নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর মহাখালীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সামনে বৈশাখী পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২১ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে বাসটিতে আগুন ধরে যায়।
ফায়ার সর্ভিস কন্ট্রোল রুম থেকে জাননো হয়, আগুনের খবর পেয়েছিলেন তারা। তবে তাদের কাজ করতে হয়নি। ফায়ার ফাইটাররা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলে। এতে কোনও হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, অগ্নিকাণ্ডের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আগুন লেগে থাকতে পারে।
বাসটিতে আগুন লাগে বীরউত্তম একে খন্দকার সড়কে, যেটি গুলশান-মহাখালী লিংক রোড নামেও পরিচিত। আগুন লাগার সময় বাসটি ছিল মহাখালী অভিমুখী লেনে।
নিজেদের ওই বাসের যাত্রী দাবি করা দুই ব্যক্তি বলেন, বটতলার একটু আগে চলন্ত অবস্থায় বাসের পেছনের অংশে আগুন লাগে। পরে বাসটি কিছু দূর গিয়ে খাজা টাওয়ারের সামনে থামলে যাত্রীরা নেমে যান।
ঘটনার সময় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বিল্লাল হোসেন বলেন, হঠাৎ করে বাসটিতে আগুন দেখতে পাই।
বনানী থানার ওসি রাসেল সরোয়ার বলেন, বাসটি গাবতলী যাচ্ছিল। কয়েকজন যাত্রী থাকলেও তারা নিরাপদে নেমে যান। ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
কারা বাসটিতে আগুন দিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওসি।
স্থানীয় কয়েকজন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসার আগেই আশপাশের ভবনের নিরাপত্তাকর্মীরা আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ও যানবাহনে আগুন দেওয়ার মধ্যে এ ঘটনা ঘটল।
সবশেষ বুধবার রাত ১০টার দিকে রামপুড়ায় বিটিভি ভবনের সামনের সড়কে ‘ভিক্টর’ পরিবহনের একটি বাসে আগুন লাগে। বাসটি পুড়ে গেলেও কেউ হতাহত হননি।
সেদিন রামপুরায় বাসে আগুন দেওয়ার প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর ধানমন্ডি ৫ নম্বর সড়কে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণের কথা জানায় পুলিশ।
একই দিন ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে ঢাকার পল্লবীতে, যেখানে এক পুলিশ সদস্য আহত হন।
নিজস্ব প্রতিবেদক 
























