Dhaka সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভিপি নুরের মাথায় আঘাতের ঘটনায় শর্ট মেমোরি লস হয়নি : ঢামেক পরিচালক

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের নাকের হাড় ভাঙায় মাঝেমধ্যে রক্তপাত হচ্ছে। যা সেরে উঠতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। মাথায় আঘাতের ঘটনায় শর্ট মেমোরি লস হয়নি। এ ধরনের ইঞ্জুরির কারণে মেমোরি লস হওয়ার সম্ভাবনাও নেই।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢামেক হাসপাতালে নিজ কার্যালয়ে নুরুল হক নুরের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, নুরুল হক নুরকে গত ২৯ আগস্ট আমাদের এখানে আহত অবস্থায় নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের ওয়ানস্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টারে (ওসেক) তাকে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রাতেই আইসিউতে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি হলে তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। নুরুল হক নুরের চিকিৎসায় ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। তার নাকে হাড় ভাঙার কারণে মাঝে মাঝে রক্তপাত হচ্ছে। তার দুই নাকে প্যাক দেওয়া ছিল যাতে তার রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেটি আমরা খুলে দিই। সেখান থেকে আবার রক্ত দেখা যায়, এটা মাঝেমধ্যে আসতে পারে যেহেতু সেখানে একটা ক্ষত রয়েছে। মাঝেমধ্যে হাঁচি বা কাশি দিলে রক্ত আসতে পারে কিন্তু সেটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। তার নাকের হাড় ভাঙলেও তার স্ট্রাকচার চেঞ্জ হয়নি। নুরের আরেকটি ফ্রাকচার ছিল ম্যাক্সিলাতে, সেটা ইনকমপ্লিট ফ্রাকচার না লিনিয়ার ফ্রাকচার– এটাও কিন্তু ডিসপ্লেস না। এটাও ঠিক হতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ লাগবে।

নুরের আরেকটি সমস্যা ছিল, সেটি ছিল চোখে। সে বিষয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, চোখের পাশে যেকোনো ধরনের আঘাত লাগলে সেখানে রক্ত জমাট বাঁধে। চোখের নিচে যে রক্ত জমাট ছিল সেই জমাটটি আর এখন দেখা যাচ্ছে না, পুরোপুরি ঠিক হয়ে গেছে।

ঢামেক পরিচালক বলেন, যে বিষয়টি নিয়ে আমরা সবচেয়ে বেশি কনসার্ন ছিলাম তার মাথায় যে আঘাত সেটি নিয়ে। তার মাথায় যে আঘাত ছিল সেটি ছিল খুবই মাইনর। তিনি আইসিইউতে থাকতে আমরা একটি সিটি স্ক্যান করাই। সেখানে যে অল্প পরিমাণ রক্ত জমা ছিল সেটি এবজর্ব হয়ে গেছে। এখন তিনি স্ট্রং আছেন এবং গ্রাজুয়ালি তার উন্নতি হচ্ছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, আজ আমি দেখে এলাম তার একটু ঠান্ডা ও সঙ্গে জ্বর রয়েছে। বর্তমানে তার একশর মতো জ্বর রয়েছে। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত তার জ্বর ছিল না। বিশেষজ্ঞকে ডেকে তাকে তাকে দেখানো হয়েছে। এটা সিজনাল জ্বরও হতে পারে। এখন ডেঙ্গুর সিজন, ডেঙ্গু হতে পারে। কিছু পরীক্ষা দিয়ে গেছেন সেটি করালে জানতে পারব। জ্বর না থাকলে নুর এখন শারীরিক দিক বিবেচনায় বাসায় ফিরতে পারবেন। নুরের পরিবার চাইলে তাকে বিদেশেও নিতে পারে।

গণঅধিকার পরিষদ থেকে যে অভিযোগটি করা হচ্ছে, মাথায় আঘাতের কারণে নুরের শর্ট মেমোরি লস হচ্ছে– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ধরনের আঘাতের কারণে শর্ট মেমোরি লস হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

নুরুল হক নুরকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পরিচালক বলেন, নুরের পরিবার চাইলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে নিতে পারে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন সড়কের বেহাল দশা, চলাচলে চরম ভোগান্তি

ভিপি নুরের মাথায় আঘাতের ঘটনায় শর্ট মেমোরি লস হয়নি : ঢামেক পরিচালক

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৩:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের নাকের হাড় ভাঙায় মাঝেমধ্যে রক্তপাত হচ্ছে। যা সেরে উঠতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। মাথায় আঘাতের ঘটনায় শর্ট মেমোরি লস হয়নি। এ ধরনের ইঞ্জুরির কারণে মেমোরি লস হওয়ার সম্ভাবনাও নেই।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢামেক হাসপাতালে নিজ কার্যালয়ে নুরুল হক নুরের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, নুরুল হক নুরকে গত ২৯ আগস্ট আমাদের এখানে আহত অবস্থায় নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের ওয়ানস্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টারে (ওসেক) তাকে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রাতেই আইসিউতে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি হলে তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। নুরুল হক নুরের চিকিৎসায় ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। তার নাকে হাড় ভাঙার কারণে মাঝে মাঝে রক্তপাত হচ্ছে। তার দুই নাকে প্যাক দেওয়া ছিল যাতে তার রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেটি আমরা খুলে দিই। সেখান থেকে আবার রক্ত দেখা যায়, এটা মাঝেমধ্যে আসতে পারে যেহেতু সেখানে একটা ক্ষত রয়েছে। মাঝেমধ্যে হাঁচি বা কাশি দিলে রক্ত আসতে পারে কিন্তু সেটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। তার নাকের হাড় ভাঙলেও তার স্ট্রাকচার চেঞ্জ হয়নি। নুরের আরেকটি ফ্রাকচার ছিল ম্যাক্সিলাতে, সেটা ইনকমপ্লিট ফ্রাকচার না লিনিয়ার ফ্রাকচার– এটাও কিন্তু ডিসপ্লেস না। এটাও ঠিক হতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ লাগবে।

নুরের আরেকটি সমস্যা ছিল, সেটি ছিল চোখে। সে বিষয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, চোখের পাশে যেকোনো ধরনের আঘাত লাগলে সেখানে রক্ত জমাট বাঁধে। চোখের নিচে যে রক্ত জমাট ছিল সেই জমাটটি আর এখন দেখা যাচ্ছে না, পুরোপুরি ঠিক হয়ে গেছে।

ঢামেক পরিচালক বলেন, যে বিষয়টি নিয়ে আমরা সবচেয়ে বেশি কনসার্ন ছিলাম তার মাথায় যে আঘাত সেটি নিয়ে। তার মাথায় যে আঘাত ছিল সেটি ছিল খুবই মাইনর। তিনি আইসিইউতে থাকতে আমরা একটি সিটি স্ক্যান করাই। সেখানে যে অল্প পরিমাণ রক্ত জমা ছিল সেটি এবজর্ব হয়ে গেছে। এখন তিনি স্ট্রং আছেন এবং গ্রাজুয়ালি তার উন্নতি হচ্ছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, আজ আমি দেখে এলাম তার একটু ঠান্ডা ও সঙ্গে জ্বর রয়েছে। বর্তমানে তার একশর মতো জ্বর রয়েছে। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত তার জ্বর ছিল না। বিশেষজ্ঞকে ডেকে তাকে তাকে দেখানো হয়েছে। এটা সিজনাল জ্বরও হতে পারে। এখন ডেঙ্গুর সিজন, ডেঙ্গু হতে পারে। কিছু পরীক্ষা দিয়ে গেছেন সেটি করালে জানতে পারব। জ্বর না থাকলে নুর এখন শারীরিক দিক বিবেচনায় বাসায় ফিরতে পারবেন। নুরের পরিবার চাইলে তাকে বিদেশেও নিতে পারে।

গণঅধিকার পরিষদ থেকে যে অভিযোগটি করা হচ্ছে, মাথায় আঘাতের কারণে নুরের শর্ট মেমোরি লস হচ্ছে– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ধরনের আঘাতের কারণে শর্ট মেমোরি লস হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

নুরুল হক নুরকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পরিচালক বলেন, নুরের পরিবার চাইলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে নিতে পারে।