আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ফ্রান্সের রাজধানী প্যরিসের কাছে একটি বিমানবন্দরে বিপুল সংখ্যক ভারতীয়সহ একটি বিমানকে আটকে রেখেছিল ফরাসি কর্তৃপক্ষ। মানবপাচারের অভিযোগে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। তবে সেই বিমানকে এখন ছাড়ছে ফ্রান্স।
ওই বিমানে যাত্রীদের মধ্যে বেশির ভাগই ভারতীয়। রোববার (৩৪ ডিসেম্বর) ফ্রান্সের আদালত বিমানটিকে ছেড়ে দেওয়ার রায় দেয়। পরে সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সেটিকে মুক্তি দেওয়া হয়।
গত সপ্তাহের শনিবার বিমানটিকে ফ্রান্সের প্যারিসের কাছের একটি বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়। বিমানটিতে ৩০৩ জন যাত্রী ছিল। যার মধ্যে ১১ জন শিশুও ছিল।
বিমানটি আটকের পর এতে থাকা যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ। পরে বিমানটি ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে বিমানটির এখন গন্তব্য কোথায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
এ-৩৪০ চার্টার বিমানটি নিকারাগুয়া যাচ্ছিল। দুবাই থেকে আসার সময় তা ফ্রান্সে নেমেছিল জ্বালানি নেওয়ার জন্য। তখনই অজানা মানুষের কাছ থেকে সতর্কবার্তা পায় ফরাসি কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ফ্রাঁসোয়া প্রোকিয়োরো সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, বিমানটি ভারতের উদ্দেশে রওনা হবে। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
একটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বিমানের ভারতীয় যাত্রীরা আরব আমিরাতে কাজ করতেন। তারা নিকারাগুয়া হয়ে আমেরিকা বা কানাডায় যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। যে বিমানে তারা উঠনে সেটি ছিল রোমানিয়ার সংস্থা লেজেন্ড এয়ারলাইন্স।
ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের ওই যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখছেন। এএফপি জানিয়েছে, যাত্রীদের খাবার ও অন্য সুবিধা দেওয়া হয়েছে। দশজন যাত্রী আশ্রয়ের জন্য আবেদন পর্যন্ত করেছে।
রোমানিয়ার বিমানসংস্থার পক্ষে আইনজীবী জানিয়েছেন, তারা কোনও ভুল কাজ করেননি। যদি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়, তাহলে তারাও পাল্টা ব্যবস্থা নেবেন।
বিমান সংস্থাটি জানায়, মানবপাচারের বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য ছিল না।
প্যারিস থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে ভাত্রিতে অবতরণ করেছিল বিমানটি। সাধারণ কম খরচের বিমানগুলো সেখানে অবতরণ করে। আটক বিমানের যাত্রীদের জন্য সেখানে শৌচালয়, খাবার, গরম পানীয়ের ব্যবস্থা করা হয়। সংবাদমাধ্যমের দাবি, যাত্রীদের মধ্যে ১০ জন ফ্রান্সে আশ্রয় চেয়েছেন।