Dhaka রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোটের পরিবেশ শতভাগ অনুকূলে : ইসি আনোয়ারুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশে এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ শতভাগ অনুকূলে রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কোনো অনিশ্চয়তা নেই। নির্বাচন নিয়ে কমিশনের কাছে প্রতিকূল পরিস্থিতির তথ্য আসেনি। আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা, নিরপেক্ষতা ও যৌক্তিক বিষয় বিবেচনা করে সীমানা নিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছি।

তিনি বলেন, ভোটারসংখ্যার ভিত্তিতে জেলা পর্যায়ে গড় ও মোট সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে। কোথাও জনসংখ্যা, কোথাও ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং কোথাও প্রশাসনিক দিককে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তবে শতভাগ একভাবে করা সম্ভব নয়।

ভোট কি হবে? এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে ইসি আনোয়ারুল বলেন, এই প্রশ্ন আমাকেও অনেকে করে। ভোট হবে বলেই আমরা রোডম্যাপ ঘোষণা করেছি।

রাজনৈতিক দল নিবন্ধন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার জানান, প্রায় সব রিপোর্ট কমিশনের হাতে এসেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার শেষ ধাপে দলগুলোর নাম নিয়ে আপত্তি জানাতে সুযোগ রাখা হবে। মাসের মধ্যে চূড়ান্ত হবে।

সংবিধান ও বিদ্যমান আইন নিয়ে বিভ্রান্তি প্রসঙ্গে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত আরপিও সংশোধনী আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পরই চূড়ান্ত হয়েছে। অন্য কোনো আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিছু থাকলে তা সমন্বয় করা হবে।

তিনি বলেন, সীমানা নির্ধারণের কাজটি কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজটি শেষ করেছে। প্রশাসনিক অখণ্ডতা , ভোগলিক এলাকা, সর্বশেষ আদম শুমারির কথা আইনে বলা হয়েছে। আদমশুমারির রিপোর্ট পরীক্ষা করে দেখেছি। কিছুটা অসামঞ্জস্যতা রয়েছে, বিতর্ক রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, গত ১৬ জুনের আপডেট ভোটার সংখ্যার ওপর ৬৪ জেলার ভোটার সংখ্যা, অ্যাভারেজ সংখ্যা, টোটাল সংখ্যা পরীক্ষা করে ঠিক করেছি যে, কোথাও খ্বু বেশি, কোথাও খ্বু কম। সেটা বিবেচনায নিয়ে খসড়াটা করি। সেই খসড়ার ওপর দাবি-আপত্তি এলে, শুনানি করে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আদমশুমারির যাতে গ্যাপ না থাকে সেজন্য ভোটার সংখ্যাকেও বিবেচনায় নেওয়ার চেষ্টা করেছি। মোট ৪০ হতে পারে, ৪৬টি আসনেও পরিবর্তন হতে পারে।

এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, সীমানা নিয়ে আন্দোলন কারা করছে, কেন করছে, তারা কী বলতে চাচ্ছে আমরা সেটা এখনো জানি না। কেননা, আঞ্চলিকতা, রাজনৈতিক বিষয়, স্থানীয় বিষয় থাকে।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন,কমিশন সর্বোচ্চ সতর্কতা নিরপেক্ষকতা এবং যৌক্তিক বিবেচনায় নিয়ে সীমানা নির্ধারণ করেছে। সীমানার চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে কোনো আদালতে কোনো অভিযোগ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

সীমানা নির্ধারণে প্রায়োরিটি কোনটা দিয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোথাও প্রশাসনিক বিষয় নিলে এক ধরনের সমস্য হয়, আবার ভৌগলিক বাদ দিলে এক রকম সমস্যা হয়। কাজেই সবকিছুই বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

গাজীপুরে বাড়লে বাগেরহাটে কমল কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি ছিল গাজীপুরে, কম বাগেরহাটে। চার লাখ ২০ হাজার ছিল গড়। এটাও ধরলে বাগেরহাটে কমই থাকে। ক্ষেত্র বিশেষে ভোটার সংখ্যা আমলে নেওয়া হয়েছে।

কোথাও আনন্দ কোথাও বিক্ষোভ চলছে, এ বিষয়ে কী বলবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, আইনের ভাষায় কোনো লাভ আছে বলে মনে হয় না।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ভোটের পরিবেশ শতভাগ অনুকূলে : ইসি আনোয়ারুল

প্রকাশের সময় : ০৩:২৪:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশে এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ শতভাগ অনুকূলে রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কোনো অনিশ্চয়তা নেই। নির্বাচন নিয়ে কমিশনের কাছে প্রতিকূল পরিস্থিতির তথ্য আসেনি। আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা, নিরপেক্ষতা ও যৌক্তিক বিষয় বিবেচনা করে সীমানা নিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছি।

তিনি বলেন, ভোটারসংখ্যার ভিত্তিতে জেলা পর্যায়ে গড় ও মোট সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে। কোথাও জনসংখ্যা, কোথাও ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং কোথাও প্রশাসনিক দিককে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তবে শতভাগ একভাবে করা সম্ভব নয়।

ভোট কি হবে? এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে ইসি আনোয়ারুল বলেন, এই প্রশ্ন আমাকেও অনেকে করে। ভোট হবে বলেই আমরা রোডম্যাপ ঘোষণা করেছি।

রাজনৈতিক দল নিবন্ধন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার জানান, প্রায় সব রিপোর্ট কমিশনের হাতে এসেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার শেষ ধাপে দলগুলোর নাম নিয়ে আপত্তি জানাতে সুযোগ রাখা হবে। মাসের মধ্যে চূড়ান্ত হবে।

সংবিধান ও বিদ্যমান আইন নিয়ে বিভ্রান্তি প্রসঙ্গে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত আরপিও সংশোধনী আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পরই চূড়ান্ত হয়েছে। অন্য কোনো আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিছু থাকলে তা সমন্বয় করা হবে।

তিনি বলেন, সীমানা নির্ধারণের কাজটি কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজটি শেষ করেছে। প্রশাসনিক অখণ্ডতা , ভোগলিক এলাকা, সর্বশেষ আদম শুমারির কথা আইনে বলা হয়েছে। আদমশুমারির রিপোর্ট পরীক্ষা করে দেখেছি। কিছুটা অসামঞ্জস্যতা রয়েছে, বিতর্ক রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, গত ১৬ জুনের আপডেট ভোটার সংখ্যার ওপর ৬৪ জেলার ভোটার সংখ্যা, অ্যাভারেজ সংখ্যা, টোটাল সংখ্যা পরীক্ষা করে ঠিক করেছি যে, কোথাও খ্বু বেশি, কোথাও খ্বু কম। সেটা বিবেচনায নিয়ে খসড়াটা করি। সেই খসড়ার ওপর দাবি-আপত্তি এলে, শুনানি করে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আদমশুমারির যাতে গ্যাপ না থাকে সেজন্য ভোটার সংখ্যাকেও বিবেচনায় নেওয়ার চেষ্টা করেছি। মোট ৪০ হতে পারে, ৪৬টি আসনেও পরিবর্তন হতে পারে।

এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, সীমানা নিয়ে আন্দোলন কারা করছে, কেন করছে, তারা কী বলতে চাচ্ছে আমরা সেটা এখনো জানি না। কেননা, আঞ্চলিকতা, রাজনৈতিক বিষয়, স্থানীয় বিষয় থাকে।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন,কমিশন সর্বোচ্চ সতর্কতা নিরপেক্ষকতা এবং যৌক্তিক বিবেচনায় নিয়ে সীমানা নির্ধারণ করেছে। সীমানার চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে কোনো আদালতে কোনো অভিযোগ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

সীমানা নির্ধারণে প্রায়োরিটি কোনটা দিয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোথাও প্রশাসনিক বিষয় নিলে এক ধরনের সমস্য হয়, আবার ভৌগলিক বাদ দিলে এক রকম সমস্যা হয়। কাজেই সবকিছুই বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

গাজীপুরে বাড়লে বাগেরহাটে কমল কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি ছিল গাজীপুরে, কম বাগেরহাটে। চার লাখ ২০ হাজার ছিল গড়। এটাও ধরলে বাগেরহাটে কমই থাকে। ক্ষেত্র বিশেষে ভোটার সংখ্যা আমলে নেওয়া হয়েছে।

কোথাও আনন্দ কোথাও বিক্ষোভ চলছে, এ বিষয়ে কী বলবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, আইনের ভাষায় কোনো লাভ আছে বলে মনে হয় না।