জন্য সারাদেশের আদালত অঙ্গনে ন্যায়কুঞ্জ স্থাপনে কার্যক্রম শুরু করেছি। মেডিয়েশনের মাধ্যমে মামলাজট কমাতে সুপ্রিমকোর্টে মেডিয়েশন সেন্টার স্থাপন করেছি। চারতলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন সুপ্রিমকোর্ট মাজার মসজিদ নির্মাণ প্রকল্প শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি একজন ডায়নামিক ব্যক্তিত্ব। আশা করি, তিনি বিচার বিভাগকে দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করবেন।