Dhaka শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্বভারতীর জমির মামলায় অমর্ত্য সেনের জয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা জমিসংক্রান্ত মামলায় জয় পেয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) জমি বিবাদ মামলায় অমর্ত্য সেনের পক্ষে রায় দেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সিউড়ি আদালত।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের সংবাদে বলা হয়েছে, শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের বাড়ির ১৩ শতাংশ জায়গা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বিশ্বভারতীর অভিযোগ ছিল বাড়িতে এ পরিমাণ জায়গা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন অমর্ত্য সেন। তবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের দাবি ছিল পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ওই জমিতে বৈধভাবেই বাস করছেন তিনি।

বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতীর উপাচার্য থাকাকালে অমর্ত্য সেনকে নোটিশ দেওয়া হয। ওই নোটিশে বলা হয়, অবিলম্বে ১৩ শতাংশ জমি খালি করে দিতে, না হলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জোর করে উচ্ছেদের পথে হাঁটবে। এর বিরুদ্ধে সিউড়ি জেলা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অমর্ত্য সেন।

অমর্ত্য সেনের আইনজীবী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা জিতে গিয়েছি। অমর্ত্য সেনকে আর জায়গা ছাড়তে হবে না। বিচারকও উল্লেখ করেছেন, ওই নোটিশের কোনো ভিত্তি ছিল না।’

আরেক আইনজীবী সৌমেন্দ্র রায় চৌধুরী বলেন, আদালত আপাতত বিশ্বভারতীর দাবি খারিজ করে দিয়েছেন। বিচারক রায়ে বলেছেন, বিশ্বভারতীর ‘এভিকশন অর্ডার’ পুরোপুরি প্রতিহিংসাপরায়ণ।

তবে মামলাটি উচ্চ আদালতে গড়াবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৬ মের মধ্যে অমর্ত্য সেনকে ১৩ শতাংশ জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ নোটিশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অমর্ত্য সেন। হাইকোর্ট জানিয়ে দেন, এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। তবে জমি নিয়ে সিউড়ি জেলা আদালতে মামলা চলতে থাকে।

শান্তিনিকেতনে ১ দশমিক ৩৮ একর জায়গার ওপর অমর্ত্য সেনের পৈতৃক বাড়ি রয়েছে। দীর্ঘ ৮০ বছর ধরে সেখানেই বসবাস করছে তার পরিবার। অমর্ত্য সেনের বাবা আশুতোষ সেন বাড়িটি তৈরি করেছেন। কিন্তু বিশ্বভারতীর অভিযোগ ছিল ১৩ শতাংশ জমি বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছেন অমর্ত্য সেন।

অমর্ত্য সেনের এই জমি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে বেশ টানাপোড়েন চলেছে। অমর্ত্য সেনের হয়ে খোদ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও কথা বলেছেন। তিনি অমর্ত্য সেনের বাড়িতে এসে জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকারের নথি অনুযায়ী জমি নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। বিপরীতে রাজ্যটির বিরোধী দল বিজেপি থেকেও অমর্ত্য সেনের বিপক্ষে নানা কথা বলা হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

উপদেষ্টা পরিষদের ভেতরেও মাহফুজকে অদপস্ত ও হত্যার মৌন সম্মতি তৈরি করা হয়েছে : নাহিদ ইসলাম

বিশ্বভারতীর জমির মামলায় অমর্ত্য সেনের জয়

প্রকাশের সময় : ১১:০৯:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা জমিসংক্রান্ত মামলায় জয় পেয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) জমি বিবাদ মামলায় অমর্ত্য সেনের পক্ষে রায় দেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সিউড়ি আদালত।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের সংবাদে বলা হয়েছে, শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের বাড়ির ১৩ শতাংশ জায়গা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বিশ্বভারতীর অভিযোগ ছিল বাড়িতে এ পরিমাণ জায়গা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন অমর্ত্য সেন। তবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের দাবি ছিল পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ওই জমিতে বৈধভাবেই বাস করছেন তিনি।

বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতীর উপাচার্য থাকাকালে অমর্ত্য সেনকে নোটিশ দেওয়া হয। ওই নোটিশে বলা হয়, অবিলম্বে ১৩ শতাংশ জমি খালি করে দিতে, না হলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জোর করে উচ্ছেদের পথে হাঁটবে। এর বিরুদ্ধে সিউড়ি জেলা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অমর্ত্য সেন।

অমর্ত্য সেনের আইনজীবী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা জিতে গিয়েছি। অমর্ত্য সেনকে আর জায়গা ছাড়তে হবে না। বিচারকও উল্লেখ করেছেন, ওই নোটিশের কোনো ভিত্তি ছিল না।’

আরেক আইনজীবী সৌমেন্দ্র রায় চৌধুরী বলেন, আদালত আপাতত বিশ্বভারতীর দাবি খারিজ করে দিয়েছেন। বিচারক রায়ে বলেছেন, বিশ্বভারতীর ‘এভিকশন অর্ডার’ পুরোপুরি প্রতিহিংসাপরায়ণ।

তবে মামলাটি উচ্চ আদালতে গড়াবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৬ মের মধ্যে অমর্ত্য সেনকে ১৩ শতাংশ জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ নোটিশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অমর্ত্য সেন। হাইকোর্ট জানিয়ে দেন, এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। তবে জমি নিয়ে সিউড়ি জেলা আদালতে মামলা চলতে থাকে।

শান্তিনিকেতনে ১ দশমিক ৩৮ একর জায়গার ওপর অমর্ত্য সেনের পৈতৃক বাড়ি রয়েছে। দীর্ঘ ৮০ বছর ধরে সেখানেই বসবাস করছে তার পরিবার। অমর্ত্য সেনের বাবা আশুতোষ সেন বাড়িটি তৈরি করেছেন। কিন্তু বিশ্বভারতীর অভিযোগ ছিল ১৩ শতাংশ জমি বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছেন অমর্ত্য সেন।

অমর্ত্য সেনের এই জমি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে বেশ টানাপোড়েন চলেছে। অমর্ত্য সেনের হয়ে খোদ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও কথা বলেছেন। তিনি অমর্ত্য সেনের বাড়িতে এসে জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকারের নথি অনুযায়ী জমি নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। বিপরীতে রাজ্যটির বিরোধী দল বিজেপি থেকেও অমর্ত্য সেনের বিপক্ষে নানা কথা বলা হয়।