Dhaka বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের গণমাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানকে জড়িয়ে গুজব

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘আজতক বাংলা’ বাংলাদেশের একটি সরকারি অনুষ্ঠানের ছবি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেছে। এতে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের সঙ্গে জড়িয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (০৩ মে) ভারতীয় গণমাধ্যম আজতক বাংলা এক ভিডিও প্রতিবেদনে কয়েকটি ছবি দেখিয়ে এ দাবি করে।

ছবিতে দেখা যায়, ড. ইউনূসের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করছেন কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা। আজতক বাংলার উপস্থাপক সে সময় দাবি করেন ‘পোশাক দেখে মনে হচ্ছে না তারা কেউ বাংলাদেশের সেনা। কেননা বাংলাদেশের সেনার পোশাক এই রকম নয়।.. এরা কি তাহলে অন্য কোনো দেশের সেনা আধিকারিক? তাহলে বাংলাদেশে কী করছেন? এরা কি পাকিস্তানি সেনা আধিকারিক?’

এদিকে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ছবিতে ড. ইউনূসের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করা ব্যক্তিরা কোনো দেশের সেনা কর্মকর্তা নয়। বরং তারা বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা এবং সেই ছবিটি প্রকৃতপক্ষে, গত ২৯ এপ্রিল পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ এর উদ্বোধনের সময়কার।

অনুসন্ধানে আরও দেখা যায়, একই ছবিটি গত ২৯ এপ্রিল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। জানা গেছে, ছবিটি ‘পুলিশ সপ্তাহ–২০২৫’-এর উদ্বোধন ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানের মুহূর্ত ধারণ করে। অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাত থেকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম–সেবা) গ্রহণ করেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহ, পিপিএম।

অন্যদিকে, এদিনের তোলা একাধিক ছবিতেও পুলিশ কর্মকর্তাদের একই পোশাকে দেখা যায়। এমনকি পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমকেও একই পোশাকে ড. ইউনূসের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

রোববার (৪ মে) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।

পোস্টে বলা হয়, ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল আজতক বাংলায় প্রচারিত একটি প্রতিবেদনে পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদের প্রধান উপদেষ্টার পদক প্রদানের ছবিকে গোপন ছবি বলে প্রচার করা হয়েছে। সম্প্রতি প্রচারিত ওই প্রতিবেদনে পুলিশের ইউনিফর্মকে পাকিস্তানের জেনারেলের পোশাকের সঙ্গে মিল রয়েছে রয়েছে এমন দাবি করে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস কাদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন এমন প্রশ্ন তোলা হয়।

আরও বলা হয়, মূলত গত ২৯ এপ্রিল পুলিশ লাইন্সে কৃতিত্বেপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের ৬২ জন সদস্যকে পদক দেওয়া হয়। তাদের মধ্েয এই ছবিতে রয়েছেন তিনজন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক খন্দকার রফিকুল ইসলাম, মোসলেহ উদ্দিন আহমদ ও মো. ছিবগাত উল্লাহ এবং উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক কাজী মো. ফজলুল করিম। তারা প্রত্যেকেই নিজ দায়িত্বে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ পদক পেয়েছেন।

‘এটি কোনো গোপন ছবি নয়। এই ছবিটি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে সরবরাহ করা হয়েছিল।’

প্রেস উইং ফ্যাক্ট পেজে বলা হয়, আজতক বাংলার এই প্রতিবেদন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে জড়িয়েও মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে। এগুলো সবই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচারের অংশ এবং চরম নিন্দনীয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

১৪৬ যাত্রী নিয়ে ব্যাংককের পথে এক ঘণ্টা উড়ে মিয়ানমার থেকে ফিরে এল বিমানের ফ্লাইট

ভারতের গণমাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানকে জড়িয়ে গুজব

প্রকাশের সময় : ০৩:১৫:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘আজতক বাংলা’ বাংলাদেশের একটি সরকারি অনুষ্ঠানের ছবি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেছে। এতে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের সঙ্গে জড়িয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (০৩ মে) ভারতীয় গণমাধ্যম আজতক বাংলা এক ভিডিও প্রতিবেদনে কয়েকটি ছবি দেখিয়ে এ দাবি করে।

ছবিতে দেখা যায়, ড. ইউনূসের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করছেন কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা। আজতক বাংলার উপস্থাপক সে সময় দাবি করেন ‘পোশাক দেখে মনে হচ্ছে না তারা কেউ বাংলাদেশের সেনা। কেননা বাংলাদেশের সেনার পোশাক এই রকম নয়।.. এরা কি তাহলে অন্য কোনো দেশের সেনা আধিকারিক? তাহলে বাংলাদেশে কী করছেন? এরা কি পাকিস্তানি সেনা আধিকারিক?’

এদিকে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ছবিতে ড. ইউনূসের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করা ব্যক্তিরা কোনো দেশের সেনা কর্মকর্তা নয়। বরং তারা বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা এবং সেই ছবিটি প্রকৃতপক্ষে, গত ২৯ এপ্রিল পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ এর উদ্বোধনের সময়কার।

অনুসন্ধানে আরও দেখা যায়, একই ছবিটি গত ২৯ এপ্রিল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। জানা গেছে, ছবিটি ‘পুলিশ সপ্তাহ–২০২৫’-এর উদ্বোধন ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানের মুহূর্ত ধারণ করে। অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাত থেকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম–সেবা) গ্রহণ করেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহ, পিপিএম।

অন্যদিকে, এদিনের তোলা একাধিক ছবিতেও পুলিশ কর্মকর্তাদের একই পোশাকে দেখা যায়। এমনকি পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমকেও একই পোশাকে ড. ইউনূসের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

রোববার (৪ মে) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।

পোস্টে বলা হয়, ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল আজতক বাংলায় প্রচারিত একটি প্রতিবেদনে পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদের প্রধান উপদেষ্টার পদক প্রদানের ছবিকে গোপন ছবি বলে প্রচার করা হয়েছে। সম্প্রতি প্রচারিত ওই প্রতিবেদনে পুলিশের ইউনিফর্মকে পাকিস্তানের জেনারেলের পোশাকের সঙ্গে মিল রয়েছে রয়েছে এমন দাবি করে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস কাদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন এমন প্রশ্ন তোলা হয়।

আরও বলা হয়, মূলত গত ২৯ এপ্রিল পুলিশ লাইন্সে কৃতিত্বেপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের ৬২ জন সদস্যকে পদক দেওয়া হয়। তাদের মধ্েয এই ছবিতে রয়েছেন তিনজন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক খন্দকার রফিকুল ইসলাম, মোসলেহ উদ্দিন আহমদ ও মো. ছিবগাত উল্লাহ এবং উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক কাজী মো. ফজলুল করিম। তারা প্রত্যেকেই নিজ দায়িত্বে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ পদক পেয়েছেন।

‘এটি কোনো গোপন ছবি নয়। এই ছবিটি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে সরবরাহ করা হয়েছিল।’

প্রেস উইং ফ্যাক্ট পেজে বলা হয়, আজতক বাংলার এই প্রতিবেদন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে জড়িয়েও মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে। এগুলো সবই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচারের অংশ এবং চরম নিন্দনীয়।