Dhaka বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে নিহত ২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

সাধারণভাবে ‘হংকং ফ্লু’ নামে পরিচিত এইচ৩এন২ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে ভারতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ‘হংকং ফ্লুতে’ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ১০০ জন।

শুক্রবার (১০ মার্চ) সরকারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানিয়েছে। মৃতদের এক জন হরিয়ানায় এবং অপরজন কর্ণাটকের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে এনডিটিভি অনলাইন।

কর্ণাটকের বাসিন্দা ৮২ বছর বয়সী হাসানই ভারতের প্রথম ব্যক্তি যিনি এইচথ্রিএনটু ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। কর্মকর্তাদের মতে, হরিয়নার হিরে গৌড়াকে ২৪ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এবং ১ মার্চ মারা যান। তিনি ডায়াবেটিস রোগী এবং উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন বলে জানা গেছে।

ভারতে এইচথ্রিএনটু ভাইরাসের প্রায় ৯০টি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। এইচওয়ানএনওয়ান ভাইরাসের আটটি ক্ষেত্রেও শনাক্ত করা হয়েছে।

গত কয়েক মাস ধরে ভারতে ফ্লুতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বেশিরভাগ সংক্রমণ ইচথ্রিএনটু ভাইরাস কারণে সৃষ্ট, যা ‘হংকং ফ্লু’ নামেও পরিচিত। এই ভাইরাস দেশের অন্যান্য ইনফ্লুয়েঞ্জা সাব-টাইপগুলির তুলনায় বেশি হাসপাতালে ভর্তির কারণ।

চলতি বছর শীতের শেষ দিকে ভারতে নতুন এই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসটির সংক্রমণ শুরু হয়। এই রোগের উপসর্গগুলোর সঙ্গে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও কোভিডের বেশ সাদৃশ্য আছে। উপসর্গগুলো হলো— কাশি, জ্বর, শ্বসকষ্ট, বুকে কফ জমে জাওয়া, বমি বমি ভাব, গলাব্যথা, শরীরব্যাথা এবং ডায়রিয়া।

এসব উপসর্গ প্রায় এক সপ্তাহ স্থায়ী হয়। তারপর রোগী হয় সুস্থ হয়ে উঠতে থাকেন, নয়তো গুরুতর অসুস্থতার দিকে ধাবিত হতে থাকেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে এতদিন সর্দিজ্বর বা ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য দায়ী বলে শনাক্ত হওয়া ভাইরাসগুলোর তুলনায় অনেক শক্তিশালী এইচ৩এন২ এবং এইচ১এন১ নামের এই দু’টি ভাইরাস এবং এগুলোর সংক্রমণের ফলে যেসব উপসর্গ দেখা দেয়, সেগুলোও সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার চেয়ে অনেক ভোগান্তিকর হয়ে ওঠে রোগীদের জন্য। যাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তারা এই ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান হলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।

প্রচলিত ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসগুলোর তুলনায় এইচ৩এন২ এবং এইচ১এন১ ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতাও অনেক বেশি। ভারতের চিকিৎসা গবেষণা সংক্রান্ত অপর প্রতিষ্ঠান দ্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে যে দুটি স্বাস্থ্যবিধি— সাবান বা জীবাণুনাশক দিয়ে হাত ধোয়া এবং মাস্ক পরিধান সেগুলো এই রোগের বিস্তার ঠেকাতেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ভারতে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে নিহত ২

প্রকাশের সময় : ১১:০৯:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

সাধারণভাবে ‘হংকং ফ্লু’ নামে পরিচিত এইচ৩এন২ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে ভারতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ‘হংকং ফ্লুতে’ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ১০০ জন।

শুক্রবার (১০ মার্চ) সরকারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানিয়েছে। মৃতদের এক জন হরিয়ানায় এবং অপরজন কর্ণাটকের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে এনডিটিভি অনলাইন।

কর্ণাটকের বাসিন্দা ৮২ বছর বয়সী হাসানই ভারতের প্রথম ব্যক্তি যিনি এইচথ্রিএনটু ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। কর্মকর্তাদের মতে, হরিয়নার হিরে গৌড়াকে ২৪ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এবং ১ মার্চ মারা যান। তিনি ডায়াবেটিস রোগী এবং উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন বলে জানা গেছে।

ভারতে এইচথ্রিএনটু ভাইরাসের প্রায় ৯০টি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। এইচওয়ানএনওয়ান ভাইরাসের আটটি ক্ষেত্রেও শনাক্ত করা হয়েছে।

গত কয়েক মাস ধরে ভারতে ফ্লুতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বেশিরভাগ সংক্রমণ ইচথ্রিএনটু ভাইরাস কারণে সৃষ্ট, যা ‘হংকং ফ্লু’ নামেও পরিচিত। এই ভাইরাস দেশের অন্যান্য ইনফ্লুয়েঞ্জা সাব-টাইপগুলির তুলনায় বেশি হাসপাতালে ভর্তির কারণ।

চলতি বছর শীতের শেষ দিকে ভারতে নতুন এই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসটির সংক্রমণ শুরু হয়। এই রোগের উপসর্গগুলোর সঙ্গে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও কোভিডের বেশ সাদৃশ্য আছে। উপসর্গগুলো হলো— কাশি, জ্বর, শ্বসকষ্ট, বুকে কফ জমে জাওয়া, বমি বমি ভাব, গলাব্যথা, শরীরব্যাথা এবং ডায়রিয়া।

এসব উপসর্গ প্রায় এক সপ্তাহ স্থায়ী হয়। তারপর রোগী হয় সুস্থ হয়ে উঠতে থাকেন, নয়তো গুরুতর অসুস্থতার দিকে ধাবিত হতে থাকেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে এতদিন সর্দিজ্বর বা ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য দায়ী বলে শনাক্ত হওয়া ভাইরাসগুলোর তুলনায় অনেক শক্তিশালী এইচ৩এন২ এবং এইচ১এন১ নামের এই দু’টি ভাইরাস এবং এগুলোর সংক্রমণের ফলে যেসব উপসর্গ দেখা দেয়, সেগুলোও সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার চেয়ে অনেক ভোগান্তিকর হয়ে ওঠে রোগীদের জন্য। যাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তারা এই ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান হলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।

প্রচলিত ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসগুলোর তুলনায় এইচ৩এন২ এবং এইচ১এন১ ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতাও অনেক বেশি। ভারতের চিকিৎসা গবেষণা সংক্রান্ত অপর প্রতিষ্ঠান দ্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে যে দুটি স্বাস্থ্যবিধি— সাবান বা জীবাণুনাশক দিয়ে হাত ধোয়া এবং মাস্ক পরিধান সেগুলো এই রোগের বিস্তার ঠেকাতেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।