Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেনজীর ও তার স্ত্রী-কন্যার আরো ১১৯টি সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সাবেক পুলিশপ্রধান (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিস্তা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিভিন্ন সম্পত্তির দলিল, ঢাকায় ফ্ল্যাট ও কোম্পানির আংশিক শেয়ারসহ ১১৯টি স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (২৬ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন।

ক্রোকের নির্দেশ পাওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ১১৯টি দলিল। যার মধ্যে আছে ঢাকায় গুলশানের ২০৪২ স্কয়ার ফিটের দুটি এবং ২০৫৩ স্কয়ার ফিটের দুটিসহ পৃথক ৪টি ফ্ল্যাট। সাভারের ৩ কাঠা জমি, মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার ১১৩টি জমির দলিল, একই জেলার শিবচরের ১টি দলিল রয়েছে। এছাড়া তার ৪টি নিজ নামীয় কোম্পানি, ৪টি বিও অ্যাকাউন্ট। ১৫ টি আংশিক মালিকানাধীন কোম্পানির শেয়ার ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে গত ২৩ মে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের ৩৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও ৮৩ দলিলের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিভিন্ন সম্পত্তির ৮৩টি দলিলে থাকা ১০৯ একর ৬২ দশমিক ৪৬ শতাংশ জমি অবৈধভাবে অর্জন করেন। যার বাজারমূল্য ১০ কোটি ৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।

এছাড়া, অভিযুক্তরা বাংলাদেশে তাদের নামে-বেনামে অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বিক্রি/হস্তান্তর করে বিদেশে পাচারের চেষ্টা করেছেন। অনুসন্ধান/মামলা নিষ্পত্তির পূর্বে বর্ণিত সম্পত্তিসমূহ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে বলে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ জগলুল হোসেনের আদালতে এ নিবেদন করেন।

আদালত মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ১৪ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন, বিধিমালা-২০০৭ এর বিধি ১৮ অনুয়ায়ী নিম্নবর্ণিত স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেন।

বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন, দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর বিধি ১৮ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ১৪ ধারার বিধান মোতাবেক অভিযোগ সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামীয় জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অপরাধ সংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধকরণের আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম।

দুদকের পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর নিবেদন করেন, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বেনজীর আহমেদ ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে, স্ত্রী জিশান মির্জা ও মেয়েদের নামে দেশে-বিদেশে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে।

পিপি আরও উল্লেখ করেন, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিম্ন তফসিলে বর্ণিত স্থাবর/অস্থাবর সম্পদসমূহ অবৈধভাবে অর্জন করেন। এছাড়া অভিযুক্তরা বাংলাদেশে তাদের নামে-বেনামে অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বিক্রয়/হস্তান্তর করে বিদেশে পাচারের চেষ্টা করছেন অনুসন্ধান/মামলা নিষ্পত্তির পূর্বে বর্ণিত সম্পত্তিসমূহ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হলে রাষ্ট্রের সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে।

পিপি সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ১৪ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ (সংশোধিত-২০১৯) এর বিধি ১৮ এর বিধান মতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামীয় অপরাধ সংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পত্তি ক্রোককরণ এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধকরণের আবেদন করেন।

তফসিলে বর্ণিত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোককরণ এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করার জন্য অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা কর্তৃক দাখিল করা দরখাস্ত ও সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি পর্যালোচনা করা হলো। বর্ণিত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা না হলে তা হস্তান্তর হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে, যা পরবর্তীকালে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। পিপির বক্তব্য, দরখাস্তে বর্ণিত আবেদন ও অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় দরখাস্তটি মঞ্জুরযোগ্য মর্মে প্রতীয়মান হয়।

বেনজীরের নামে সম্পত্তি রয়েছে গোপালগঞ্জ ও কক্সবাজার এলাকায়। তার নামে মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮ একর ১ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ। যার বাজারমূল্য ধরা হয়েছে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।

বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র‌্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র‌্যাব এবং র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান যে সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাদের মধ্যে বেনজীর আহমেদের নামও ছিল। তখন তিনি আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

বেনজীর ও তার স্ত্রী-কন্যার আরো ১১৯টি সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ

প্রকাশের সময় : ০৮:৪০:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সাবেক পুলিশপ্রধান (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিস্তা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিভিন্ন সম্পত্তির দলিল, ঢাকায় ফ্ল্যাট ও কোম্পানির আংশিক শেয়ারসহ ১১৯টি স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (২৬ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন।

ক্রোকের নির্দেশ পাওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ১১৯টি দলিল। যার মধ্যে আছে ঢাকায় গুলশানের ২০৪২ স্কয়ার ফিটের দুটি এবং ২০৫৩ স্কয়ার ফিটের দুটিসহ পৃথক ৪টি ফ্ল্যাট। সাভারের ৩ কাঠা জমি, মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার ১১৩টি জমির দলিল, একই জেলার শিবচরের ১টি দলিল রয়েছে। এছাড়া তার ৪টি নিজ নামীয় কোম্পানি, ৪টি বিও অ্যাকাউন্ট। ১৫ টি আংশিক মালিকানাধীন কোম্পানির শেয়ার ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে গত ২৩ মে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের ৩৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও ৮৩ দলিলের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিভিন্ন সম্পত্তির ৮৩টি দলিলে থাকা ১০৯ একর ৬২ দশমিক ৪৬ শতাংশ জমি অবৈধভাবে অর্জন করেন। যার বাজারমূল্য ১০ কোটি ৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।

এছাড়া, অভিযুক্তরা বাংলাদেশে তাদের নামে-বেনামে অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বিক্রি/হস্তান্তর করে বিদেশে পাচারের চেষ্টা করেছেন। অনুসন্ধান/মামলা নিষ্পত্তির পূর্বে বর্ণিত সম্পত্তিসমূহ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে বলে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ জগলুল হোসেনের আদালতে এ নিবেদন করেন।

আদালত মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ১৪ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন, বিধিমালা-২০০৭ এর বিধি ১৮ অনুয়ায়ী নিম্নবর্ণিত স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেন।

বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন, দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর বিধি ১৮ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ১৪ ধারার বিধান মোতাবেক অভিযোগ সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামীয় জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অপরাধ সংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধকরণের আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম।

দুদকের পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর নিবেদন করেন, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বেনজীর আহমেদ ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে, স্ত্রী জিশান মির্জা ও মেয়েদের নামে দেশে-বিদেশে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে।

পিপি আরও উল্লেখ করেন, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিম্ন তফসিলে বর্ণিত স্থাবর/অস্থাবর সম্পদসমূহ অবৈধভাবে অর্জন করেন। এছাড়া অভিযুক্তরা বাংলাদেশে তাদের নামে-বেনামে অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বিক্রয়/হস্তান্তর করে বিদেশে পাচারের চেষ্টা করছেন অনুসন্ধান/মামলা নিষ্পত্তির পূর্বে বর্ণিত সম্পত্তিসমূহ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হলে রাষ্ট্রের সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে।

পিপি সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ১৪ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ (সংশোধিত-২০১৯) এর বিধি ১৮ এর বিধান মতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামীয় অপরাধ সংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পত্তি ক্রোককরণ এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধকরণের আবেদন করেন।

তফসিলে বর্ণিত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোককরণ এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করার জন্য অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা কর্তৃক দাখিল করা দরখাস্ত ও সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি পর্যালোচনা করা হলো। বর্ণিত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা না হলে তা হস্তান্তর হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে, যা পরবর্তীকালে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। পিপির বক্তব্য, দরখাস্তে বর্ণিত আবেদন ও অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় দরখাস্তটি মঞ্জুরযোগ্য মর্মে প্রতীয়মান হয়।

বেনজীরের নামে সম্পত্তি রয়েছে গোপালগঞ্জ ও কক্সবাজার এলাকায়। তার নামে মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮ একর ১ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ। যার বাজারমূল্য ধরা হয়েছে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।

বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র‌্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র‌্যাব এবং র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান যে সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাদের মধ্যে বেনজীর আহমেদের নামও ছিল। তখন তিনি আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন।