Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাকে খুন করল ছেলে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় নাসিমা আক্তার নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন তার ছেলে সিয়াম (১৯)।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নাসিমা আনন্দপুর গ্রামের মিজান মোল্লার স্ত্রী। ঘটনার পর পর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় এবং সিয়ামকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে নাসিমা তার ছেলে সিয়াম ও নাতি ওমর ফারুককে (৭) সঙ্গে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। শুক্রবার সকালে বিছানায় নাসিমার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ দেখতে পায় বাড়ির লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তের একপর্যায়ে নাতি ওমর ফারুকের কাছ থেকে জানতে পারে যে সিয়াম তার মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করেছেন। পরে পুলিশ সিয়ামকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেন।

সিয়াম প্রায়ই বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতেন। পরে বার বার তাকে ফিরিয়ে আনায় মায়ের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি। এ ক্ষোভ থেকেই মাকে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন সিয়াম।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মুসা মিয়া বলেন, ‘শুক্রবার ভোরে নাসিমার স্বামী নামাজ পড়তে মসজিদে যান। ফিরে এসে দেখেন, বিছানায় স্ত্রীর লাশ পড়ে আছে। থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। পরে জানা যায়, ছেলে সিয়ামই তার মাকে হত্যা করেছে।

তিনি আরো বলেন, সিয়াম মানসিক প্রতিবন্ধী। সে প্রায়ই বাড়ি থেকে বের হয়ে যেত। তাকে বারবার ফিরিয়ে আনার ক্ষোভ থেকে সে মাকে হত্যা করেছে।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন জানান, সিয়ামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্য মতে হত্যায় ব্যবহৃত বটিসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়।

তিনি জানান, নিহত নাসিমার সঙ্গে তার ভাইয়ের একটি মামলা চলছে। যার রায় হবে আগামী রোববার। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তাকে হত্যা করা হয়েছে কি না অথবা এর সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মাকে খুন করল ছেলে

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৭:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় নাসিমা আক্তার নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন তার ছেলে সিয়াম (১৯)।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নাসিমা আনন্দপুর গ্রামের মিজান মোল্লার স্ত্রী। ঘটনার পর পর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় এবং সিয়ামকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে নাসিমা তার ছেলে সিয়াম ও নাতি ওমর ফারুককে (৭) সঙ্গে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। শুক্রবার সকালে বিছানায় নাসিমার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ দেখতে পায় বাড়ির লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তের একপর্যায়ে নাতি ওমর ফারুকের কাছ থেকে জানতে পারে যে সিয়াম তার মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করেছেন। পরে পুলিশ সিয়ামকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেন।

সিয়াম প্রায়ই বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতেন। পরে বার বার তাকে ফিরিয়ে আনায় মায়ের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি। এ ক্ষোভ থেকেই মাকে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন সিয়াম।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মুসা মিয়া বলেন, ‘শুক্রবার ভোরে নাসিমার স্বামী নামাজ পড়তে মসজিদে যান। ফিরে এসে দেখেন, বিছানায় স্ত্রীর লাশ পড়ে আছে। থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। পরে জানা যায়, ছেলে সিয়ামই তার মাকে হত্যা করেছে।

তিনি আরো বলেন, সিয়াম মানসিক প্রতিবন্ধী। সে প্রায়ই বাড়ি থেকে বের হয়ে যেত। তাকে বারবার ফিরিয়ে আনার ক্ষোভ থেকে সে মাকে হত্যা করেছে।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন জানান, সিয়ামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্য মতে হত্যায় ব্যবহৃত বটিসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়।

তিনি জানান, নিহত নাসিমার সঙ্গে তার ভাইয়ের একটি মামলা চলছে। যার রায় হবে আগামী রোববার। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তাকে হত্যা করা হয়েছে কি না অথবা এর সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।