Dhaka রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় : করোনার সংক্রমণ বাড়ছে ইউরোপে

  • যোগাযোগ ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫৩:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ২৭৩ জন দেখেছেন

ইউরোপের সমুদ্র সৈয়ত

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বাস্থ্যবিধি মেনার তাগিদ দিয়েছে। কিন্তু সে কথায় তেমন একটা পাত্তা না দেয়ায় ইতিমধ্যেই মাশুল গুণতে হচ্ছে ইউরোপের দেশগুলোকে। ইউরোপের দেশগুলোতে মানুষ আর ঘরে থাকতে চাইছে না। জীবিকার তাগিদে তারা রাস্তায় নেমে পড়ছে। আবার বিনোদনের জন্য মানুষ ভিড় জমাচ্ছে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। এতে করে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে।

সামনেই শীতকাল। করোনাকালীন এই শীতকাল ইউরোপের দেশগুলোর জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং। এখন থেকেই করোনা সংক্রমণ না ঠেকানো গেলে এসব দেশগুলোকে আরো বড় মাশুল দিতে হতে পারে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইউরোপের বেশিরভাগ দেশগুলোই পর্যটন এলাকার জন্য বিখ্যাত। এসব দেশের অর্থনীতির বিশাল এক অংশ আসে এই পর্যটন শিল্প থেকে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে অনেক মানুষের জীবিকা। আর তাই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমতেই ব্যবসা-বাণিজ্য পুরোদমে শুরু করে দিয়েছিল ইউরোপ। পর্যটন শিল্পকে পুনরায় চাঙ্গা করতে ইউরোপ সফরে নিষেধাজ্ঞাও তুলে দেওয়া হয়। এরপরই দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকার পরে তাই গরমের ছুটিতে বেরিয়ে পড়েছিলেন অনেকেই। আর তাতেই ফের বেড়েছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা।

আরও পড়ুন : সরকার অনুমতি দিল অ্যান্টিজেন টেস্টের

সরকার লকডাউন নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার সাথে সাথেই বিচ-পার্টি করা শুরু করে দিয়েছিল ব্রিটেনবাসী। সমুদ্র সৈকতগুলোতে দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়। এই পরিস্থিতিতে বরিস জনসনের সরকার বেঁধে দিয়েছে বেশ কিছু নিয়ম। আর নিয়ম না-মানলেই এক হাজার পাউন্ড থেকে ১০ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা।

ফ্রান্সেও সব পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছিল। সেন নদীর তীরসহ প্যারিসের রাস্তায় অসংখ্য মানুষ। এতেই দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে। শুধু যে পর্যটন নগরীগুলো খুলে দেয়া হয়েছে, তা নয়। খুলে দেওয়া হয়েছিল স্কুলও। আর তাতেই বাচ্চাদের মধ্যে সংক্রমণ বেড়ে যায়। কোয়ারেন্টাইনে যেতে হয়েছে স্পেনের রাজকন্যাকেও।

ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোলের (ইসিডিসি) কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মতে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেনে প্রতিদিন সংক্রমণ বেড়ে ৫০ হাজার ছুঁয়েছে। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। ইউরোপের মোট জনসংখ্যা ৭৫ কোটি। আমেরিকায় জনসংখ্যা ৩৩ কোটি। যে সময়ে ইউরোপে সংক্রমণ ঘটেছে ৪৪ লক্ষ এবং মৃত্যু ২ লক্ষ ১৭ হাজারের বেশি, সেই সময়ে আমেরিকায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৬৭ লক্ষ আর মৃত্যু ১ লক্ষ ৯৮ হাজার।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

হাসিনা ও আ. লীগ ফেরাউন-নমরুদের দোসর : দুলু

বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় : করোনার সংক্রমণ বাড়ছে ইউরোপে

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৩:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বাস্থ্যবিধি মেনার তাগিদ দিয়েছে। কিন্তু সে কথায় তেমন একটা পাত্তা না দেয়ায় ইতিমধ্যেই মাশুল গুণতে হচ্ছে ইউরোপের দেশগুলোকে। ইউরোপের দেশগুলোতে মানুষ আর ঘরে থাকতে চাইছে না। জীবিকার তাগিদে তারা রাস্তায় নেমে পড়ছে। আবার বিনোদনের জন্য মানুষ ভিড় জমাচ্ছে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। এতে করে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে।

সামনেই শীতকাল। করোনাকালীন এই শীতকাল ইউরোপের দেশগুলোর জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং। এখন থেকেই করোনা সংক্রমণ না ঠেকানো গেলে এসব দেশগুলোকে আরো বড় মাশুল দিতে হতে পারে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইউরোপের বেশিরভাগ দেশগুলোই পর্যটন এলাকার জন্য বিখ্যাত। এসব দেশের অর্থনীতির বিশাল এক অংশ আসে এই পর্যটন শিল্প থেকে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে অনেক মানুষের জীবিকা। আর তাই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমতেই ব্যবসা-বাণিজ্য পুরোদমে শুরু করে দিয়েছিল ইউরোপ। পর্যটন শিল্পকে পুনরায় চাঙ্গা করতে ইউরোপ সফরে নিষেধাজ্ঞাও তুলে দেওয়া হয়। এরপরই দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকার পরে তাই গরমের ছুটিতে বেরিয়ে পড়েছিলেন অনেকেই। আর তাতেই ফের বেড়েছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা।

আরও পড়ুন : সরকার অনুমতি দিল অ্যান্টিজেন টেস্টের

সরকার লকডাউন নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার সাথে সাথেই বিচ-পার্টি করা শুরু করে দিয়েছিল ব্রিটেনবাসী। সমুদ্র সৈকতগুলোতে দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়। এই পরিস্থিতিতে বরিস জনসনের সরকার বেঁধে দিয়েছে বেশ কিছু নিয়ম। আর নিয়ম না-মানলেই এক হাজার পাউন্ড থেকে ১০ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা।

ফ্রান্সেও সব পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছিল। সেন নদীর তীরসহ প্যারিসের রাস্তায় অসংখ্য মানুষ। এতেই দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে। শুধু যে পর্যটন নগরীগুলো খুলে দেয়া হয়েছে, তা নয়। খুলে দেওয়া হয়েছিল স্কুলও। আর তাতেই বাচ্চাদের মধ্যে সংক্রমণ বেড়ে যায়। কোয়ারেন্টাইনে যেতে হয়েছে স্পেনের রাজকন্যাকেও।

ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোলের (ইসিডিসি) কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মতে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেনে প্রতিদিন সংক্রমণ বেড়ে ৫০ হাজার ছুঁয়েছে। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। ইউরোপের মোট জনসংখ্যা ৭৫ কোটি। আমেরিকায় জনসংখ্যা ৩৩ কোটি। যে সময়ে ইউরোপে সংক্রমণ ঘটেছে ৪৪ লক্ষ এবং মৃত্যু ২ লক্ষ ১৭ হাজারের বেশি, সেই সময়ে আমেরিকায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৬৭ লক্ষ আর মৃত্যু ১ লক্ষ ৯৮ হাজার।